সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের জোর প্রচার শুরু হয়েছে জেলায়। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ছুটছেন জনসংযোগে। কিন্তু এবার এখনও কোনও দলের প্রার্থী ডোবা খোকসনে প্রচারে আসেননি। এবারও প্রার্থীদের কাছে সেতু তৈরির দাবি তুলবেন টাঙ্গনের পাড়ের মানুষ।
ডোবা খোকসন থেকে গাজোলের দূরত্ব প্রায় ৪২ কিমি। নানা কাজে সেখানকার মানুষ আসেন বামনগোলা ব্লকের নালাগোলায়। কিন্তু টাঙ্গন নদী পার করে নালাগোলা আসতে হয় তাঁদের। খোকসন থেকে নালাগোলার দূরত্ব মাত্র সাড়ে তিন কিমি। টাঙ্গনে এখনও সেতু না হওয়ায় প্রশাসন ও সাংসদের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন।
টাঙ্গনে সেতু না হওয়ার দায় বিজেপি সাংসদ খগেন রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়েছেন। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার অনুমোদন না দিলে আমি কী করে কাজ করব? খগেনের সংযোজন, টাঙ্গনে সেতুর ব্যাপারে আগেই রাজ্য সরকারের সেচ ও পূর্ত দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। দপ্তরের কর্তারা এলাকা পরিদর্শনও করেন। কিন্তু তারপরও রাজ্যের কোনও হেলদোল নেই।
বিজেপি ও তৃণমূলের তরজা শুরু হলেও টাঙ্গনে সেতু চান এলাকার সাধারণ মানুষ। ডোবা খোকসনের বাসিন্দা বিজয়কুমার বিশ্বাসের মন্তব্য, নড়বড়ে সাঁকোয় মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। বর্ষায় নদীর জল বাড়লে ভরসা নৌকো। ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী সবাইকে প্রাণ হাতে নিয়ে ভরা টাঙ্গন পার হতে হয়। গ্রামবাসীর আক্ষেপ, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মহলে সেতুর দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি।
মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাসের বক্তব্য, পাঁচ বছরে সাংসদ এলাকায় কোনও কাজই করেননি। টাঙ্গনে সেতু না হওয়াটাই বড় প্রমাণ।
হবিবপুরের পূর্ত দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, কয়েকসপ্তাহ আগে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
নিজস্ব চিত্র।