যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
বিবৃতিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এ বছর আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে একাধিক বিপর্যয় দেখেছে পৃথিবী। যেমন, দাবানল, বন্যা, খরা, তাপপ্রবাহ ইত্যাদি। তার জেরে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শস্য নষ্ট হয়েছে। গবাদিপশু মারা গিয়েছে। বায়ুদূষণ আরও বেড়েছে। পৃথিবী বসবাসের পক্ষে উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়ে উঠেছে। আর তার জেরে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও ডায়ারিয়ার মতো রোগ হু হু করে বাড়ছে। গবেষণা থেকে আরও জানা গিয়েছে, এই বিপদ শুরু হচ্ছে একেবারে মাতৃজঠরেই। অপরিণত সন্তান প্রসব করছেন মায়েরা। অনেক সময় গর্ভেই মারা যাচ্ছে বাচ্চা। অথবা কম ওজনের সন্তান জন্মগ্রহণ করছে। এ বিষয়ে ‘এ কল ফর অ্যাকশন’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কেন বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মা, সদ্যোজাত ও শিশুর স্বাস্থ্য প্রভাবিত করছে, তা নিয়ে আলোচনা করেছে হু। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে কী কী হতে পারে?
হু জানিয়েছে, প্রথমত, মা ও গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর আশঙ্কা, দ্বিতীয়ত, গর্ভধারণকালে ডায়াবেটিস, তৃতীয়ত, গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বৃদ্ধি, চতুর্থত, মায়ের মানসিক সমস্যা, পঞ্চমত অবসাদ, ষষ্ঠত, সন্তানের শ্বাসের সমস্যা, হাঁপানি, জড়বুদ্ধি হয়ে যাওয়া, সপ্তমত, পারিবারিক সমস্যা, কলহ এবং সন্তানের বেড়ে ওঠায় তার প্রভাব, অষ্টমত, খাদ্যের অভাব এবং সেই কারণে অপুষ্টি ইত্যাদি।
এ কারণে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে হু। যেমন, আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যে এর মারাত্মক প্রভাবের কথা সোচ্চারে বলা হবে।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার বিপদ বলে ঘোষণা করতে হবে। দেশে দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও মজবুত করতে হবে ইত্যাদি।