রাজ্য

দার্জিলিঙে যানজট রুখতে টয় ট্রেনের লাইন ও রাস্তার লেভেল এক রাখার প্রস্তাব দেবে বাংলা

প্রীতেশ বসু, কলকাতা: দার্জিলিং মানেই টয় ট্রেন। কাঞ্চনজঙ্ঘার পাশাপাশি শৈলশহর দার্জিলিঙের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ‘দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে’। উল্লেখ্য, এই রেল পরিষেবা ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা পেয়েছে। তবে তীব্র যানজটের কারণে দার্জিলিং পৌঁছতে প্রচণ্ড ঠান্ডায়ও কালঘাম ছোটার উপক্রম হয় পর্যটকদের। কার্যত প্রতিদিন বিপাকেই পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। যানজটের এই সমস্যা এড়াতে প্রয়োজন সড়ক সম্প্রসারণ, পাহাড়ে যা কার্যত অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়কে যানজটমুক্ত করতে টয় ট্রেনের রেল ট্র্যাক রাস্তার লেভেলে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য। তার ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তৎকালীন ডিজি। তারপর থেকে নবান্নের তরফে একাধিকবার এই বিষয়ে তদ্বির করা হয়েছে। তবে বছর কেটে গেলেও এবিষয়ে কেন্দ্র আর কোনও তৎপরতা দেখায়নি বলে রাজ্যের অভিযোগ। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে এবার পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং বা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই দাবি পেশ করতে চলেছে রাজ্য। 
পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডকে নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ। এই পরিষদের শীর্ষকর্তা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সদস্য মুখ্যমন্ত্রীরা। প্রতিবছর এই চার রাজ্যের মধ্যে একটিতে পরিষদের বৈঠক হয়। তবে তার আগে হয় পরিষদের স্থায়ী কমিটির সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এবার সেটি ৪ জুলাই হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, দার্জিলিঙের যানজট সমস্যা মেটাতে, রেল লাইনকেও রাস্তার স্তরে নামিয়ে আনার দাবিতে সেখানেই সরব হবে রাজ্য।  
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং সংযোগকারী ১১০ (পুরনো জাতীয় সড়ক ৫৫) নম্বর জাতীয় সড়ক দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পূর্তদপ্তরের জাতীয় সড়ক শাখা। নবান্ন সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পূর্তদপ্তরকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর। শুকনা, তিনধরিয়া, কার্শিয়াং, সোনাদা এবং ঘুম হয়ে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পৌঁছনোর মূল রাস্তা হল ৭৭ কিমি দীর্ঘ ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শুকনা পর্যন্ত রেল লাইন গিয়েছে রাস্তার পাশ দিয়ে। ফলে সেখানে রেল লাইনের কারণে যানজটের সমস্যা হয় না। কিন্তু তার পর থেকেই, টয় ট্রেনের কারণে তীব্র যানজট হয় পাহাড়ি এলাকার এমন ৩৭টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯ কিমি ওই পথে পর্যটক থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রী সকলেই দুর্ভোগে পড়েন। এই ৩৭টি স্থানের মধ্যে রয়েছে জোড়বাংলো, ঘুম, বাতাসে, সোনাদা, তিনধরিয়া বাজার, মহানদী বাজার, ধোবিখোলা এবং সেলিম হিলসের মতো এলাকা। রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা জানান, দার্জিলিং যাতায়াতের রাস্তার অনেকটা জুড়ে রয়েছে টয় ট্রেনের লাইন। ওই অংশটিকে রাস্তার স্তরে নামিয়ে আনা হলে যান চলাচলের স্পেস অনেকটাই বেড়ে যাবে। ব্যাপারটি কলকাতায় বাসরাস্তার মধ্যে দিয়ে ট্রাম লাইন এগিয়ে যাওয়ার মতোই হবে। 
এই জাতীয় সড়কের উপর গড়ে ১৩,৯২০ প্যাসেঞ্জার কার ইউনিটের (পিসিইউ) চাপ পড়ে। মরশুমে এটি আরও বেড়ে যায়। রাস্তার বর্তমান পরিসরে এই চাপ নেওয়া কার্যত অসম্ভব। ফলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া জরুরি। মনে করছে রাজ্য সরকার
4d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭৩ টাকা৮৪.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২১ টাকা১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো৮৮.০৭ টাকা৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
16th     June,   2024
দিন পঞ্জিকা