মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
তবে সবাই যে রূপ বৃদ্ধির তাড়নায় রাইনোপ্লাস্টি করাতে ছুটছেন, তেমন নয়। কিছু সামাজিক সমস্যা মানিয়ে নিতেও অনেকে এই অপারেশনের দিকে ঝুঁকছেন। বোঁচা নাকের জন্য বিয়ের সমস্যা সেরকমই একটি বিষয়। গত ফেব্রুয়ারিতে সুদূর বিহার থেকে পিজির উডবার্নে এসে নাক টিকালো করে ফিরেছেন ফিরোজা খাতুন (নাম পরিবর্তিত) নামে বছর কুড়ির এক তরুণী। পিজি হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারির প্রধান ডাঃ অরিন্দম সরকার এই প্রবণতার কথা স্বীকার করে কৌতুকের সঙ্গে বলেন, ‘এখনও পহেলে দর্শনধারী, ফির গুণ বিচারি। নাক নিখুঁত করার অপারেশন না থাকলে খেয়েপরে বাঁচাই কঠিন হতো আমাদের প্রফেশনে। পিজিতে মাসে কমপক্ষে ১২-১৫টি রাইনোপ্লাস্টি অপারেশন হচ্ছেই নিখরচায়।’
সরকারি হাসপাতাল সূত্রে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, যত মহিলা রাইনোপ্লাস্টি করান, তাঁর প্রায় অর্ধেকের এমন ইচ্ছের পিছনে রয়েছে বিবাহ সম্পর্কিত কারণ। একাংশ বিয়ের পর দীর্ঘদিন নিজেকে ‘আকর্ষণীয়’ রাখতে অপারেশন করান। নামকরা প্লাস্টিক সার্জেন ডাঃ কৌশিক নন্দী বলেন, ‘এই মুহূর্তে মুখমণ্ডলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডিং অপারেশন বোঁচা নাক সরু করা। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও করাচ্ছেন।’ বেলঘরিয়ার তরুণী পারমিতা বসাক বা গরফার কলেজছাত্রী রুচিরা দাসের অবশ্য সাফ কথা, টিকালো নাক আসলে পুরুষশাসিত সমাজের চাপিয়ে দেওয়া সৌন্দর্যগুণ। রুচিরা বললেন, আমার নাক তো অত চোখা নয়। সেই অর্থে বোঁচাই বলতে পারেন। তাতে হলটা কী? তবে এমন ভাবতে পারছেন না অনেকেই। সরকারি ক্ষেত্রের নামকরা এক প্লাস্টিক সার্জেন বলেন, ‘মুখের কোথায় কী দাগ আছে, তুলতে এখন লাইন পড়ে গিয়েছে নিম্নবিত্ত ঘরের গৃহবধূদের মধ্যেও। কারণ কী শুনবেন? ওঁদের নাকি এই দাগের জন্য খোঁটা দেন শাশুড়ি-ননদরা!’