ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
কেন জয় নিয়ে সংশয় আছে নাকি? ৮০ বি, শক্তিনগর ঠিকানার বিশাল বাড়িটার মালিকের কাছেই সরাসরি রাখলাম প্রশ্ন? ওম বিড়লার সহাস্য জবাব, ‘জিতব তো নিশ্চিত। তবে কংগ্রেস জাতি কার্ড খেলে বাগড়া দিতে চাইছে।’ বিড়লার বিরুদ্ধে কোটায় কংগ্রেসের প্রার্থী বিজেপির দলবদলু প্রহ্লাদ গুঁজল। তিনি গুজ্জর (তফসিলি)। রাজস্থান বিধানসভার দু’বারের প্রাক্তন বিধায়ক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ঘনিষ্ঠ বলেই রাজস্থানের রাজনীতিতে পরিচিত।
মাড়োয়ারি ওম বিড়লা সামান্য হলেও স্নায়ুচাপ রয়েছেন বলেই বোধ হল। যদিও তাঁর দাবি, ‘কোনও টেনশন নেই। কোটার জন্য কাজ করেছি। মানুষ জানে। বিমানবন্দর হয়েছে। ২২৮ কোটি টাকায় রেলস্টেশনের সংস্কারের কাজ চলছে। ১১ জেলার পাসপোর্ট কেন্দ্র করেছি। কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকায় ৫৬ টা পুকুর কাটা হয়েছে। বাকি তো মোদিজি কা গ্যারান্টি।’
প্রচারে বেরনোয় সময় গলায় ঝুলিয়েও দিলেন মোদির ছবি দেওয়া গেরুয়া উত্তরীয়। বাড়ির লাগোয়া উঠোনে টাঙানো হয়েছে শামিয়ানা। চলছে চারটি ডেজার্ট-কুলার। যেই আসছেন, মিলছে দুটি নিমকি, একটা নারকোল বরফি আর চা-কফি। ঠান্ডা জল। সকাল ১০টা থেকে ওম বিড়লা বেরচ্ছেন প্রচারে। ফিরছেন ১২ ঘণ্টা পরে। ঘুরছেন প্রতিটি গ্রাম। শহর এলাকা। দুপুরে তারই ফাঁকে সেরে নিচ্ছেন রাজস্থানি থালির লাঞ্চ। প্রচারে খুঁত না রাখার কারণ, এবার যে তাঁর ডাবল হ্যাটট্রিকের পরীক্ষা। তাই ওম বিড়লার স্ত্রী অমিতাদেবী প্রায় প্রতিদিন কোটার মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিচ্ছেন। পড়ছেন রামকথা। জানালেন বিড়লার গাড়ির চালক ধীরজ সিং।
রাজস্থান বিধানসভায় পরপর তিনবার বিধায়ক ছিলেন ওম বিড়লা। ২০১৪-১৯, পরপর দু’বার সাংসদ। তাই এবার সাংসদ হিসেবেও হ্যাটট্রিকের পরীক্ষা। তবে কোটার কপালে যে রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক টিউশন কেন্দ্রগুলিতে কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যার কলঙ্ক। গত ২০ বছরের ইতিহাসে কোনও লোকসভার স্পিকারই দ্বিতীয়বার জিতে আসতে পারেননি। মনোহর জোশি, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, মীরা কুমার, সুমিত্রা মহাজন তার উদাহরণ। এই তথ্যই ভাবাচ্ছে ওম বিড়লাকে।