বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
ছোটবেলায় ডির্যাক যেহেতু বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরতে পারতেন না, ফলে নিজের বাবা ও মাকে দেখে ডির্যাকের ধারণা ছিল, পৃথিবীর সমস্ত পুরুষ এক ভাষায় কথা বলে আর মহিলারা অন্য ভাষায়।
ছোটবেলায় ডির্যাকের আরও একটি ধারণা হয়েছিল সেটাও তাঁর বাবার কারণেই। তাঁর বাবা চার্লস চাইতেন যে, তিনি ছেলেদের ফরাসিতে প্রশ্ন করলে ছেলেরাও যেন ফরাসিতেই উত্তর দেন এবং উত্তর ভুল হলে তিনি পল ও তাঁর দাদা ফেলিক্সকে ভীষণ বকাবকি করতেন। ফলে ডির্যাকের মনে হয়েছিল যত কম কথা বলা যায় ভুল তত কম হবে। তাই তিনি ভীষণ কম কথা বলতেন। তাঁর এই কম কথা বলা স্বভাবের জন্য তাঁর এক শিক্ষক নীলস বোর আরেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ডকে বলেছিলেন,‘ডির্যাক ফিজিক্সের অনেক কিছুই জানে, কিন্তু কিছুই বলে না।’
ডির্যাক বেশিরভাগ সময়েই কল্পনার জগতে বাস করতেন, সারাক্ষণই তাঁর মাথায় ঘুরত খালি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিভিন্ন গাণিতিক বিশ্লেষণের চিন্তা। একবার ডির্যাকের স্ত্রী ম্যান্সি খুব রেগে গিয়ে ডির্যাককে বলেছিলেন, ‘সারাক্ষণ তো নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে শুধু চিন্তা ভাবনাই কর, আমি চলে গেলে তুমি কী করবে বলো তো?’ উত্তরে ডির্যাক খুব শান্তভাবে বলেছিলেন, ‘কী আর করব, তোমাকে গুড বাই জানাব।’ ডির্যাকের ছাত্রদের অভিজ্ঞতা আরও অদ্ভুত। ডির্যাক পদার্থবিদ্যার পাশাপাশি গণিতেও ছিলেন সমান পারদর্শী। পড়ানোর সময় রোর্ডে এরকম বহু গাণিতিক সমীকরণ লিখতেন যা তাঁর ছাত্ররা বুঝতে পারত না। ফলে পড়ানোর শেষে অনেকেই বলত ‘স্যার বোর্ডে লেখা ওই সমীকরণটা বুঝলাম না।’ ডির্যাক কোনও কথাই বলতেন না যে সময়। ফলে ডির্যাকের ছাত্ররা বলত পড়ানোর পরে আর তাদের মাস্টারমশাই কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না।