পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
হাসানো কঠিন
প্রথমবার কমেডি ছবিতে অভিনয় করলেন তৃপ্তি। তিনি মনে করেন যে মানুষকে কাঁদানো সহজ, আর হাসানো কঠিন। অভিনেত্রী বলেন, ‘কমেডি ঘরানার ছবিতে আমি আগে কখনও কাজ করিনি। তাই আমি বুঝেতে পারছিলাম না যে ‘ব্যাড নিউজ’ আমার দ্বারা করা সম্ভব হবে কি না। কারণ আমি গম্ভীর এবং স্বল্পভাষী মানুষ। তাই ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বিশ্বাস যেটা ভয় দেখায়, সেই কাজটা করা উচিত।’
টার্নিং পয়েন্ট
‘অ্যানিমাল’ খ্যাতি দিলেও, ‘বুলবুল’ তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে বলে মনে করেন তৃপ্তি। তাঁর কথায়, ‘আমি মনে করি আমার কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ‘বুলবুল’। এই ছবির পর আমি পরিচিতি আর সম্মান পেয়েছি। ‘বুলবুল’-এর কারণেই আমি ‘অ্যানিমাল’, ‘ব্যাড নিউজ’-এর মতো ছবিতে সুযোগ পেয়েছি। পর্দায় শুধুমাত্র নিজেকে সুন্দর দেখাতে আমি চাইনি। এই ছবিতেই পরমব্রতর (চট্টোপাধ্যায়) মতো অভিনেতার সান্নিধ্য পেয়েছি। ওঁর অভিনীত বেশ কিছু ছবি দেখেছি। আমার তো বাংলা ছবিতে কাজ করারও ইচ্ছে আছে।’
চরিত্রের প্রতি আস্থা
‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে ছোট চরিত্রেই বাজিমাত করেছিলেন তৃপ্তি। তিনি মনে করেন, পরিচালকের তাঁর অভিনীত চরিত্রের প্রতি আস্থা ছিল। ফলে পর্দায় তাঁর উপস্থিতি কম হলেও দর্শকের মনে প্রভাব তৈরি করতে পেরেছেন।
নিজের মধ্যে বদল
ছ’বছরের কেরিয়ারে নিজের মধ্যে বেশ কিছু বদল লক্ষ্য করেছেন তৃপ্তি। সে প্রসঙ্গে ঝকঝকে হেসে বলেন, ‘আগে কোনও কিছু সিরিয়াসলি নিতাম না। আমার মনে হয় বয়স কম থাকলে মানুষ অনেক বেশি নির্ভীক থাকে। তাই আমি তখন দিল্লি ছেড়ে মুম্বইতে চলে আসার সাহস দেখিয়েছিলাম। এখন আমি অনেক বেশি বহির্মুখী এবং আত্মবিশ্বাসী।’
সমতায় বিশ্বাসী
আড্ডার শেষে উঠে আসে তৃপ্তির জীবনদর্শনের কথা। তাঁর মতে, ‘আমার ভাগ্যে যেটা লেখা আছে, সেটা আমি পাব। আর অভিনয় আমার জীবনের একটা অংশ মাত্র। আমি সমতা বজায় রেখে চলাতে বিশ্বাসী। নিজেকে এবং পরিবারকে ভালো রাখার বিষয়ে আমি কখনও নিজের সঙ্গে সমঝোতা করি না।’