শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা বলেন, বিভিন্ন কারণে কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব।
২০২৩ সালে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং গতবছর অতিবৃষ্টির কারণে বারবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা বেহাল হয়েছে। রাস্তার উপর চাপ যাতে না বেড়ে যায় তা নিশ্চিত করতে কালিম্পং জেলা প্রশাসন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ১০ টন থেকে ভারী গাড়ির যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে কাজের গতি আরও মন্থর হয়েছে। রেল ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী গার্ডার বহন কিংবা রেলের লাইন নিয়ে যেতে ইরকন’কে তাই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, জানিয়েছেন ইরকনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মহিন্দর সিং।
বৃহস্পতিবার প্রজেক্ট ডিরেক্টর বলেন, বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর মাসের আগে এই কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে না। সেভক-রংপো রেল প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি দীর্ঘ। পাহাড়ি পথে ১৪টি টানেল তৈরি করে রেলপথ তৈরি হচ্ছে। এই কাজ সম্পন্ন করতে অনেক ভারী সামগ্রী সড়ক পথে পাহাড়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে। কিন্তু সড়ক পথ খারাপ থাকায় ভারী সামগ্রী নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সমস্যার দরুনই কাজের গতি কমে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সেভক-রংপো রেলপ্রকল্পের শিলান্যাস করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে জমি জট তারপরে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিরোধ মিটিয়ে ২০১৮ সালে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ঠিক ছিল ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। কিন্তু ২০২৩ সালের ভারী বর্ষণ ও ২০২৪ সালে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দফায় দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে ঠিক হয়েছিল, সিকিমের ভারতে অন্তর্ভুক্তির ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ২০২৫ সালে কাজ শেষ করা হবে। সেখানেও বাধা হয়েছে গত বছরের অতিবৃষ্টি এবং ১০ টনের চেয়ে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। তবে এবারে সেই সম্ভাবনাও কম। সেভক থেকে রিয়াং পর্যন্ত ১৪ কিমি সুড়ঙ্গ পথ চলতি বছরের ডিসেম্বরে খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্মাণকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা পাহাড়ি পথে ১৪টি টানেলের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ টানেল প্রায় পাঁচ কিমি। সেতু তৈরি হচ্ছে ২২টি। তারমধ্যে কালীঝোরায় স্টিলের সেতু তৈরি হয়েছে। যা জাতীয় সড়ক ধরে ওই রুটে চলাচলকারীদের নজরেও পড়ছে। আরও একটি সেতু তৈরি হবে তিস্তা বাজার এলাকায়। ৮ এবং ১০ নম্বর টানেল তৈরির কাজ চলছে। বাকিগুলি তৈরি হয়ে গিয়েছে। পাঁচটি টানেলে রেলপথ তৈরির কাজ চলছে। যত দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করতে চেষ্টা চালাচ্ছে নির্মাণকারী সংস্থা।