ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিতোষবাবু সুখচরের ডাঃ গোপাল চ্যাটার্জি রোডে এক আবাসনে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তাঁর দুই ছেলে এবং এক মেয়ে অন্যত্র থাকেন। গত সোমবার দুপুরের পর থেকে আবাসনের কেউ তাঁকে দেখতে পাননি। সকলেই ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো কোথাও গিয়েছেন। তাছাড়া প্রত্যেকে নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। বুধবার দুপুর থেকে আবাসনে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। কিন্তু তার উৎস কেউ বুঝতে পারছিলেন না। বিকেলের দিকে পচা গন্ধ আরও বাড়ে। এরপর আবাসনের বাসিন্দারা দুর্গন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে লিফটের গর্তে পরিতোষবাবুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে খড়দহ থানার পুলিস এসে পচাগলা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিস আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে জানতে পেরেছে, ২৯ এপ্রিল দুপুরে পরিতোষবাবু চারতলার ফ্ল্যাট থেকে হেঁটে তিন তলায় নামেন। এরপর তিনি লিফটের কোলাপসিবল গেট ধরে টানেন। গেট খোলার পর লিফটের ভিতরে পা বাড়াতেই নীচে পড়ে যান।
পুলিস তদন্তে জেনেছে, বেশ কয়েক দিন ধরে এই পাঁচতলা আবাসনের লিফট খারাপ। সেকারণে, তিনতলায় লিফটটি না থাকলেও বাইরের কোলাপসিবল গেট টানতেই তা খুলে যায়। পরিতোষবাবু লিফট খারাপের বিষয়টি জানতেন না। গেট খোলায় তিনি লিফট আছে ভেবে ভিতরে পা বাড়াতেই নীচে পড়ে যান। পরে আবাসিকরা তিনতলায় লিফটের দরজা খোলা দেখে তা বন্ধ করে দেন। কিন্তু লিফটের গর্তে কেউ পড়তে পারে, এমনটা কারও মাথায় আসেনি। পরে লিফট সারাই হওয়ার পর তা ওঠানামা শুরু করে। শেষপর্যন্ত দুর্গন্ধ বের হওয়ায় সকলে বিষয়টি জানতে পারেন।