যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
মজা হল, অনেকেই কান্নাকে ‘মেয়েলি’ স্বভাব ভাবেন। কান্নাকাটি করাকে ‘কাপুরুষতা’ বলে মনে করেন। বিজ্ঞানীরা কিন্তু এই যুক্তির সম্পূর্ণ বিরোধিতা করছেন। ব্রিটিশ গবেষকদের দাবি, অনেকে অনুভূতিপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেললে, ‘সরি’ বলে ওঠেন। এই ভাবনাও অকারণ। কান্নায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। হাসির মতো কান্নাও খুব স্বাভাবিক একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। বরং কাঁদলে শরীর ও মনের নানা উপকার হয়। ইদানীং তাই জাপান ও ব্রিটেনে লাফিং ক্লাব-এর মতো ‘ক্রাইং ক্লাব’-এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
কেমন সেসব উপকার? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১) কাঁদলে চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যাও প্রতিরোধ করা যায়। অনেকেরই ড্রাই আই বা চোখের গ্রন্থি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। কাঁদলে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। ২) চোখের জলে ৯৮ শতাংশ জল থাকে, বাকি অংশ থাকে স্ট্রেস হরমোন এবং টক্সিন। তাই কাঁদলে চোখের জলের মাধ্যমে শরীর থেকে বেশ কিছু টক্সিন নির্গত হয়ে যায়। ৩) কাঁদার সময় শরীর থেকে এন্ডরফিন হরমোন নিঃসরণ হয়। তাই কাঁদলে দুঃখ-কষ্টের ভার লাঘব হয়। মনমেজাজ ফুরফুরে হয় ও ঘুম ভালো হয়। তাই বড় শোকে একেবারে না কাঁদলে অনেক সময় মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। ৪) কাঁদার সময় শরীর থেকে কর্টিসোল হরমোনও ক্ষরণ হয়। এই হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে গেলে দ্রুত মেদ ঝরে। তাই ওজন কমাতেও কান্নার কিছুটা হাতযশ আছে।
তবে জীবনে দুঃখ-কষ্ট কে-ই বা চায়! তাই কান্নার উপকারিতা জেনে নিয়েও কান্না ভুলে জীবন মুড়ে রাখুন হাসি-ঠাট্টা দিয়েই।