বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলায় ৮৪০টি প্রাথমিক স্কুল আছে। শিক্ষকের সংখ্যা ২৯০০’র মতো। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ স্কুল প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে। পর্ষদের নির্দেশে এই ৬০০ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কর্তৃপক্ষ। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছিল জেলা প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তর। কিন্তু ততদিনে লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে আটকে যায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়া।
জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন বলেন, সিনিয়রিটির ভিত্তিতে জেলার ৬০০ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেওয়া হবে। জুনের ৪ তারিখ ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নেওয়ার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের পর আলিপুরদুয়ারে প্রাথমিকে আর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘ ১১ বছরে বহু স্কুলের অনেক প্রধান শিক্ষক যেমন অবসর নিয়েছেন, তেমনি অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এর জেরেই জেলার ৬০০ প্রাথমিক স্কুল প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে। যা নিয়ে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। তবে ভোটের আচরণবিধির কারণে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে এই অজুহাত মানতে চাইছে না সিপিএমের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সমিতির বক্তব্য, স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নেওয়ার জন্য গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নোটিফিকেশন হয়েছিল। ভোট ঘোষণার আগে এবছর জানুয়ারি মাসেই সার্কেলগুলিতে প্রধান শিক্ষকদের প্যানেল তৈরি করে রাখা হয়েছিল।
নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, সিনিয়রিটির ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হলে শাসকদলের শিক্ষকদের থেকে বাম মনোভাবাপন্ন শিক্ষকরাই বেশি সুযোগ পাবেন। আমাদের মনে হয় সেই কারণেই ভোট ঘোষণার আগে এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
প্রসেনজিৎবাবু বলেন, আমাদের দাবি সিনিয়রিটি ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে। ছুটির মধ্যে মে মাসেই প্রধান শিক্ষক নেওয়ার কাজ শুরু করতে হবে। যাতে স্কুল খুললে স্কুলগুলি প্রধান শিক্ষক পেয়ে যায়। যদিও শাসকদল তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সেলের জেলা সভাপতি কৌশিক সরকার বলেন, ভোটের কারণেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। এর পিছনে অন্য আর কোনও কারণ নেই। আমরা শুনেছি সিনিয়রিটির মাধ্যমেই জেলায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে।