ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
গত বছর ১৭ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডের জুরিখ থেকে একটি বিমান টরেন্টোয় নামে। তারমধ্যে মালবাহী কন্টেনারে সোনার ৬ হাজার ৬০০টি বার ছিল। সবমিলিয়ে ৪০০ কেজি ওজনের ওই সোনার দাম প্রায় ২ কোটি কানাডিয়ান ডলার। সেইসঙ্গে ওই কন্টেনারে ২৫ লক্ষ কানাডিয়ান ডলার মূল্যের বিদেশি মুদ্রাও ছিল। বিমানটি নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি বিমানবন্দর থেকে চুরি যায়। পরদিন অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল কন্টেনার চুরির বিষয়টি নিয়ে পিআরপিতে অভিযোগ জানানো হয়। তারপরই তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন বিমানবন্দরের কর্মীদের সাহায্য ছাড়া এতবড় কন্টেনার সরানো সম্ভব নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার ফিল্ড ডিভিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তাঁরা। মার্কিন মুলুক থেকে এই ঘটনায় জড়িত ডুরান্তে কিং-ম্যাকলিন নামে এক অস্ত্র কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ৬৫টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে প্রশাসন। অন্যদিকে, গত বুধবার অ্যান্টারিও থেকে পিআরপির তদন্তকারীরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরমপাল সিধু (৫৪) ও অমিত জালোটা (৪০) সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও সিমরনপ্রীত পানেসর, অর্চিত গ্রোভার ও আরসালান চৌধুরী নামে তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, পরমপাল ও সিমরন এয়ার কানাডায় কাজ করতেন। তাঁরাই এই চুরির ঘটনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। দুই অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট বিমান পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এয়ার কানাডার মুখপাত্র পেটার ফিটজপ্যাট্রিক। তিনি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারির আগে পরমপাল ইস্তফা দিয়েছেন। সিমরনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মূল তদন্তকারী মাইক ম্যাভিটি জানিয়েছেন, কানাডার ইতিহাসের এটাই সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। বিমানসংস্থায় কর্মরত ওই দুই ব্যক্তি এয়ারপোর্ট থেকে সোনা বোঝাই কার্গো বের করতে সাহায্য করেছিলেন।