বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
লড়াই জামাইয়ের হলেও, আসল কুশীলব খাড়্গেই। তাঁর ইজ্জতের লড়াই। রাজনীতিতে নিজের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার। জামাই বাবাজির জয় নিশ্চিত করতে তাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে গোটা পরিবার। এখানে ভোটগ্রহণ ৭মে— তৃতীয় দফায়। গত মাসেই দু’টি জনসভা সেরে ফেলেছেন খাড়্গে। সময় যত এগিয়ে আসছে, কংগ্রেসের প্রচারের ঝাঁজ ততই বাড়ছে। সহানুভূতি কাজে লাগাতেও তৎপর কংগ্রেস সভাপতি। এক জনসভায় তাঁর আবেদন, কংগ্রেসকে ভোট দিন বা না দিন। যদি মনে করেন, আমি কালবুর্গির জন্য কিছু করেছি তবে আমার শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন। অপরদিকে, জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবিরও। ১৬মার্চ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়। সেদিনই এই গুলবার্গা লোকসভা কেন্দ্র থেকেই বিজেপির প্রচারাভিযান শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতার মেয়ের খুনের ঘটনা এখন হাতেগরম ইস্যু দিয়েছে বিজেপিকে। সলতে পাকানো শুরু করেছেন উমেশও। ৭০ শতাংশ হিন্দু প্রভাবিত কালবুর্গিতে তাঁর প্রচারে বারে বারেই আসছে লাভ জেহাদের কথা।
উমেশের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী মনোভাবকেই কাজে লাগাতে চান কংগ্রেসে প্রার্থী ডোড্ডামানি। এটা আঁচ করেই শেষমুহূর্তে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। গতবছরে এই জেলায় একটি মেগাটেক্সটাইল পার্কের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বেঙ্গালুরু ও কালবুর্গির মধ্যে দু’টি ট্রেন চালু করা হয়েছে। তাদের প্রচারে বারেবারে উঠে আসছে এই বিষয়গুলিই। অন্যদিকে, কল্যাণ কর্ণাটক অঞ্চলের জন্য সংবিধানের ৩৭১-জে অনুচ্ছেদ সংস্কারের কৃতিত্ব দাবি করছে কংগ্রেস। এই লেআসনের অধীনে রয়েছে আটটি বিধানসভা কেন্দ্র। এর মধ্যে ছ’টি বিধানসভাই রয়েছে কংগ্রেসের দখলে। একটি করে আসনে ক্ষমতায় রয়েছে জেডি (এস) এবং বিজেপি। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, সংরক্ষণের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাই তুলে ধরছে কংগ্রেস। পাশাপাশি গুরুত্ব পাচ্ছে রাজ্যের সিদ্ধারামাইয়া সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের মৌলিক অধিকারগুলিকে সামনে রেখেই হারানো জমি পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়েছে হাত শিবির।