উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ কালনা স্টেশনের কাছে ডাউন লাইনের ধারে এক স্কুলছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ছাত্রীর নাম অঙ্গনা হালদার (১৮)। বাড়ি কালনা থানার ধাত্রীগ্রামে। সে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। বছর দুয়েক আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অঙ্গনার বাবার। সেসময় দুর্ঘটনায় জখম হয় অঙ্গনাও। তার পর থেকে অঙ্গনার হাঁটাচলায় কিছুটা সমস্যা ছিল। শুক্রবার বিকেলে মায়ের সঙ্গে টোটোয় চড়ে শহরের মধুবন এলাকায় পড়তে যায়। মা রিঙ্কু হালদার মেয়েকে শিক্ষকের কাছে দিয়ে কাছেই ছিলেন। টিউশন থেকে ছুটির পর মেয়েকে দেখতে না পেয়ে এদিক ওদিক খোঁজ করতে থাকেন। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে মায়ের মোবাইলে অঙ্গনা ফোন করে। ফোনে অঙ্গনা মাকে বলে ‘ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না’। তারপর আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।
এরপরই পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রিঙ্কুদেবী। মেয়ের খোঁজ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরেই পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন কালনা স্টেশনের কাছে ডাউন লাইনের ধার থেকে অঙ্গনার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কালনা জিআরপি। মৃতার মোবাইলটিও উদ্ধার হয়েছে। কালনা জিআরপি তদন্তে নেমে স্টেশন চত্বরে সিসি টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে। দেখা যায় অঙ্গনা একা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্লাটফর্মের দিকে যাচ্ছে। তারপর কী হয়েছিল তা জানতে খোঁজ শুরু করেছে জিআরপি।
এই ঘটনায় মৃতার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে কালনা মহকুমা হাসপাতালে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল। তাঁরা কথা বলেন মৃতার পরিবারের সঙ্গে।
রিঙ্কুদেবী বলেন, মেয়ের হাঁটাচলা খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না। ওর পক্ষে ঘটনাস্থলে যাওয়া মোটেই সম্ভব নয়। পড়া শেষ হলেই আমাকে ফোনে ডাকত। আমি ওকে নিয়ে টোটোয় বাড়ি ফিরে আসতাম। অথচ এদিন পড়া শেষ হলেও আমাকে ফোন করেনি। পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ করেছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
স্বপনবাবু বলেন, মর্মান্তিক ঘটনা। পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। কালনা জিআরপিকে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমরা মৃতার পরিবারের পাশে আছি।