উত্তরবঙ্গ

বাড়ি থেকে ডেকেও আনা যাচ্ছে না পড়ুয়া, বন্ধের মুখে ২ জুনিয়র হাইস্কুল

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: কোথাও সাকুল্যে পড়ুয়া ছ’জন। কোথাও আবার খাতায়কলমে দশজন পড়ুয়া থাকলেও, আসে চার-পাঁচজন। স্কুলে এসে ছাত্রছাত্রী খুঁজতে বের হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কখনও বাড়ি থেকে ধরে আনতে হয় পড়ুয়া। কখনও আবার ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে নিয়ে আসতে হয় খেলার ‘টোপ’ দিয়ে। এতকিছুর পরও ফাঁকা থেকে যায় ক্লাসরুমের বেঞ্চ। দীর্ঘদিন ধরেই পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকছে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া নয়াপাড়া জুনিয়র হাইস্কুল কিংবা রাখালদেবী গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল। দু’টি স্কুলের একটিতেও এবার এখনও পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণিতে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। কাকতালীয় হলেও সত্যি, দু’টি স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া বলতে একজন। নয়াপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে সাতজন এবং অষ্টমে একজন। রাখালদেবী গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়ার সংখ্যা তিন, অষ্টমে দু’জন। শিক্ষাদপ্তরের তরফে বারবার বলা হয়েছে, পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে হবে। নতুবা বন্ধ হয়ে যাবে স্কুল। ফলে চরম আশঙ্কা নিয়েই প্রতিদিন স্কুলে আসতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
কেন এই হাল? নয়াপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষক অভিজিৎ দাশগুপ্তের বক্তব্য, অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের বড় স্কুলে পড়াতে চান। ফলে আমরা ছাত্রছাত্রী পাচ্ছি না। তাঁর দাবি, আমাদের স্কুলের সঙ্গেই প্রাইমারি রয়েছে। সেখানে যেসব ছেলেমেয়েরা পড়ে, তাদের বাবা-মায়েদের কত করে বোঝাই আমরা, তবুও তাঁরা আমাদের স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে নারাজ। রাখালদেবী গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পপি দাস বলেন, খাতায়কলমে এখন ছ’জন পড়ুয়া। তাও তাদের ডেকে ডেকে স্কুলে আনতে হয়। কখনও বাবা-মায়েদের ফোন করি। ফোনে না পেলে মেয়েদের বাড়িতে ছুটি। স্কুলে আসতে না চাইলে খেলাধুলোর ‘টোপ’ দিয়ে আনতে হয়। ওই শিক্ষিকার কথায়, আমাদেরও প্রাইমারি বিভাগ রয়েছে। কিন্তু সেখানকার পড়ুয়ারা পঞ্চম শ্রেণিতে সবাই অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে। যেসব স্কুলে তারা ভর্তি হচ্ছে, সেসব স্কুলে গিয়েও হাতজোড় করে বলে এসেছি আমরা, যাতে তারা ওইসব পড়ুয়াদের ভর্তি না নেয়। এতকিছু করেও ছাত্রী পাচ্ছি না। কী করব।
জলপাইগুড়ি সদরে শিক্ষাদপ্তরের নর্থ সার্কেলের অন্তর্গত নয়াপাড়া জুনিয়র হাইস্কুল। এই সার্কেলে আটটি জুনিয়র হাইস্কুল রয়েছে। যদিও পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য হয়ে যাওয়ায় গতবার থেকেই ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে রানিনগর সর্দারপাড়া জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলের। স্কুল পরিদর্শক যূথিকা সিনহা বলেন, নয়াপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলের হাল খুবই খারাপ। আমরা বারবার শিক্ষকদের বলছি, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য। না হলে শিক্ষাদপ্তর যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে। রাখালদেবী গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলটি সাউথ সার্কেলে। এই সার্কেলেও রয়েছে চারটি জুনিয়র হাইস্কুল। সেগুলির হালও একইরকম।
নয়াপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষক দু’জন। বিজ্ঞান বিভাগের কোনও শিক্ষক নেই। বারবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও এখনও তা মেলেনি। রাখালদেবী গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলে অবশ্য সোমবার একজন নতুন শিক্ষক দেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানে শিক্ষকের সংখ্যা দাঁড়াল তিন। কিন্তু ছ’জন ছাত্রীকে পড়াতে তিনজন শিক্ষিকা! এভাবে কতদিন? প্রশ্ন উঠছে শিক্ষাদপ্তরের অন্দরেই।
গুটিকয় পড়ুয়া নিয়েই পঠনপাঠন। নয়াপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলে তোলা নিজস্ব চিত্র। - নিজস্ব চিত্র।
16h 16m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৭ টাকা৮৬.৭১ টাকা
পাউন্ড১০৫.৭০ টাকা১০৯.৪৩ টাকা
ইউরো৮৭.৫৩ টাকা৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা