উত্তরবঙ্গ

 খরিফে শস্যবিমার টার্গেট পূরণে ডাহা ফেল, রবি মরশুমে চ্যালেঞ্জ নিয়ে ময়দানে কৃষিদপ্তর
 

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: খরিফ মরশুমে জেলায় এক লক্ষ কৃষককে বাংলা শস্যবিমার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টার্গেট পূরণে ডাহা ফেল করে কৃষিদপ্তর। বারবার সময়সীমা বাড়ানোর পরও সাকুল্যে ৫২ হাজার কৃষককে শস্যবিমার আওতায় আনা সম্ভব হয়। ফলে এবার রবি মরশুমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েই ময়দানে নেমেছে জলপাইগুড়ি জেলা কৃষিদপ্তর। গতবার রবি মরশুমে ৫৬ হাজার কৃষককে বিমার আওতায় আনা গিয়েছিল। এবার আরও ২০ হাজার কৃষককে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে জোর দেওয়া হয়েছে প্রচারে। গ্রামেগঞ্জে, হাটে-বাজারে বাংলা শস্যবিমার প্রচারের জন্য মঙ্গলবার ট্যাবলোর উদ্বোধন করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পারভীন। ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) পুষ্পক রায়, উপ কৃষি অধিকর্তা গোপাল সাহা।
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, চলতি রবি মরশুমে বোরো ধানের পাশাপাশি চীনাবাদাম, ভুট্টা, সর্ষে, আলু, তিল ও গম চাষে যুক্তদের বাংলা শস্যবিমার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একমাত্র গরমের ভুট্টা চাষের ক্ষেত্রে শস্যবিমায় আবেদনের শেষ সময়সীমা ৩১ মার্চ। বাকি শস্যের ক্ষেত্রে বিমার জন্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট কৃষককে।
জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা গোপাল সাহা বলেন, গতবার মাত্র ১১৮ জন আলুচাষিকে বাংলা শস্যবিমার আওতায় আনা গিয়েছিল। এবার সংখ্যাটা অন্তত ২০ হাজার করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, গতবার বিমার প্রিমিয়াম আলুচাষিদেরই বহন করতে হতো। কিন্তু এবার তা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ফলে জেলায় যাঁরা আলুচাষ করছেন, তাঁরা যাতে প্রত্যেকেই বিমার আওতায় আসেন, সেই টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
আলুর পাশাপাশি ভুট্টা চাষের এলাকা এবার জলপাইগুড়ি জেলায় অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে কৃষিদপ্তর। গতবার জেলায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছিল। এবার তা ৩৫ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা। একইভাবে গত বছর জেলায় সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল। এবার অন্তত ২০ হাজার হেক্টর জমিতে তা চাষ হবে বলে দাবি কৃষি আধিকারিকদের।
কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, অনেকেই আমন ধান তুলে সেই জমিতে আলু বসিয়েছেন। আবার একসময় যাঁরা গম চাষ করতেন, তাঁরা এখন বেশি লাভের আশায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন। জলপাইগুড়িতে অবশ্য বোরো ধান চাষের এলাকা সেই অর্থে বেশি নয়। গত বছর ১৭১৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। বোরো চাষ করা ৭১৮৪ জন কৃষককে গতবার শস্যবিমার আওতায় আনতে পেরেছিল কৃষিদপ্তর। এবারও একই টার্গেট রাখা হয়েছে। গতবার জেলায় ৫৩১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল চীনাবাদামের। ওই ফসল চাষ করা ২৫৭৪ জন কৃষককে শস্যবিমার আওতায় আনা গিয়েছিল। এবারও চাষের এলাকা খুব একটা বাড়বে বলে মনে করছে না কৃষিদপ্তর। ফলে এক্ষেত্রেও টার্গেট বাড়ানো হয়নি।
17h 17m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৭ টাকা৮৬.৭১ টাকা
পাউন্ড১০৫.৭০ টাকা১০৯.৪৩ টাকা
ইউরো৮৭.৫৩ টাকা৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা