ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
সাংসদকে না পাওয়ার আক্ষেপ অবশ্য কবিতা বর্মনের নেই। তিনি বলেন, ‘রাজাদা (অরুণাভ সেন) আমাদের সঙ্গে আছেন। আমরা রাজাদাকে দেখেই ভোট দিই। প্রার্থীকে দেখে নয়’। খানিকটা এগনোর পর দেখা হল গৌতম বারিকের সঙ্গে। পেশায় কৃষক গৌতমবাবুর কথায়, সাজদা আহমেদকে কোনওদিন দেখিনি। শুনেছি, এবারেও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাই দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। র্যালি আরেকটু এগতেই দেখা গেল, একটি গাছের ছায়ায় টুল নিয়ে বসে আছেন বৃদ্ধ মহম্মদ ইউনুস। লোকসভা ভোট নিয়ে কী ভাবছেন? বললেন, ‘বাবা বয়স অনেক হল। তবে সুলতান আহমেদের ধারেকাছে যেতে পারবেন না তাঁর স্ত্রী। যাই হোক, রাজা থাকায় আমরা সেই অভাব বোধ করি না’।
বাগনান বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের দ্বিতীয় র্যালি ছিল বুধবার। এদিন শরৎ ওড়ফুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় র্যালি করেন তিনি। এদিন তৃণমূলের এই বর্ণাঢ্য র্যালি নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। হুড খোলা গাড়িতে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ। গাড়ির সামনে হেঁটেই যাচ্ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অরুণাভ সেন। রাস্তার দু’পাশে যাঁরা প্রার্থীকে দেখার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই ফুল-মালা নিয়ে এসেছিলেন। সেই মালা প্রার্থীকে পরানোর হিড়িক যত না, তার থেকে তাঁরা বেশি মালা পরিয়েছেন বিধায়ককে। সকলের একটাই কথা, ‘লোকসভা ভোট হোক বা বিধানসভা, আমাদের কাছে একজনই প্রার্থী, তিনি হলেন রাজাদা’। জনপ্রিয়তার প্রশ্ন উঠতেই অরুণাভ সেন বলেন, সাংসদকে এলাকার মানুষ সবসময় পান না। আমরাই সুখে দুঃখে মানুষের পাশে থাকি। তাই মানুষ আমাদের প্রতি একটু বেশি আস্থাশীল। তিনি বলেন, এক সময় দলের কয়েকজন মানুষের সঙ্গে অবিচার করেছিল। আমরা তাদের দল থেকে বহিষ্কার করেছি। হয়তো সেইজন্যই মানুষ আরও বেশি করে আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন। সাজদা আহমেদের প্রতি মানুষের এই মনোভাবকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি’র হাওড়া গ্রামীণ জেলার সহ সভাপতি রমেশ সাঁধুখা। তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, সাজদা আহমেদ পরিযায়ী পাখি। আজ সেটা সাধারণ মানুষের মুখ থেকেই বেরিয়ে এল।