উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক বি গারল্যান্ড বলেছেন, ‘ইরান সরকার নিযুক্ত এক ব্যক্তিকে বিচার বিভাগ অভিযুক্ত করেছে। প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ একাধিক মার্কিন নাগরিককে হত্যার ছক কষেছিল ইরান। সেই ছকই কার্যকর করার লক্ষ্যে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কার্যসিদ্ধির জন্য অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত সঙ্গীদের কাজে লাগানো হয়েছিল।’ উল্লেখ্য, ইরানের এলিট বাহিনী আইআরজিসি-কে আগেই জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। এফবিআই ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার রে বলেন, ইরান যে মার্কিন নাগরিকদের নিশানা বানানোর চেষ্টা বন্ধ করেনি, এই ঘটনা থেকেই তা স্পষ্ট। বিভিন্ন অপরাধী ও হিটম্যানদের কাজে লাগিয়ে আমেরিকার মাটিতেই মার্কিন নাগরিকদের হত্যার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ইরানের লেভলিউশনারি গার্ড বাহিনী। এসব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
মার্কিন বিচার বিভাগের বিবৃতি বলছে, অভিযুক্ত ফারহাদ শাকেরি শৈশবে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীকালে ডাকাতির এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেল খাটার শাকেরিকে ২০০৮ সালে আমেরিকা থেকে বিতাড়িত করা হয়। ওই ব্যক্তি আদতে একজন আফগান। মার্কিন বিচার বিভাগ মনে করছে, শাকেরি বর্তমানে ইরানেই রয়েছে। ইরানের শাসকদের রোষে থাকা এক মহিলা সাংবাদিককে খুনের জন্য দুই ব্যক্তিকে এক লক্ষ ডলারের সুপারিও দিয়েছিল সে। জেলে থাকার সময় ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। কার্লিসল রিভেরা ও জোনাথন লোয়াদহল্ট নামে এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে বিচার বিভাগ।
২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হানায় আইআরজিসি-এর অন্যতম শীর্ষ নেতা জেনারেল কাসিম সুলেইমানি খুন হন। মার্কিন বিচারবিভাগের দাবি, ইরান মনে করছে ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বদলা নিতেই ট্রাম্পকে হত্যার ছক কষা হয়। যদিও ইরানের বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমেরিকা এর আগেও এমন অভিযোগ করেছিল। কিন্তু সেগুলিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল।