উত্তরবঙ্গ

শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোডাউনই ডেঙ্গুর আঁতুরঘর!

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সেন্ট্রাল ওয়ার হাউস কার্যত ডেঙ্গুর বাহক মশার আঁতুর ঘর! শিলিগুড়ি শহরের নবগ্রামে ওই গোডাউন। তাতে বিকল গাড়ির সংখ্যা অসংখ্য। যার কুঠরি, পরিত্যাক্ত চাকায় জমে রয়েছে বৃষ্টির জল। কিলবিল করছে মশার লার্ভা। শুধু তাই নয়, গোটা এলাকা জঙ্গলে ঢাকা। সোমবার স্বাস্থ্যকর্মী ও ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের কাছ থেকে এমন রিপোর্ট পেয়ে উদ্বিগ্ন মেয়র গৌতম দেব। তিনি সংশ্লিষ্ট গোডাউন কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মেয়র বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের  নিয়ন্ত্রণাধীন ওই গোডাউন কার্যত ডেঙ্গুর এপিসেন্টারে পরিণত হয়েছে। সেখান থেকে মশার লার্ভা মিলেছে। কাজেই ডেঙ্গু দমনে সেই গোডাউন মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নবগ্রাম এলাকাটি শহরের ২৭ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে সীমানাস্থল। দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার অধীনস্থ ওয়ার হাউস। বিশাল এলাকা নিয়ে গড়া ওই গোডাউন চত্বরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এদিন পুরসভার কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই গোডাউনে প্রচুর গাড়ি রয়েছে। যারমধ্যে বেশ কিছু গাড়ি বিকল। সেগুলি খোলা আকশের নীচে পড়ে রয়েছে। সেগুলির সিট, দেওয়াল, ইঞ্জিন প্রভৃতি কুঠরিতে এবং যত্রতত্র পড়ে থাকা টায়ারে জমছে বৃষ্টির জল। নিয়মিত এলাকাটি সাফাই করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। গোটা এলাকায় আবর্জনা ছড়িয়ে রয়েছে। এলাকার একাংশ জঙ্গলে ঢাকা। সর্বদা সেখানে ভনভন করছে মশা। সবমিলিয়ে এলাকাটি মশার আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে।
একই সঙ্গে স্থানীয় এলাকায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব। মেয়র বলেন, ওই গোডাউনের এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে পুরকর্মীরা পৌঁছতেই পারছেন না। শহরের মধ্যে এমন পরিস্থিতি থাকবে, তা মানা যায় না। নিয়মিত সংশ্লিষ্ট এলাকা সাফাই করার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন। যা পুরসভার একারপক্ষে করা সম্ভব নয়। শীঘ্রই গোডাউন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব। এদিন বহু চেষ্টা করেও সংশ্লিষ্ট সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিন শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছে পুরসভা। বৈঠকে মেয়র ছাড়াও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বৈঠকের পর মেয়রের দাবি, ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় এবার শহরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। ৫, ২৭ সহ হাতেগোনা কয়েকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। জঙ্গলে ঢাকা বহু জমির মালিকের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কেউ কেউ জমি পরিষ্কার করেছেন। আবার পুরসভা কিছু জমির জঙ্গল সাফাই করেছে। এজন্য পুরসভা জমির মালিকের কাছ থেকে সাফাইয়ের বিল নিয়েছে।
তবে, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখন থেকেই ফের সাফাই অভিযোনে জোর দিচ্ছি। পুরসভা সূত্রের খবর, এবার ১০ মাসে শহরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪জন। যারমধ্যে দার্জিলিং জেলার ৩৩টি ওয়ার্ডে ৪৮জন এবং জলপাইগুড়ি জেলার ১৪টি ওয়ার্ডে ৩০জন। বাকি ৬জন বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এখানে এসেছেন।
8h 8m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৩ টাকা৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড১০৭.৮৭ টাকা১১১.৬৫ টাকা
ইউরো৮৯.৬৮ টাকা৯৩.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা