শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ট্রেনে-বাসে নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, এবার তাহলে জানুয়ারি থেকেই এমন গরম পড়ে গেল। অনেকের আশঙ্কা, জানুয়ারিতেই যদি এমন গরম পড়ে যায়, তবে মার্চ-এপ্রিল মাসে গিয়ে কী হবে! দমদম, হাওড়ার উলুবেড়িয়াতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২০.৬ ও ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। সল্টলেকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ২০ ডিগ্রিই ছিল। আপাতত এই গরম থেকে নিস্তার নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এর জেরেই নিত্যযাত্রীদের কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে। ডায়মন্ডহারবার থেকে ক্যামাক স্ট্রিটে চাকরির জন্য আসেন সৌমেন পাল। বলছিলেন, ‘আমি নিউ গড়িয়া থেকে মেট্রোতে রবীন্দ্র সদনে আসি। আজ মেট্রোতেও বেশ গরম লাগছিল। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় সোয়েটার পরে এসেছিলাম ঠিকই, কিন্তু কলকাতায় এসে তা খুলে ব্যাগে রাখতে হল।’ ডায়মন্ডহারবার, ক্যানিংয়েও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি ছিল।
এদিকে হঠাত্ গরমের জেরে মুশকিলে পড়েছেন স্কুল পড়ুয়ার অভিভাবকরা। সকালে স্কুলে বেরনোর সময় সোয়েটার পরানো হয়েছিল বাচ্চাদের। কিন্তু স্কুল থেকে বেরিয়েই সোয়েটার খোলার বায়না। স্কুল থেকে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন গাঙ্গুলিবাগানের বাসিন্দা চন্দ্রিমা ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সত্যিই এখন বেশ গরম লাগছে। ছেলেও সোয়েটার খুলতে চাইছে। কিন্তু কেমন একটা ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে। এখন তো সাবধানে থাকতে হবে।’ তবে স্কুল পড়ুয়াদের যুক্তি, সামনেই সরস্বতী পুজো। তাই এই গরমে সকালে স্নান করতে সমস্যায় পড়তে হবে না। শুধু কলকাতা ও তার আশপাশ নয়, একমাত্র কল্যাণীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকা ছাড়া বাকি দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রাই বৃহস্পতিবার ছিল ঊর্ধ্বমুখী।