ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
শারদ পাওয়ারের এনসিপি ভেঙে গত বছর মহারাষ্ট্রে বিজেপি-একনাথ সিন্ধের শিবসেনা সরকারে যোগ দিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। পেয়েছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ। তবে তার আগে ২৫ হাজার কোটির সমবায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলায় অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দেগেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি। শারদ পাওয়ারের ভাইপো বিজেপি শিবিরে নাম লেখাতেই সেই মামলা ঠান্ডাঘরে চলে গিয়েছিল। লোকসভা ভোটের মধ্যেই তদন্তের দায়িত্বে থাকা মুম্বই পুলিসের আর্থিক অপরাধ শাখার এই ক্লোজার রিপোর্ট সামনে আসা ঘিরে রাজনীতির অলিন্দে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই রিপোর্টে সুনেত্রা ও অজিত পাওয়ারকে ক্লিনচিট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পাওয়ার দম্পতির লেনদেনে কোনও রকম অপরাধের ঘটনা ঘটেনি। ঋণে অনুমোদন বা অজিত পাওয়ারের মালিকানাধীন জারান্দেশ্বর চিনিকল বিক্রি সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় ব্যাঙ্কের কোনও ক্ষতি হয়নি। এছাড়া, জয় অ্যাগ্রোটেকের ডিরেক্টর পদ থেকে ২০০৮ সালেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন সুনেত্রা পাওয়ার। ওই সংস্থা জারান্দেশ্বর চিনিকলকে তার দু’বছর পর ২০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। এরপর ওই চিনিকলটি নিলামে ৬৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় কেনে গুরু কমোডিটি নামে একটি সংস্থা। পরে তা রাজেন্দ্র ঘাড়গে নামে পাওয়ার পরিবারের এক আত্মীয়কে লিজে দেওয়া হয়। এই সংস্থাটি ভাড়া হিসেবে ৬৫ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা দেয় গুরু কমোডিটিকে।
ক্লিনচিটের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর তোপ দেগেছে বিরোধী শিবির। উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনা শিবিরের নেতা আনন্দ দুবে সুর চড়িয়ে বলেন, সস্ত্রীক আজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার কোটির দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তাঁর দাবি ছিল, গোটা পাওয়ার পরিবার দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু সেই মামলাতেই অজিত ও সুনেত্রা পাওয়ারকে ক্লিনচিট দিয়ে দেওয়া হল। বিরোধীরা যে বিজেপির বিরুদ্ধে শুধু শুধু ওয়াশিং মেশিন বলে তোপ জাগছে না, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। বিজেপি যাদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে, শিবির বদলের পর তারা প্রত্যেকে ক্লিনচিট পেয়েছেন। কিন্তু যে বিরোধী নেতারা শিবির বদল করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনের মতো নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর বিজেপি শিবিরে নাম লেখালে মন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে, লোকসভার টিকিট দেওয়া হচ্ছে।