রাজ্য

২ বছরে ৩৩ হাজার কোটির জিএসটি ফাঁকি রাজ্যে

বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা: মোদি জমানায় প্রকল্পের নাম বদলাল, স্টেশন, রাস্তা, এমনকী আইনও। কিন্তু জিএসটি পরিকাঠামোয় সুরাহা এল না। আর তাই পণ্য পরিষেবা কর সংক্রান্ত আইন ও কাঠামোর ফাঁক গলে দেশজুড়ে দুর্নীতির বহর প্রাপ্তির অঙ্ক ছাপিয়ে যাওয়ার জোগাড়। জিএসটি ফাঁকির যে অঙ্ক শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সামনে আসছে, তাতে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কেন্দ্রীয় সরকারই দাবি করছে, গত দু’বছরে বাংলায় জিএসটি ফাঁকির অঙ্ক ৩৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি! 
২০১৭ সালের গোড়াপত্তনের সময় থেকেই জিএসটি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। কখনও করদাতা বা কর সংক্রান্ত পরামর্শদাতারা অভিযোগ করেন, জিএসটি পোর্টাল কাজ করছে না। আবার কখনও তাঁরা নিয়মের জটিলতায় নাজেহাল হন। একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠন নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে এ নিয়ে লাগাতার অভিযোগ জানিয়ে চলেছে। যদিও সুরাহা মেলেনি। দেশের অন্যতম সর্বভারতীয় বণিক সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নালিশ করেছে, জিএসটি ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর আইন ও বিধির হাজারেরও বেশি পরিবর্তন হয়েছে। আর প্রত্যেকবার নতুন করে বিপাকে পড়েছে বণিকমহল। ৫০০ বারের বেশি বদলেছে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় জিএসটির হার। ছোট আকারের কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই পরিবর্তনগুলির দিকে নজর রাখা কঠিন। এর সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে লাটে উঠবে ব্যবসায়িক কাজকর্ম। সবচেয়ে বড় কথা, জিএসটি নিয়ে নিত্যদিনের সমস্যা রাজনীতির ময়দানেও এসে গিয়েছে। একে ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করছে তামাম বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জিএসটি কাঠামোয় গলদ নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন। এর উপর কর ফাঁকির অঙ্ক প্রতি মাসে বেড়ে চলায় কপালে ভাঁজ বাড়ছে কেন্দ্রের। শুধু পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি ফাঁকির অঙ্ক? কলকাতা ও শিলিগুড়ি থেকে বাংলার কর ফাঁকির হিসেব কষে কেন্দ্র। তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কলকাতা থেকে কর ফাঁকি ধরা পড়েছে ২১ হাজার ১৭০ কোটি টাকার। শিলিগুড়িতে তার অঙ্ক ১ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে কর ফাঁকির অঙ্ক যথাক্রমে ৯ হাজার ৭৯০ কোটি এবং ৫৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই দু’বছরে মোট কর ফাঁকির অঙ্ক ৩৩ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। 
এই বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির মধ্যে যে বড় অঙ্কের জিএসটি প্রতারণাও রয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে যেমন জিএসটির জটিল আইন ও তার নড়বড়ে পরিকাঠামোর সুযোগ নিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছে বহু সংস্থা, তেমনই অনেক কাগুজে সংস্থা ভুয়ো লেনদেন দেখিয়ে সরকারের থেকে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বা আইটিসি আদায় করেছে। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের মোট ১৯৭টি সংস্থার কর ফাঁকি সংক্রান্ত তথ্য সামনে এসেছিল। পরের অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয় ৪৩০। যে সংস্থাগুলি কর ফাঁকি দিয়ে ধরা পড়েছে, তাদের থেকে নামমাত্র টাকা স্বেচ্ছায় আদায় করা গিয়েছে বলে খবর। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। কর ফাঁকি সংক্রান্ত যেটুকু তথ্য ধরা পড়েছে, সেটুকু‌ই সামনে এনেছে কেন্দ্র। আসল অঙ্ক এর চেয়ে ঢের বেশি। পাশাপাশি, কর ফাঁকি ধরার বিষয়ে রাজ্য সরকার যে উদ্যোগ নেয়, তার অঙ্ক নেহাত কম নয়। সেটা কিন্তু এই হিসেবের মধ্যে নেই।
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সব কাজকর্মেই কমবেশি বাধা থাকবে। ব্যয়ের চাপ একটু বাড়তে পারে। শরীর-স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। সন্তানের সৌভাগ্য...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.২৭ টাকা১০৯.০১ টাকা
ইউরো৮৭.৪৪ টাকা৯০.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
15th     November,   2024
দিন পঞ্জিকা