ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
বিমানবাবুরা রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে বিজেপিকে পরাস্ত করতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূলকে হারাতে হবে রাজ্যটাকে বাঁচাতে। কেন্দ্রে বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়ারও ডাক দেওয়া হয়েছে। তাই বামফ্রন্ট ও বাম সমর্থিত প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন বিমানবাবুরা।
১৪ পাতার এই আবেদনপত্রে বামফ্রন্ট বলেছে, এই নির্বাচন নাগরিকদের মৌলিক অধিকার থাকবে কি না, এই ভোট সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়েছে, এবার ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল মাত্র দু’দিনে। বিমানবাবু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এই ঘটনার দায় বিজেপির। আবেদনপত্রে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশে ১ শতাংশ ধনী মানুষের হাতে সম্পদের ৪০ শতাংশ জমা রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিক শ্রেণির উপর আক্রমণ, কৃষিতে সংকট, আদিবাসী ও তফসিলি জাতিদের উপর আক্রমণের বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়েছে। ইলেক্টোরাল বন্ডের দুর্নীতির কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে এই আবেদনপত্রে। পাশাপাশি উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতির বিষয়টি। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ইস্তাহারকে বিমানবাবুর কটাক্ষ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘৩৪ বছরের অত্যাচারী সিপিএম সরকারকে সরিয়ে বাংলায় শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তাহারে তিনি যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা বাস্তবে পরিণত হয়। বহু সিপিএম পরিবার মা-মাটি-মানুষের সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করছেন। বিমানবাবু, আপনার দলের কমরেডদের কাছ থেকে সেই ফিরিস্তি আগে নিন, সমালোচনা পরে করবেন।’