কলকাতা

ট্যাব কাণ্ডের জের, সব প্রকল্পের অ্যাকাউন্ট সংযোগে ওটিপি বাধ্যতামূলক করছে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হ্যাক হোক বা নয়ছয়। সাধারণ মানুষের হকের টাকা কোনওভাবেই যেন অন্য অ্যাকাউন্টে যেতে না পারে। সাম্প্রতিক ট্যাব কাণ্ডের পর সবার আগে এটাই নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার। সামাজিক প্রকল্পে টাকা পাঠানোর গোটা প্রক্রিয়া ‘লিকপ্রুফ’ করতে তাই ওটিপি ভেরিফিকেশনকেই অস্ত্র বানিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে নবান্ন। ‘কন্যাশ্রী’ হোক বা ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাব—সরকারি নথিতে অ্যাকাউন্ট সংযোগের সময়ই প্রতারণার যাবতীয় সম্ভাবনা ছেঁটে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ, ওটিপি দিলেই টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। নতুবা নয়। 
ট্যাব কাণ্ড নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় চলছে রাজ্য। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির যে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তাদের অনেকের প্রাপ্য সীমানা পেরিয়ে জমা হয়েছে বিহারের অ্যাকাউন্টে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, একটা বড়সড় গ্যাং কাজ করছে এর পিছনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, কেউ বঞ্চিত হবে না। প্রত্যেকে ট্যাবের টাকা পাবে। যদিও সেটা তাৎক্ষণিক সমাধান। মুখ্যমন্ত্রী তাই নির্দেশ দিয়েছেন, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পকে লিকপ্রুফ করার। কারণ, প্রত্যেক ক্ষেত্রে সরাসরি টাকা পাঠানো হয় উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তার জেরেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে ওটিপি ভেরিফিকেশনের। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে রাজ্যের শীর্ষ স্তরে একাধিক বৈঠক হয়েছে। অর্থ সহ বেশ কয়েকটি দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ আধিকারিকদের আলাদা বৈঠকও হয়েছে। তারপরই ওটিপি ভেরিফিকেশনের ফর্মুলায় প্রাথমিক ঐকমত্য এসেছে। এর অর্থ কি আধার যাচাই? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বেশ কিছু প্রকল্পে উপভোক্তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আধারের সাহায্য নেওয়া হয়। প্রশ্ন হল, সেই একই পদ্ধতি কি এবার সর্বত্র চালু হবে? রাজ্যের আধিকারিক মহল অবশ্য সে কথা বলছে না। এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে, লিক প্রুফ ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি)। সব ঠিক থাকলে রাজ্য ‘ইউভিন’ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ট্রান্সফার জালিয়াতি সম্পূর্ণভাবে রোধ করার পথে হাঁটতে পারে। কী এই ইউভিন? এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, ইউনিক ভেরিফিকেশন অব ইন্ডিভিজুয়াল বা ইউভিন হল, অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের সাহায্যে প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকা আর আধারের প্ল্যাটফর্মে থাকা নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের সংযুক্তিকরণ। সে ক্ষেত্রে উপভোক্তার আধারের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বরটির সংযোগ রয়েছে, তাতে ওটিপি পাঠানো হবে। তার থেকে সুনিশ্চিত করা হবে উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই টাকা যাচ্ছে কি না। এই পদ্ধতি আধার সিডিং নয় বলেই দাবি প্রশাসনের। 
এখানেই শেষ নয়। উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’ভাবে টাকা পাঠায় রাজ্য প্রশাসন। কিছু প্রকল্পের ক্ষেত্রে ট্রেজারি থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের নোডাল অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। সেখান থেকে টাকা ট্রান্সফার হয় উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজ্যের ইন্টিগ্রেটেড ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (আইএফএমএস) মাধ্যমে ট্রেজারি থেকে উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ‘ডিবিটি’ করা হয়। দ্বিতীয় ক্ষেত্রটিতে উপভোক্তাদের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে, তার পুনর্যাচাই করার বিষয়টিও রাজ্যের বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দ্রুত এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ, ট্যাব কাণ্ডের মতো দ্বিতীয় ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সব কাজকর্মেই কমবেশি বাধা থাকবে। ব্যয়ের চাপ একটু বাড়তে পারে। শরীর-স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। সন্তানের সৌভাগ্য...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.২৭ টাকা১০৯.০১ টাকা
ইউরো৮৭.৪৪ টাকা৯০.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
15th     November,   2024
দিন পঞ্জিকা