পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
অতিরঞ্জিত নয়
‘রাউতু কা রাজ’ ছবিটি বেছে নেওয়ার কারণ কী? অভিনেতা বলেন, ‘ছবিটি ধীর গতির। অতিরঞ্জিত করে কিছু দেখানো হয়নি। সব অভিনেতারা স্বাভাবিক অভিনয় করেছেন। সে কারণেই এই ধরনের ছবিতে কাজ করা বেশি কঠিন। আমাকে এই ধরনের ছবি বেশি আকৃষ্ট করে।’
মিডিয়ামের গুরুত্ব নেই
ইদানীং বড় পর্দার থেকে ওটিটিতে বেশি দেখা যাচ্ছে নওয়াজকে। বড় পর্দাকে কতটা মিস করছেন? হালকা হেসে তিনি বলেন, ‘আমি মঞ্চের মানুষ। তাই আমার কাছে মাধ্যমের আলাদা করে কোনও গুরুত্ব নেই। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল পারফরম্যান্স। অভিনেতা হিসেবে ভালো কাজ করতে পারলেই আমি খুশি। তবে বড়পর্দার আলাদা জাদু আছে। সেটা অস্বীকার করতে পারব না।’
আক্ষেপ
নওয়াজকে শেষ বড়পর্দায় দেখা গিয়েছে ‘আফওয়া’ ছবিতে। সেই ছবির প্রসঙ্গ উঠতেই আক্ষেপের সুরে বললেন, ‘মাত্র ৫০ টা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘আফওয়া’। তাও আবার সকালে একটা আর রাতে একটা শো। প্রায় একই অবস্থা হয়েছিল আমার আরও একটা ছবি ‘জোগিরা সারা রা রা-র’। তাহলে এই ছবিগুলো কীভাবে ব্যবসা করবে? এর থেকে ছবিটা সরাসরি ওটিটিতে মুক্তি পেলে ভালো হতো। সবচেয়ে বড় সমস্যা আমার মতো অভিনেতারা স্ক্রিন পান না বললেই চলে। মানুষ আমার ছবি দেখতে চেয়েও দেখতে পান না। এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। ইন্ডাস্ট্রির এটাই প্রথা।’
২৫ বছরের সফর
এখনও পর্যন্ত নিজের কেরিয়ারে সাফল্য, ব্যর্থতা সবটা নিয়েই খুশি নওয়াজউদ্দিন। স্পষ্ট বললেন, ‘২৫ বছরের কেরিয়ার নিয়ে আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট এবং খুশি। যে ধরনের ছবিতে আমি কাজ করতে চেয়েছি, সেসব ছবিতেই আমি অভিনয় করেছি। অভিনেতা হিসেবে সব ধরনের ঘরানায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়া উচিত। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমি তা পেরেছি। পরিচালকেরা আমার উপর আস্থা রেখেছেন, এটাই বড় কথা।’
নির্দয় সমালোচক
আড্ডার শেষে উঠে এল নওয়াজের মেয়ে শোরার কথা। মেয়ের কথা উঠতেই তিনি বললেন, ‘আমার ছবি ও খুব একটা দেখে না। আর দেখলে সেই ছবি থেকে আমার অসংখ্য ভুল খুঁজে বার করে। শোরা নির্দয়ভাবে আমার সমালোচনা করে। শুধু শোরার নয়, ১৪-২০ বছর বয়সীদের সমালোচনা আমি খোলা মনে গ্রহণ করি। কারণ ওদের মতামতের উপর কারও প্রভাব থাকে না। আমি ওদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সবকিছু দেখার চেষ্টা করি।’