যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
JENPAS পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ে নেওয়া যায় –
নার্সিং
স্বাস্থ্য পরিষেবার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নার্সিং। নার্সিং স্টাফরা শুধুমাত্র পেশেন্টদের দেখাশোনার কাজ করেন এমন নয়। ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, বিভিন্ন ধরনের ডেটা মেন্টেন, অপারেশন থিয়েটারে সাহায্য করা, প্রয়োজনীয় ইনস্ট্রুমেন্টের দেখভাল করা প্রভৃতি কাজ থাকে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বি এসসি নার্সিং পড়া যায়।
ফিজিওথেরাপি
ফিজিওথেরাপির সাহায্য নিয়ে এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র ওষুধের ওপর নির্ভর না করে ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নানা রোগের উপশম হচ্ছে। হাতে ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, লো ব্যাক পেন, আঘাতজনিত ব্যথা সব ধরনেই এগিয়ে রয়েছে ফিজিওথেরাপি। এই বিষয় নিয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মাধ্যমে ডিগ্রি করে নেওয়া যায়।
ইংরেজি, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, ফিজিক্স নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পাশ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে মাতৃভাষা বা একটি ফিফথ সাবজেক্ট থাকলে ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসা যায়। এই পরীক্ষায় পাশ করলে ফিজিওথেরাপি নিয়ে ডিগ্রি করে নেওয়া যায়।
ব্যাচেলর অব মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি
বর্তমান স্বাস্থ্যব্যবস্থায় মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের উপর নির্ভর করতে হয় বেশি। কোভিড কালেও অসংখ্য মেডিক্যাল ল্যাব টেকনোলজিস্টদের উপর ছিল গুরুদায়িত্ব। পড়া শেষে সরকারি, বেসরকারি হসপিটাল, ল্যাবরেটরিতে যোগদান করা যায়। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে যোগ দেওয়া যায়।
বি এসসি ইন ক্রিটিক্যাল কেয়ার টেকনোলজি
ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে যে ধরনের ইকুইপমেন্ট থাকে সেগুলো নিয়ে সঠিক ধারণা ও ব্যবহার জানার জন্য এই বিষয় নিয়ে পড়া যায়। কোর্স শেষে সরকারি-বেসরকারি হসপিটাল, নার্সিংহোম, ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার টেকনিশিয়ন, ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট টেকনোলজিস্ট, এমার্জেন্সি মেডিসিন ফিজিশিয়ন বা CAT টেকনিশিয়ন হিসাবে যোগ দিতে পারা যায়।
বি এসসি ইন অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজি
অপারেশন থিয়েটারের প্রতিটি জিনিসের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকেন অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজিস্ট। সার্জেন এবং নার্সিং স্টাফদের অ্যাসিস্ট করার দায়িত্বও তাঁদের। এদেশের সর্বত্র অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ করা হয় বিভিন্ন ধরনের সার্জারির জন্য। এর মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক সার্জারি, জেনারেল সার্জারি, গাইনোকোলজিক্যাল সার্জারি, নিউরো সার্জারি এবং ইউরোলজি। ওটি রুম স্যানিটাইজ, ইকুইপমেন্ট স্টেরিলাইজ, ডিসইনফেক্টিং করার দিকটিও তাঁদের দেখতে হয়। বি এসসি করার পর এম এসসি এবং পিএইচ ডি করার সুযোগও রয়েছে। ওটিতে কাজ ছাড়াও শিক্ষক হওয়ারও সুযোগ রয়েছে।
বি এসসি ইন পারফিউশন টেকনোলজি
মানব শরীরের ফুসফুস এবং শ্বাস তন্ত্রের ফিজিওলজি এবং প্যাথলজি নিয়ে পড়াশোনা পারফিউশন টেকনোলজির অন্তর্গত। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি কাজের সুযোগ রয়েছে।
বি এসসি ইন ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট
রোগীদের বিভিন্ন ধরনের টেস্ট এবং পরীক্ষা করার জন্য বলা বা এককথায় ডাক্তারদের অ্যাসিস্ট করার জন্য যে সকল ডায়গনসিস প্রয়োজন সেগুলি সম্পর্কে বিশদ জানা। কার্ডিওথোরাসিক, নিউরোসার্জারি, ডার্মাটোলজি, এবং জেনারেল সার্জারির মতো বিষয়গুলি নিয়ে স্পেশালাইজেশন করার সুযোগ আছে। পেশেন্ট কেয়ার টেকনিশিয়ন, ডায়াটিশিয়ন, ড্রাগ সেফটি অ্যাসোসিয়েট, অর্থো ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ারও সুযোগ থাকে।
বি এসসি ইন মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি
জীবাণুর মাধ্যমে যে সকল সংক্রমণ হয়ে থাকে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে পড়া এবং ট্রিটমেন্ট কেমন হতে পারে, কী ধরনের রোগ হতে পারে তা হাতেকলমে শিখে প্রয়োগ করা যায় এই রিষয়টি নিয়ে পড়লে। পাবলিক এবং প্রাইভেট সেক্টরে যেমন কাজের সুযোগ রয়েছে, তেমনই ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি, ফুড প্রোডাকশন কোম্পানি, ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাবরেটরি , মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, ভেটেরিনারি ল্যাবরেটরিতে কাজ মেলে।
ব্যাচেলর ইন হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
সরকারি বা বেসরকারি হসপিটাল, নার্সিংহোমে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকেরা কী ধরনের উপকরণ পেলে আরও ভালো পরিষেবা দিতে পারবেন, প্রতিটি বহির্বিভাগ, অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক এগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ দিক। এইসব দিকে নজর দেওয়ার জন্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা ম্যানেজারদের নিয়োগ করা হয়। মেডিক্যাল স্টাফ ছাড়াও নন-মেডিক্যাল স্টাফরাও হসপিটাল, নার্সিংহোমে আসা শতশত রোগীদের সঠিক পরিষেবা দেবার মতো গুরুদায়িত্ব পালন করেন। আর এখানে সবার আগে এগিয়ে আসেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং ম্যানেজাররা। ডিগ্রিটি এমবিএ-এর সমতুল ধরা হয়। কাজের সুযোগ রয়েছে – হসপিটাল ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার হওয়ার।
WBJEE এর মাধ্যমে পড়ে নেওয়া যায় বি ফার্ম।
ফার্মাসি
ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে দেখে নেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ওষুধ মানুষের শরীরে কী ধরনের প্রভাব ফেলে বা বিক্রিয়া ঘটায়। শুধু এই বিষয়টি নয়। নতুন ওষুধ তৈরি, ওষুধের কোয়ালিটি কন্ট্রোল, প্যাকেজিং, কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সবই বিষয়টির অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
এ রাজ্য থেকে ফার্মাসির উপর চার বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মাসি, দু’বছরের মাস্টার অব ফার্মাসি (ফার্মাসিউটিক্স), দু’বছরের মাস্টার অব ফার্মাসি (ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যানালিসিস অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স), দু’বছরের মাস্টার অব ফার্মাসি (ফার্মাকোলজি), দু’বছরের মাস্টার অব ফার্মাসি (ফার্মাকোলজি অ্যান্ড টক্সিকোলজি) এবং দু’বছরের ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি পড়া যায়।
ব্যাচেলর অব ফার্মাসি কোর্সটি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি স্বীকৃত এবং এআইসিটিই অনুমোদিত। এর জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পাশ করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে হয় বা এআইইইই উত্তীর্ণ হতে হয়।
বিষয়টি নিয়ে পড়ে কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রি, হসপিটাল, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি, ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে। এখানে প্রোডাকশন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের মতো কাজ করতে হয়। এছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং কেমিস্ট, রিসার্চার, হসপিটাল ফার্মাসিস্ট, ড্রাগ ইনসপেক্টর, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হেলথ কেয়ার কনসালট্যান্ট বা রোগীদের জন্য আইনজ্ঞ হওয়া যায়।
WBJEEB বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এএএম এবং জিএনএম পড়ার জন্য OMR ভিত্তি করে প্রবেশিকা পরীক্ষা ANM (R) & GNM আয়োজন করছে। বিভিন্ন কলেজ ইনস্টিটিউটে দু’বছরের অক্সিলারি নার্সিং এবং মেডিওফারি কোর্স করা যাবে। এছাড়াও তিন বছরের জেনারেল নার্সিং এবং মেডিওফারি কোর্স করা যাবে।