উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর ওই গ্রামের মাঠপাড়ার তৃণমূল কর্মী আলাই শেখ (৫৫) দুষ্কৃতীদের মারধরে মারা যান। স্থানীয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়ে তিনি মারা যান বলে মৃতের পরিবারের দাবি। ওইদিন রাতে গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রউফ আলির সঙ্গে বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর মৃতের স্ত্রী ১১ জনের নামে পুলিসে খুনের অভিযোগ করেন। তারপর থেকেই গ্রামে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। যদিও পুলিস ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে শুক্রবার রাতে ফের গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। এক এক করে ছয়টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। শনিবার দুপুরে গ্রামের খাদিমপাড়ায় গিয়ে দেখা গেল রাস্তাঘাটে লোকজন নেই। কয়েকটি বাড়ির চারপাশে গ্রামের মহিলারা দলবেঁধে নজরদারি চালাচ্ছেন। স্থানীয় মালিহাটি পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য তথা খুনে অভিযুক্ত স্যাম্পল শেখের বোনের বাড়ি গিয়ে দেখা গেল তিনটি ঘরের কোনও সামগ্রী আস্ত নেই। টেলিভিশন, আলমারি, শোকেস থেকে বিছানাপত্র ভাঙা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে। স্যাম্পলের বোন হাসিনা বেগম বলেন, রাত ১০টার সময় জনা পঞ্চাশেক দুষ্কৃতী একসঙ্গে এসে হামলা শুরু করে। রাতভর ওরা তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। তিনভরি সোনার গহনা ও নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ওরা পালিয়েছে। এই হামলার খবর পুলিসকেও দিতে পারছি না। পুলিসে জানালে খুন হতে হবে। তাই ঘরবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছি। পাশেই আরও এক খুনে অভিযুক্ত মাতু শেখের বাড়ি। তার বাড়িতেও এদিন রাতে হামলা চালানো হয় বলে দাবি। মাতু শেখের স্ত্রী নেফিসা বিবি বলেন, সবকিছু ভাঙচুর করে লুট করে পালাল ওরা। কোনও প্রতিরোধ করতে পারলাম না। মাঠে ধান পেকে গেলেও ওদের শাসানিতে ধান কাটা যাচ্ছে না। মাতুর মেয়ে আশিফা বেগম বলে, আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। সামনে পরীক্ষা। কিন্তু বাড়ি থেকে স্কুলেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। একটু দূরেই আজমিরা বেগমের দোকানেও লুটপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও মাথাই শেখ, সুফল শেখ, রাজেন শেখ, লালু শেখের বাড়িতেও ভাঙচুর-লুটপাট চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
দেখা গেল মাতু শেখের বাড়ি কার্যত ঘিরে রেখেছে গ্রামের মহিলাদের একাংশ। বাড়ির দক্ষিণ দিকে একদল মহিলা জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে টুনি বিবি বলেন, খুন করার সময় এসব হবে ওদের মনে ছিল না। এমন খুনিদের গ্রামে বাস করতে দেওয়াও অপরাধ। গোটা গ্রাম অশান্ত করে রেখেছে ওরা।