নিজস্ব প্রতিনিধি: পাতাবাহার, ফার্নের বাগান থেকে বাণিজ্যিকভাবে আয় করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাগান করার ক্ষেত্রে এমন গাছ নির্বাচন করতে হবে, যেগুলি সহজেই বেড়ে ওঠে এবং অল্প পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। ছায়া কিংবা আংশিক ছায়ায় গাছ বেঁচে থাকবে। আলোক তীব্রতা সহনশীল হবে। যেহেতু ফ্ল্যাটের ব্যালকনি, বাড়ির বারান্দা বা ছাদে কিংবা উঠোনে বাগান করা হবে, সুতরাং এমন গাছ বাছাই করতে হবে, যেগুলি কম বিস্তার যুক্ত ঘন সন্নিবিষ্ট। মাটির পরিবর্তে টবে কিংবা বাঁশের খোলের ভিতর কোকোপিট (নারকেলের ছোবড়ার গুঁড়ো) দিয়ে তাতে গাছ বসানো যেতে পারে।
ছাদের বাগানের ক্ষেত্রে লন, ফ্লাওয়ার বেড তৈরি করতে হলে মোটা প্লাস্টিক বিছিয়ে দিতে হবে। ছাদে উপযুক্ত জলনিকাশি ব্যবস্থা থাকতে হবে। চাষ করা জমির পলি-দোঁয়াশ মাটি ও জৈব পদার্থ মিশিয়ে বেড তৈরি করতে হবে। ছাদের বাগানে ঝরনা, লন, ফুলের বেড, টবে পাতাবাহার, বনসাই, গুল্ম, লতানো গাছ রাখা যেতে পারে। লন তৈরি করতে হলে দু’ভাগ পলি মাটি, এক ভাগ পাতা পচাসার, এক ভাগ কেঁচোসার, এক ভাগ বালি মিশিয়ে ৩-৫ সেমি পুরু বেড বানাতে হবে। বেডের নীচে অবশ্যই প্লাস্টিকের চাদর পেতে নিতে হবে। এর পর ১০-১৫ সেমি দূরত্বে ছোট ছোট গর্ত করে জাপানি ঘাস লাগাতে হবে।
টব যদি ছায়ায় কিংবা আংশিক ছায়ায় থাকে, তা হলে জলের প্রয়োজন কম হয়। নতুন বসানো গাছে শিকড়ের বৃদ্ধি কম হয়। ফলে জল কম দিতে হয়। পুরনো গাছে তুলনামূলক বেশি জল দিতে হবে। গাছের প্রকৃতির উপর জলের পরিমাণ নির্ভর করে। প্লাস্টিকের টবে তুলনামূলক জল কম লাগে। গাছগুলিতে পনেরো দিন অন্তর জৈবসার বা রাসায়নিক সার দিতে হবে। পাতায় উজ্জ্বলতা আনার জন্য অ্যামোনিয়াম কার্বনেট বা নাইট্রোজেন ঘটিত সার স্প্রে করা যেতে পারে। ঈষদুষ্ণ গরম জলে অল্প পরিমাণ ভিনিগার বা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে গাছের পাতা পরিষ্কার করা যেতে পারে। জলের মাত্রা বেশি হলে কিংবা মাটিতে অম্লত্বর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে পাতা ঝরা বা পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে জল দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সঙ্গে জিপসাম দিতে হবে। জলের তারতম্য কিংবা খাবারের অভাব ঘটলে গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।