ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
আজ, শুক্রবার লোকসভার প্রথম দফার নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন হচ্ছে এমন এলাকায় বাইরের লোক গিয়ে কেউ যাতে ভোটারদের প্রভাবিত না করেন, সেদিকে নির্বাচন কমিশনকে নজর দেওয়ার আর্জি জানায় তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে পাঠানো চিঠিতে তৃণমূল উল্লেখ করে, বাংলার সাংবিধানিক প্রধান হয়েও সাংবিধানিক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না রাজ্যপাল। এর আগে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে সেই সেই সফর বাতিল করতে বাধ্য হন রাজ্যপাল। তার বদলে ওই দু’দিনই আলিপুরদুয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু ১৯ এপ্রিল কোচবিহারের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতেও তো নির্বাচন! তাহলে? একইসঙ্গে রাজ্যপালের নাম উল্লেখ করে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, রাজ্যপাল নানা সময়ে বিজেপির প্রতি পক্ষপাতদুষ্টু মনোভাব প্রকাশ করে বাংলার নির্বাচিত সরকারের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট। এমন একজন রাজনৈতিক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট দু’দিন, নির্বাচন চলাকালে বা তার ঠিক আগে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে যাতে না যেতে পারেন, সেই বিষয়ে আমরা কমিশনকে আবারও হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছি। এই অভিযোগ তোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে সফর বাতিলের কারণ কী? এবিষয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, হিংসার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যেই আমি বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এই যাত্রায় রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা চলছে। রাজ্যপালের যাত্রা স্থগিত করা যায় না। তবে রাজভবনের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে রাজভবনে ‘পিস রুম’ চলবেই। সেখানে ফোন বা ই-মেল করে রাজ্যপালকে অভিযোগ জানানো যাবে।
এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। লোকসভা নির্বাচনেও একই পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর এই সফর নিয়ে তৃণমূল অভিযোগ তোলার পরই রাজ্যপাল মত পরিবর্তন করলেন বলে বিস্তর চর্চা চলছে।