বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
মনোজ মিত্রের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর, বর্তমান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ধুলিহর গ্রামে। ১৯৫৮ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স-সহ স্নাতক হন তিনি। ১৯৫৭ সালে থিয়েটারে অভিনয় শুরু। ১৯৭৯ সালে চলচ্চিত্রে হাতেখড়ি তাঁর। ‘চাক ভাঙা মধু’, ‘মৃত্যুর চোখে জল’, ‘অবসন্ন প্রজাপতি’, ‘নীলা’,‘সিংহদ্বার’, ‘ফেরা’র মতো নাটকে তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শকরা। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাংলা ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন মনোজবাবু। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলি হল- ‘বাঞ্ছারামের বাগান’, ‘শত্রু’, ‘তিন মূর্তি’, ‘দামু’। ‘সাজানো বাগান,’ ‘নরক-গুলজার,’-এর মতো বেশ কয়েকটি নাটকও রচনা করেছিলেন তিনি। নাটকে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ১৯৮৬ সালে পেয়েছিলেন সঙ্গীত নাট্য আকাদেমি অ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও ২০০৫ সালে এশিয়াটিক সোসাইটির তরফে মনোজ মিত্রকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা বাংলায়। মনোজ মিত্রের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মনোজ মিত্রের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আজ, মঙ্গলবার তাঁর মরদেহ প্রথমে ‘সুন্দরন’ নাট্যগোষ্ঠীর অফিসে যাবে। সেখান থেকে আকাদেমি অব ফাইন আর্টসে নিয়ে যাওয়া হবে। বিকেলে রবীন্দ্র সদনে মনোজবাবুর মরদেহ শায়িত থাকবে, যাতে ভক্তরা শেষশ্রদ্ধা জানাতে পারেন। এরপর রবীন্দ্র সদন চত্বরে অভিনেতা তথা নাট্যব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্রকে গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হয়।