মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কথা’ এক বছর পেরল। সাফল্যের নিরিখে সাহেবের হিসেবে তাঁর স্কোর এখন দশ। ‘২০১০ সালের পর টেলিভিশনে ফিরে ভাবিনি এতটা সাফল্য পাব। এটা আমার কাছে অনেক দিনের পরিশ্রমের পুরস্কার। এই ১৪ বছরে সিনেমায় কাজ করতে করতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি করেছি। বিভিন্ন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে অভিনয়ের দিক থেকে সমৃদ্ধ হয়েছি। সেইগুলো সব একত্রিত করে ‘কথা’য় কাজে লাগিয়েছি। আসলে কঠোর পরিশ্রমটাই মুখ্য বিষয়। গত এক বছরে প্রচুর ছবির কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে।’ তাতে কোনও আপশোস নেই সাহেবের। ঠিক যেমন বাংলা ছবির সংখ্যা কমে যাওয়াতেই কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। ‘এটা খুব ভালো সংকেত। সংখ্যা কমে যাওয়ায় ছবির গুণগত মানের উন্নতি হচ্ছে’, বললেন অভিনেতা।
সাহেব মনে করেন টেলিভিশনই ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তিনি স্পষ্ট বললেন, ‘এই সময় যখন সিনেমার সংখ্যা কমে গেছে, টেলিভিশন কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিটাকে চালাচ্ছে। বাঁচিয়ে রেখেছে। শিল্পী, কলাকুশলীরা সম্মানজনক পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।’ তারপরেও শ্রমিক স্বার্থের নামে নিয়মের মারপ্যাঁচে ও খবরদারিতে গোটা টলিউডজুড়ে অশান্তির আবহ। ক্রমবর্ধমান সমস্যাটি নিয়ে সাহেবের জবাব, ‘শিল্প সৃজন করতে হয়। সেই প্রক্রিয়াকে আইনের মধ্যে, গণ্ডির মধ্যে বেঁধে দিলে আর্ট ক্রিয়েট করা যায় না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার জন্য যত না নিয়ম, কাজ বন্ধ করার জন্য তার থেকে বেশি নিয়ম। এই মানসিকতাটা পাল্টাতে হবে। কাজ কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না। এমনকী অন্য রাজ্য থেকেও এখানে এসে যাতে নির্বিঘ্নে শ্যুটিং করতে পারে, সেই সুযোগ করে দিতে হবে আমাদের। এটা যতদিন না করতে পারছি, ততদিন ঝামেলা, বিবাদ লেগেই থাকবে।’