বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
সোমবার প্রোজ্জ্বল ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কর্ণাটকে জেডিএসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করছে বিজেপি। কয়েকদিন আগেই প্রোজ্জ্বলের হয়ে প্রচার করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অশ্লীল ভিডিও কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ করে রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর দাবি, প্রোজ্জ্বলের ভিডিওর বিষয়টি বিজেপি আগে থেকেই জানত। এমনকী পদ্ম শিবিরের এক নেতা বিষয়টি উপরতলাকে জানিয়েছিলেন। তার পরেও জেডিএসের সঙ্গে বিজেপি কেন জোট করল? এক্স হ্যান্ডলে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘যে নেতার কাঁধে হাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছবি তুললেন। যে নেতার জন্য প্রধানমন্ত্রী দশদিন আগে প্রচারে এসে প্রশংসা করলেন। আজ কর্ণাটকের সেই নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’ তিনি লিখেছেন, এই ঘটনায় কয়েকশো মহিলার জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মোদিজি, আপনি চুপ করে আছেন কেন?’
শুধু বিরোধীরা নয়, এই ঘটনায় জেডিএসের অন্দরেও কোন্দল শুরু হয়েছে। প্রোজ্জ্বলকে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়ে সোমবার দেবেগৌড়াকে চিঠি দিয়েছেন দলের বিধায়ক শরণগৌড়া কান্দকুর। দু’পাতার ওই চিঠিতে কান্দকুর লিখেছেন, প্রোজ্জ্বলের অশ্লীল ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় দল ও দলের প্রধান হিসেবে দেবেগৌড়ার ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। তাই প্রোজ্জ্বলকে অবিলম্বে দল থেকে সাসপেন্ড করা উচিত। তবে প্রোজ্জ্বলের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর বাবা এইচ ডি রেভান্না। তাঁর দাবি, পুরোটাই ষড়যন্ত্র। যে ভিডিওগুলি অসত্য একবারও তিনি বলেননি। তাঁর সাফাই, এগুলি ৪-৫ বছরের পুরনো। প্রোজ্জ্বলকে সাসপেন্ডের বিষয়টি দলের হাই কম্যান্ড ঠিক করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রবিবার প্রোজ্জ্বলের বাবার বিরুদ্ধেও শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ করেছেন এক মহিলা। সেই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, এটাও রাজনীতি। এই নিয়ে মন্তব্য করবেন না। কয়েকদিন আগে প্রোজ্জ্বলের প্রচুর অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। কয়েকটি মহলের দাবি, এই ভিডিওর সংখ্যা হাজারের বেশি। ভিডিওগুলিতে একাধিক মহিলাকে নির্যাতন করতে দেখা গিয়েছে প্রোজ্জ্বলকে। লোকসভা নির্বাচনে হাসান কেন্দ্র থেকে জেডিএসের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে এক মহিলা প্রোজ্জ্বলের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়েরের পরই ভিডিওর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই মহিলার দাবি, ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তাঁকে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন করেছেন প্রোজ্জ্বল। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওগুলি ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠনের নির্দেশ দেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। যদিও প্রোজ্জ্বলের দাবি, ভিডিওগুলি তাঁর নয়। তাঁর ভাবমূর্তি খারাপ করার জন্যই ভিডিওগুলি ‘বিকৃত’ করে ছড়ানো হয়েছে। তবে, সিট গঠনের কথা ঘোষণা হতেই দেশ ছেড়েছেন প্রোজ্জ্বল।
প্রোজ্জ্বলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ, প্রিয়াঙ্কা সেই প্রশ্ন তুললেও প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র এস প্রকাশ রবিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপি এই ভিডিও নিয়ে কোনও মন্তব্য করবে না।