উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কলিয়ানির বাসিন্দা শুভজিৎ একটি মোটর সাইকেল গ্যারাজে কাজ করতেন। শুক্রবার তিনি কাজে যাননি। এদিন রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রতিবেশী বন্ধুকে নিয়ে বাইকে করে বনগাঁর দিক থেকে যশোর রোড দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন জয়পুর কালীবাড়ি এলাকায় প্রথমে রাস্তায় উঠতে যাওয়া একটি ভ্যানে ধাক্কা দেয় তাঁদের বাইক। এর ফলে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেট্রাপোলগামী একটি ট্রাকের গায়ে ধাক্কা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহী সন্দীপের। পরে হাসপাতালে যাওয়ার সময় রাস্তায় শুভজিতের মৃত্যু হয়। শুভজিৎ বাইক চালাচ্ছিলেন। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না।
এদিকে, একের পর এক পথ দুর্ঘটনায় চিন্তায় বনগাঁবাসী। গত দু’মাসে মহকুমায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে পথ দুর্ঘটনায়। গত মঙ্গলবারই মেয়েকে স্কুলে দিয়ে ফেরার পথে ১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন সুভাষপল্লি এলাকায় যশোর রোডে ট্রাকের ধাক্কায় লক্ষ্মী বিশ্বাস নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। তিনদিনের ব্যবধানে ফের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু। একের পর এক এমন দুর্ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন শহরের বাসিন্দারা। বনগাঁর বাসিন্দা সুজয় বিশ্বাস বলেন, দিন দিন শহরে বাইকের দাপট বাড়ছে , সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনা। রাস্তায় বের হতে ভয় লাগে।
এছাড়াও বনগাঁ শহর দিয়ে রোজ শয়ে শয়ে পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল সীমান্তে যাতায়াত করে। সকাল ৯টা থেকে ১২টা এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শহরে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলেও বেআইনিভাবে বহু ট্রাক চলাচল করে এই সময়ে। এটাও শহরবাসীর কাছে মাথাব্যথার কারণ। বনগাঁ পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সুমন্ত কবিরাজ বলেন, শহরে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে সব দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি বাইক আরোহী ও চালকদের হেলমেট ব্যবহার করার বিশেষ আবেদন জানিয়েছে বনগাঁ জেলা পুলিস।