শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শফিকুল একটা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চাকরি যে আসেনি, তা নয়। কিন্তু অদ্ভুত সেসব চাকরি করার কথা শফিকুল ভাবতে পারেনি। অথচ সংসারে অর্থের প্রয়োজন। তার শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন উহ্য রেখে সংসারের তাড়নায় নতুন এক চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেল ঢাকার আতর কোঠিতে। ম্যানেজারের চাকরি পেল শফিকুল। যত দিন যায় তার কাছে উন্মুক্ত হতে থাকে আতরকোঠির মালিক মবিনুরের বিচিত্র সব জীবন আলেখ্য। মবিনুর নিজের মুখে শোনাতে থাকে তার আত্মকথা।
মবিনুরের চরিত্রে প্রজেশ সেনগুপ্ত অসাধারণ। তাঁর অভিনয়ের মধ্যে মবিনুরকে পূর্ণ মাত্রায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। শফিকুলের চরিত্রে দেবব্রত দাস বেকার সংসারী মানুষের যন্ত্রণা ফুটিয়ে তুলেছেন। একদিকে পরিবার ও অন্যদিকে বিচিত্র মনিবের ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে যে অবস্থা হওয়ার কথা, সেটাই উঠে এসেছে অভিনয়ে। শফিকুলের স্ত্রী মীরার চরিত্রে মৌমিতা পালের অভিনয় ছিল আকর্ষণীয়। আমজাদ ও জয়নালের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন সন্দীপন মিত্র। দু’টি চরিত্রেই সফল তিনি। আতরের চরিত্রে সীমা বৈদ্যকে বেশ মানিয়েছে। রবিন কুণ্ডুর আলো, সন্দীপ দে-র আবহ, অজিত রায়ের মঞ্চ নির্মাণ ও সমীর ঘোষের রূপ সজ্জায় আতর কোঠি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।