সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: চলতি সপ্তাহে কাঁচা চা পাতার দাম তলানিতে ঠেকেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় তিনমাস বাগানে উৎপাদন বন্ধ ছিল। এ সময় চা বাগান পরিচর্যা করা হয়েছিল। চলতি মরশুমে মার্চ মাস থেকে কাঁচা চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। কিন্তু ফার্স্ট ফ্লাশ থেকেই পাতার দাম মিলছে না বলে ক্ষুদ্র চা চাষিদের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, বিভিন্ন কারণে মরশুমের শুরু থেকেই কাঁচা পাতার দাম একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়ে গিয়েছেন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের ক্ষুদ্র চা চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, চলতি বছর পাতা উত্তোলনের শুরু থেকেই দর কিছুটা নিম্নগামী হতে শুরু করেছে। তারপর এখনও পর্যন্ত দাম আর ওঠেনি। গতবছর গড়ে কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত কাঁচা চা পাতার দাম মিলেছে। কিন্তু বর্তমানে পাতার হ্রাস পেয়ে কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকায় নেমে এসেছে। কাঁচা চা পাতার দাম কমতে শুরু করায় আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলায় শতাধিক ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। জেলার চা বাগানগুলির মধ্যে অধিকাংশই মেখলিগঞ্জ ব্লকে। জামালদহের ক্ষুদ্র চা চাষি অমল রায় কার্জি, কানাই বর্মন, বীরেন্দ্র রায় ডাকুয়া, তপন বর্মন, চ্যাংরাবান্ধার অমল সরকার প্রমুখ বলেন, গতবছর কাঁচা চা পাতার বাজারদর বেশ ভালোই ছিল। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কাঁচা পাতার দাম অনেকটাই নেমেছে। বাগান পরিচর্যার খরচ এখন অনেক বেড়েছে। সেই তুলনায় পাতার দাম না মিললে বাগান বন্ধ করে দিতে আমরা বাধ্য হব।
চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ক্ষুদ্র চা চাষিদের পাশে রয়েছি আমরা। চাষিরা যাতে পাতার ন্যায্য মূল্য পান, সেজন্য ভারতীয় চা পর্ষদের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পাতার গুণমান বাড়ানোর জন্য ক্ষুদ্র চা চাষিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।