রাজ্য

খাগড়াগড় কাণ্ডের চক্রী তারিকুলের পরিবারকে নিয়মিত মাসোহারা পাঠাত জেলবন্দি সতীর্থ জঙ্গি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেঙ্গল এসটিএফের হেফাজতে থাকা আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) অন্যতম মাথা তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমনের স্ত্রীর কাছে প্রতি মাসে সংসার খরচ বাবদ যেত ১০ হাজার টাকা। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি আরেক এবিটি জঙ্গি নাজিবুল্লা হাক্কানি ওরফে হানিজালা এই টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল। নাজিবুল্লার এক শাগরেদ এই টাকা পৌঁছে দিত ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে। তারিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এরপরই তার স্ত্রীর ভূমিকা তদন্তকারীদের স্ক্যানারে চলে এসেছে।
 তারিকুলই যে রাজ্যে এবিটি সংগঠনকে সাজানোর মূল দায়িত্বে ছিল, তা বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অফিসাররা জেনেছেন, এবিটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য মাদ্রাসা তৈরি, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, আগ্নেয়াস্ত্র কেনা সহ নেটওয়ার্ক সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য টাকার দরকার ছিল। এই টাকা তোলার কাজ সে জেলে বসেই শুরু করেছিল। কারা এবিটিকে অর্থ সাহায্য করতে রাজি আছে, এমন ব্যক্তিদের নাম সে জঙ্গি আব্বাস আলির মাধ্যমে জানতে পারে।  সংশোধনারে বসেই এই সমস্ত ব্যক্তিকে মেসেজ করে তারিকুল জানায়, এবিটিকে চাঙ্গা করতে অর্থের প্রয়োজন। সমমনোভাবাপন্নরা টাকা দিতে রাজি হয়ে যায়। পাশাপাশি আর এক জঙ্গি নুর ইসলাম  সংগঠনের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং একসময়ে জেএমবিকে অর্থ সাহায্য করত এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা পাঠিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার পরামর্শ দেয়। তদন্তে উঠে এসেছে, তারিকুল জেল থেকেই সতীর্থদের জানায়, তার স্ত্রীর কাছে টাকা পাঠাতে হবে। সকলকেই স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়। স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে বিগত তিন-চার মাসে চার লক্ষ টাকা জমা পড়েছে বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। এরপরই তারিকুলের স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের নথি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কাছ থেকে চাওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর তারিকুলের স্ত্রীর নাম উঠে এসেছিল। অভিযোগ ছিল, সে জেএমবির মাথা সালাউদ্দিন সালেহানকে আশ্রয় দিয়েছে। এমনকী জেএমবি জঙ্গিদের বিভিন্ন ধরনের লজিস্টিকাল সাপোর্ট দিচ্ছিল। ঝাড়খণ্ডের রামগড় এলাকার ওই মহিলা দীর্ঘদিন বেপাত্তা ছিল। একইসঙ্গে তদন্তকারীরা জেনেছেন, তারিকুলের স্ত্রীর কাছে জেলবন্দি নাজিবুল্লার শাগরেদ প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা পাঠাচ্ছিল সংসার চালানোর জন্য। এমনকী আইনি সহায়তার জন্য আলাদা টাকা আসছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, তারিকুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর যোগাযোগ ছিল ফোনে। তাই এই টাকা যে নাজিবুল্লা পাঠাচ্ছে, তা তার জানারই কথা। সেই ,কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন অসম এসটিএফের অফিসাররা। তদন্তে উঠে এসেছে, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি নাজিবুল্লার সঙ্গে তারিকুল যোগাযোগ রাখছিল প্রথম থেকেই। বাংলাদেশের এবিটির প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির সঙ্গে  দুজনের যোগাযোগ ছিল।  রহমানির নির্দেশ কীভাবে কার্যকর করা যায়, তাই নিয়ে চ্যাটে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জেলে রহমানিও অন্য অপরাধীদের মগজ ধোলাই শুরু করেছিল। খারিজি মাদ্রাসায় কীভাবে প্রশিক্ষণ হবে, তাই নিয়ে তারিকুল ও নাজিবুল্লার মধ্যে কথাবার্তার প্রমাণ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণে নাজিবুল্লাকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে খবর। 
15h 15m ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৭ টাকা৮৬.৭১ টাকা
পাউন্ড১০৫.৭০ টাকা১০৯.৪৩ টাকা
ইউরো৮৭.৫৩ টাকা৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা