ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
অধিকাংশ প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষার ফলাফলই মোদি-শাহের ৪০০ আসনের দাবির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করেছে। কিন্তু সেসবের সঙ্গে বাস্তবের যে কোনও যোগ নেই, তা বৃহস্পতিবার জোর গলায় জানিয়েছেন রাহুল গান্ধীও। মমতার সুরে সুর মিলিয়ে তিনিও দাবি করেছন, ‘বিজেপি দেড়শোর বেশি আসন পাবে না।’ কিন্তু প্রথম দফার ভোটের দিনে এই ইস্যুতে আরও আগ্রাসী ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সিরাজদ্দৌলার জেলার মাটিতে গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিয়ে তাঁর হুঙ্কার, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যেই বিজেপি গুটিয়ে যাবে। অপশাসনের দিন শেষ হবে।’
এদিন পরপর দু’টি নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা। প্রথমটি মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে হরিহরপাড়ায়। আর দ্বিতীয়টি সুতিতে, জঙ্গিপুরের দলীয় প্রার্থী খলিলুর রহমানের প্রচারে। উভয় সভাতেই ছিল উপচে পরা ভিড়। ছাউনির কাঠামো ধরে ঝুলতেও দেখা যায় উৎসাহী জনতাকে। এমনকী পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, ভিড় সামাল দিতে মাইকে নির্দেশ দিতে হয় স্বয়ং মমতাকে। কেডি স্কুলের মাঠের সেই জনতাকে সাক্ষী রেখেই এদিন তিনি দেশ থেকে রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে হটানোর আওয়াজ তোলেন। গেরুয়া শিবিরকে ‘লুটেরাদের দল’ বলে আক্রমণ করে নেত্রী স্লোগান তোলেন, ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও। বিজেপিকে ছাড়ব না। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করব। কারণ, এরা দেশের সঙ্গে গদ্দারি করেছে। আর মনে রাখবেন আজ ইউপি, বিহার, মহারাষ্ট্র সব জায়গায় একটাই আওয়াজ উঠেছে—ঘর ঘর মে শোর হ্যায়, বিজেপি চোর হ্যায়!’
অভিন্ন দেওয়ানী বিধির প্রতিবাদেও মমতা এদিন গর্জে উঠেছেন। অভিযোগ তুলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে দেশের মানুষকে ভাগ করতে চায় বিজেপি। তাঁর কথায়, ‘ওরা বহিরাগত দস্যু। দানবের ধর্ম বাইরে থেকে আমদানি করেছে। ফলে এটা হল বিজেপির হাত থেকে হিন্দু, মুসলিম, শিখ সবাইকে বাঁচানোর লড়াই।’ রামনবমীর দিনের বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনার উল্লেখ না করলেও অস্ত্র হাতে মিছিলের প্রতিবাদ জানান নেত্রী।
মুর্শিদাবাদ জেলায় এবার রাজ্যের শাসকদলের পাখির চোখ বহরমপুর। সেখানে পাঁচবারের সাংসদ কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। জেলার বাকি দুই কেন্দ্রের সঙ্গেই বহরমপুরের ভোট না করার পিছনেও বিজেপি-নির্বাচন কমিশনের আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন মমতা।