শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
কামদাকিঙ্কর স্মৃতিরক্ষা কমিটি, ঠিবা পঞ্চায়েত ও লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহায়তায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক, কীর্ণাহার থানার ওসি জয়ন্ত দাস সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ তিথির সঙ্গে লাভপুরের বিশেষ যোগ রয়েছে। প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় গান্ধীজির চিতাভস্ম কুয়ে নদীর মণিকর্ণিকা ঘাটে বিসর্জন করেছিলেন। তারপর থেকেই লাভপুরবাসী এইদিনটি ঐতিহ্যের সঙ্গে উদ্যাপন করেন। এদিন স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ চিতাভস্ম বেদীতে মাল্যদান করার পরেই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজি নাথুরাম গডসের গুলিতে প্রাণ হারান। এই খবরে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। শবদাহের পর গান্ধীজির চিতাভস্ম ছড়িয়ে দেওয়া হয় ভারতবর্ষের নানা প্রান্তে। তৎকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা গান্ধীবাদী নেতা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় সেই চিতাভস্ম কীর্ণাহারের মিরাটি গ্রামে নিয়ে আসেন। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি সেই চিতাভস্ম কুয়ে নদীর মণিকর্ণিকা ঘাটে বিসর্জন করেন। জীবিত অবস্থায় তিনি প্রতি বছর এখানেই গান্ধীজির প্রয়াণ দিবস উদ্যাপন করতেন। কামদাকিঙ্করের প্রয়াণের পর সেই দায়িত্ব নেন তাঁরই পুত্র তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তাঁর পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সহ স্থানীয় মানুষজনের আন্তরিক প্রয়াসে প্রতি বছর ৩০ জানুয়ারি গান্ধী তর্পণ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। এদিন স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ সিংহের নেতৃত্বে তর্পণ করার পাশাপাশি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। আয়োজকদের পক্ষে উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও রবি চট্টোরাজ বলেন, সারা দেশের পাশাপাশি লাভপুরেও গান্ধীজির প্রয়াণ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক বলেন, ঐতিহ্যবাহী মণিকর্ণিকা ঘাটের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ঘাট ও তৎসংলগ্ন এলাকার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব। • নিজস্ব চিত্র