শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
বিহারের মুঙ্গের বা অন্য জায়গায় বেআইনিভাবে তৈরি হওয়ার পর চোরাপথে সেগুলি নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। গোপনে সেসব আগ্নেয়াস্ত্র কোচবিহারে ঢুকছে বলে খবর। পুলিসও বিষয়টি একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছে। বিবেকানন্দ স্ট্রিটে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করার সময় বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানার পুলিস হাতেনাতে দেশি রিভলভার ও তিন রাউন্ড কার্তুজ সহ সহিদুল আলি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি তুফানগঞ্জের ঘোগারকুঠিতে। যে রিভলভারটি পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে সেটি ‘মুঙ্গেরি’ বা বিহারে তৈরি হয়ে এদিকে এসেছিল বলে তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান।
অন্যদিকে, মাথাভাঙা থানার পুলিস একটি ওয়ান শটার ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে এদিন। চেনাকাটা ইটভাটা সংলগ্ন এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাতেও পুলিস একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত ইন্দ্রজিৎ দাসের বাড়ি মাথাভাঙার কানফাটা গ্রামে।
এদিকে, মঙ্গলবারও মাথাভাঙায় আরও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। পুলিসের অনুমান, বিহার থেকে অবৈধভাবে এসব আগ্নেয়াস্ত্র কিনে এনে সেগুলি স্থানীয়ভাবে দুষ্কৃতীদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। বুধবার পুণ্ডিবাড়ি ও দিনহাটা থানাতেও আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে পুলিস।
কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, বেআইনি অস্ত্র ধরতে আমরা ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছি। নজরদারি চলছে। বিভিন্ন জায়গায় এগুলি তৈরি হয়। বিহারের দিক থেকেই আসে।
বিহার থেকে কোচবিহারে আগ্নেয়াস্ত্র আসার বিষয়টি এর আগেও বেশ কয়েকবার সামনে এসেছে। বছর কয়েক আগে পুলিস এক ‘কিংপিন’কে গ্রেপ্তার করেছিল। সেই সময় কোচবিহারের বিভিন্ন থানা এলাকায় লাগাতার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, বোমা ছোড়ার মতো ঘটনা ঘটছিল। রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুলি চালনো কিংবা বোমা ছোড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটত। কিন্তু গত দেড়, দুই বছর ধরে এসব ঘটনা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু তা বলে কোচবিহারে আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি কমে গিয়েছে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। জেলায় দু’দিনে ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারই তার প্রমাণ। চোরাপথে দুষ্কৃতীরা এসব আমদানি করতে সক্রিয় রয়েছে।