উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
ষষ্ঠী থেকে দশমী প্রতিদিন নতুন জামা। একদিন দক্ষিণ কলকাতা, একদিন উত্তর, আর একদিন দমদমের ঠাকুর দেখতেই হবে— কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এটাই আমার রুটিন ছিল। অনেকে ভিড় পছন্দ করেন না। কিন্তু প্যান্ডেলে ঘুরে নানা রকম কাজের দুর্গা ঠাকুর দেখতে আমার বরাবর ভালো লাগে। তার সঙ্গে দেদার স্ট্রিট ফুড খেলে, তবেই তো মজা জমবে। অভিনয় জগতে কাজ শুরু করার পর এখন আর সেভাবে ঘুরে ঠাকুর দেখতে পারি না। নানা অনুষ্ঠানের ব্যস্ততা থাকে। তাও যেটুকু সুযোগ পাই, তা সম্পূর্ণ ব্যবহার করি। কোনও না কোনও প্যান্ডেলে হয়তো আপনার সঙ্গেও আমার দেখা হয়ে যাবে। টেলিভিশনে যাঁরা প্রতিদিন আমাকে দেখেন তাঁরা প্যান্ডেলে চিনতে পেরে এগিয়ে এসেছেন, সেলফির আবদার করেছেন, এমন ঘটনা ঘটেছে। সত্যি বলতে কি, দর্শকের সঙ্গে সামনাসামনি পুজোর সময় দেখা হলে আমার দারুণ লাগে। যাঁরা এখন টেলিভিশনে ‘গীতা এলএলবি’ দেখেন, তাঁদের সঙ্গে এবছর প্যান্ডেলে দেখা হলে খুব ভালো লাগবে।
বাবা, মা, ভাই, বোন, দিদি, জামাইবাবু মিলিয়ে আমাদের বড় পরিবার। ছোট থেকেই দেখেছি বাড়ির সকলে একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে যান। এখনও সেই রেওয়াজ চলছে। শাড়ি পরেও প্যান্ডেলে ঘুরতে আমার কোনও ক্লান্তি নেই। ছোট থেকেই শাড়ি পরতে ভালোবাসি। নানা ধরনের শাড়ির শখ আমার। মা বলত, ছোটবেলায় সবাই শাড়ি পরতে ভালোবাসে। বড় হলে সেই শখ আর থাকে না। আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি। বরং শাড়ির শখ আরও বেড়ে গিয়েছে। যদিও এবছর এখনও পুজোর জন্য নতুন শাড়ি কেনা হয়নি। টানা শ্যুটিংয়ের চাপে ছুটি নেই। রবিবারও কাজ। তাই শপিং এখনও হয়নি। তবে জমিয়ে রাখা নতুন শাড়ি তো আছেই। দুর্গাপুজো শাড়ি ছাড়া আমি ভাবতে পারি না। পরিবারের পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গেও আড্ডা হয় পুজোতে। আমি স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়তাম। কলেজে পড়ার সময়টা বন্ধুদের সঙ্গে বেরনোর অনুমতি পেয়েছিলাম। তাও পুজোর সকালবেলা। সেসময় বন্ধুদের টুকটাক পুজোর প্রেম হতো। আমার জীবনে এই অধ্যায়টা অসম্পূর্ণ। আজ পর্যন্ত পুজোতে প্রেম হল না। এসব ভাবলে এখন মজা পাই।
এবারের পুজো আমার কাছে সত্যিই স্পেশাল। কারণ প্রথমবার মহালয়ার অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছি। স্টার জলসার মহালয়ার অনুষ্ঠানে আমি দেবী ত্রিপুরাসুন্দরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। অন্যরকম অভিজ্ঞতা হল। পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করতে এমনিই ভালো লাগে। তার উপর এত স্পেশাল একটা অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে সত্যিই ভালো লাগছে।