মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
দোলে রাসায়নিক রঙের পরিবর্তে যতটা সম্ভব ভেষজ রং ব্যবহারে প্রাধান্য দেওয়া উচিত এতে একদিকে রং তোলার ঝক্কি প্রায় নেই বললেই চলে পাশাপাশি ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে ত্বককে রক্ষা করা যায়। তবে সমস্যা হল, কেউ কথা শোনেন না। সকলেই রাসায়নিক নির্ভর রং নিয়েই খেলেন। এই রং যাতে ত্বকে ভালোভাবে আঁকড়ে থাকতে পারে তার জন্যই মেশানো হয় রাসায়নিক।
তবে রং খেলতে যাওয়ার আগে সারা গায়ে নারকেল তেল, সর্ষের তেল অথবা অলিভ ওয়েল মেখে রাখলে সহজেই রং তোলা যায়। এখন কেউ গায়ে তেল মাখতে না পারলে তখন কী হবে? আসুন জেনে নিই—
ত্বকের রং তুলতে মুষ্টিযোগ:
রং তোলার ক্ষেত্রে কখনই জোরাজুরি করে বা ঘষে রং তোলা উচিত নয় এক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, নাছোড়বান্দা রঙের ক্ষেত্রে প্রথমে জল দিয়ে ধুয়ে পাতিলেবুর রস তুলোয় করে লাগিয়ে নিন, মিনিট দশেক পর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এই প্রক্রিয়া।
শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ফেসপ্যাক: যাদের ত্বক বরাবরই শুষ্ক তারা রং তোলার পর টাটকা ঘৃত কুমারীর রসে পরিমাণ মতো বেসন মিশিয়ে দু এক ফোঁটা মধু দিয়ে মিনিট কুড়ি মেখে থাকুন, এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
এছাড়াও কাঠবাদাম, মধু ও লেবুর ফেসপ্যাক শুষ্ক ত্বকের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী।
তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ফেসপ্যাক: ত্বক তৈলাক্ত, তার উপর রং মেখে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি হয়েছে এমন ক্ষেত্রে মুলতানি মাটি ও গ্লিসারিনের সঙ্গে অল্প নুন মিশিয়ে মিনিট সাতেক হালকা স্ক্রাব করুন বা চালের গুঁড়োর সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে স্ক্রাব করলেও উপকৃত হবেন।
চুলের রং তুলতে দইয়ের প্যাক: চুলের রং তুলতে প্রথমে পর্যাপ্ত জলে চুল ধুয়ে ফেলুন তারপর টকদইয়ে লেবুর রস মিশিয়ে মিনিট দশেক প্যাকটি রাখুন।
এরপর প্রয়োজন হলে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন বা
আমলকী, রিঠা, শিকাকাই আগের রাতে জলে ভিজিয়ে চটকে সেই জল দিয়েও চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
ঠোঁটের রং তোলার ঘরোয়া উপায়: ঠোঁটের রং তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা দরকার কারণ ঠোঁটের ত্বক বেশ সংবেদনশীল ও কোমল তাই এক্ষেত্রে বারবার ঘষা একেবারেই অনুচিত। প্রথমে গ্লিসারিন ও লেবুর রস সমপরিমাণ মিশিয়ে নিন তারপর পরিষ্কার সুতির কাপড়ে বা তুলো দিয়ে আলতো করে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট পাঁচেক পর উষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
চোখ বাঁচিয়ে দোল খেলুন: দোল খেলায় সর্বোপরি খেয়াল রাখুন চোখের উপর। রোদ চশমা বা ঢাকা দেওয়া চশমা অবশ্যই ব্যবহার করুন। অসাবধানবশত চোখে রং বা আবীর পড়লে ঠান্ডা জলে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলুন।
এরপরেও চোখ ফোলা, জ্বালা ভাব বা চোখ থেকে জল পড়তে থাকলে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দোল পরবর্তী ত্বকের সমস্যা সমাধানে আয়ুর্বেদ সমাধান:
রঙের খেলায় সব নিয়ম মেনে চলা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। আবার নিয়মের কঠিন বেড়াজালে বন্দী থাকলে দোলের পূর্ণাঙ্গ আনন্দ উপভোগে ভাটা পড়ে। আবার অনেকক্ষেত্রেই দোল পরবর্তী সময়ে অনেকেরই ত্বকে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে রইল কিছু মুষ্টিযোগ।
রাসায়নিক উপাদান সমৃদ্ধ রঙের প্রভাবে অনেক সময়
ত্বকে জ্বালাভাব দেখা দেয় সেক্ষেত্রে গোলাপ জলে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্টের মতো করে নিন। এই পেস্ট কয়েকবার ব্যবহার করলেই অভূতপূর্ব ফল মেলে।
ত্বকের চুলকুনি ও অ্যালার্জি দেখা দিলে নিম পাতা ও হলুদ বাটা ব্যবহার করুন।
রং মাখার ফলে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দিলে তা থেকে রেহাই পেতে ঘৃতকুমারীর পাতার মধ্যবর্তী জেলির মতো অংশে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিন কয়েক ব্যাবহার করুন। এতে অল্প ধনে গুঁড়ো মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকে কালচে ছোপ পড়লে কুমকুমাদি তৈল নামের আয়ুর্বেদ ওষুধ তুলোয় করে রোজ রাতে ঘুমোনোর সময় আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। ফল মিলবে হাতেনাতে।