বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
১৯৯৩ সালে বামেদের হয়ে প্রথম পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জগদীশবাবু। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জয়ী হয়ে আদাবাড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন। পরেরবার ১৯৯৮ সালে ফের পঞ্চায়েত ভোটে জিতে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান হন। পরপর দু’বার প্রধান ছিলেন একই পঞ্চায়েতে। এরপর ২০১১ সালে বাম সংগঠন ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটে ভোটে জিতে সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। ২০১৬ সালে তৃণমূল বিধানসভায় তাঁকে টিকিট দিলে ভোটে জয়ী হয়ে প্রথমবার বিধায়ক হন। একুশের বিধানসভা ভোটে ফের সিতাই থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। কোনও ভোটে পরাজিত না হওয়া জগদীশকেই এবার কোচবিহার লোকসভা আসনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে, নিশীথ প্রামাণিক ২০১৩ সালে দিনহাটার ভেটাগুড়ি ১ পঞ্চায়েত থেকে প্রথম ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটে জিতে ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে যুব তৃণমূলের নেতা ছিলেন নিশীথ। দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য পরবর্তীতে তৃণমূল নিশীথকে বহিষ্কার করে। এরপরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে লোকসভা আসনে কোচবিহারে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটে জিতে সাংসদ হন নিশীথ। এরপর একুশের বিধানসভা ভোটে দিনহাটা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে মাত্র ৫৭ ভোটে হারিয়ে দেন। যদিও পরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ থেকে যান তিনি। এবারের লোকসভা ভোটে ফের কোচবিহার আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নিশীথ।
একদিকে, কোচবিহার আসন ধরে রাখতে মরিয়া পদ্মশিবির। অন্যদিকে হারানো আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। যদিও গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার আসনে জনতার রায় ইতিমধ্যে ইভিএমে বন্দি রয়েছে। তবে টানা জয়ের রেকর্ড কে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবেন নিশীথ প্রামাণিক না জগদীশ বর্মা বসুনিয়া, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ভোটের ফল ঘোষণার দিন অর্থাৎ ৪ জুন পর্যন্ত।