শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
পঞ্চায়েত দপ্তরের বিভিন্ন কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা সফরে আসেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও দপ্তরের প্রধান সচিব পি উলগানাথন। প্রথমে তাঁরা পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক রজত নন্দা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিত মাহাত, জেলার সমস্ত এসডিও, ব্লকের বিডিও, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, সদস্য থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা কেন খরচ না হয়ে পড়ে রয়েছে, সেই প্রসঙ্গ ওঠে এদিনের বৈঠকে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের ত্রিস্তর মিলিয়ে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৮৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে জেলায়। বহু পঞ্চায়েতেই দেড় কোটি, দু’কোটি করে টাকা পড়ে রয়েছে। প্রাপ্য টাকার ১০শতাংশ খরচও করতে পারেনি, এমনও পঞ্চায়েত রয়েছে জেলায়। যা জানতে পেরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। তবে, বাংলা আবাস যোজনা, মিশন নির্মল বাংলা, কর্মশ্রীর মতো প্রকল্পগুলিতে জেলার সামগ্রিক অবস্থান প্রশংসাও কুড়িয়েছে মন্ত্রীর।
এদিন মন্ত্রী বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ যে কারণে আটকে রয়েছে, সেই সব কারণ শুনেছি। কীভাবে সমাধান হবে, সেই উপায়ও বলে দিয়েছি। টাকা খরচে গতি না এলে পরবর্তী কিস্তির টাকা যে আটকে থাকবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। মন্ত্রীর সংযোজন, বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তরের কাজগুলিকে ত্বরান্বিত করা। আশা করছি এবার কাজে গতি পাবে।
পুরুলিয়া থেকে বেরিয়ে এদিন বিকেলে বাঁকুড়ার রবীন্দ্র ভবনে বৈঠক করেন মন্ত্রী। রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান, উপপ্রধানদের অনিয়মিত যাতায়াত নিয়ে আলোচনা হয়। জেলার মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি বিষয়টি নিয়ে প্রদীপবাবুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পঞ্চায়েত মন্ত্রী অভিযোগ শুনে উষ্মা প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে কাজ করতে গিয়ে কী কী অসুবিধা হচ্ছে, তা নিয়ে এদিন মূলত আলোচনা হয়েছে। কিছু কিছু পঞ্চায়েতে জনপ্রতিনিধিদের অনিয়মিত যাতায়াত নিয়ে অভিযোগ শুনেছি। আমাদের কাছেও তৃণমূল স্তরের খবর পৌঁছয়। এই বিষয়টি ফাঁকিবাজদের জানিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বচ্ছ তালিকা তুলে দেওয়ার পরেও গৃহনির্মাণ প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করেনি। রাজ্য সরকার গরিব মানুষের মাথার উপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করেছে। বাঁকুড়াতেও বর্তমানে পুরোদমে ওই প্রকল্পের কাজ চলছে। গ্রামোন্নয়ন ও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আমরা ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের সেরা ছিলাম। তারপর থেকে কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়। তা সত্ত্বেও রাজ্য নিজের টাকায় জেলায় জেলায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে।