শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
চার দিন শ্যুটিং থেকে ছুটি
আলোছায়া ধারাবাহিকের অভিনেত্রী হিয়া দে
পুজোর জন্য চার দিন শ্যুটিং থেকে ছুটি পাব। আর স্কুলও পুজোয় বন্ধ থাকবে। তাই বাবা-মা দিদির সঙ্গে গিয়ে ঠাকুর দেখব। আমার পাঁচটা নতুন জামা হয়েছে। বাবা মা কিনে দিয়েছেন। আরও নতুন জামা বাবা-মা আমাকে কিনে দেবেন। নতুন জুতো হবে। আর মটন-খিচুড়ি, আইসক্রিম খাব। অনেকরকম চকোলেট খাব। আমি তো বেটার হাই স্কুলে ক্লাস ফোর-এ পড়ি। তখন স্কুল যেহেতু ছুটি থাকবে তাই সেটাও একটা মজা। পঞ্চমীর দিন থেকে বিভিন্ন রেস্তরাঁয় প্রতি বছরের মতো এবারেও খাব। সঙ্গে বাবা-মা, দিদি থাকবে। নবমীর দিন গড়িয়ায় দিদার বাড়ি যাব। সেখানে নিমন্ত্রণ আছে। আবার দশমীর পরের দিন থেকে শ্যুটিং ফ্লোরে যেতে হবে।
আমি পরির মতো জামা কিনব
নিশির ডাক ধারাবাহিকের অভিনেত্রী
সুকন্যা চট্টোপাধ্যায়
পুজোয় কলকাতায় দু’দিন থাকব। তারপর মামাবাড়ি বেলুড়ে যাব। আমি জানকী বসু বিদ্যাপীঠে নার্সারিতে পড়ি। পুজোয় কবে স্কুল ছুটি পড়বে তা জানি না। পুজোয় শ্যুটিং মনে হয় থাকবে না। ধারাবাহিকের শ্যুটিং-এর জন্য এখনও পুজোর জামা কেনা হয়নি। আমি পরির মতো জামা কিনব। আর মামাবাড়িতে গেলে ওখানে আমার দুই মামা আছে তাঁরাও সঙ্গে নিয়ে গিয়ে আমায় নতুন জামা কিনে দেবেন। পুজোয় অনেক ঠাকুর দেখব। আর ফুচকা, আইসক্রিম, চাইনিজ আরও অনেক কিছু খাব। সেই সঙ্গে সুন্দর দেখতে অনেক ফোলানো বেলুন কিনব।
মায়ের হাতের ত্রিশূল, খাঁড়া ঘরে আনব
জয় বাবা লোকনাথ ধারাবাহিকের অভিনেতা
অরণ্য রায়চৌধুরী
আমি স্বামী প্রণবানন্দ বিদ্যাপীঠে ক্লাস থ্রি-তে পড়ি। আমার জয়বাবা লোকনাথ ধারাবাহিকের শ্যুটিং শেষ। তাই মনটা একটু খারাপ। অষ্টমী অথবা নবমীর দিন আমাদের দেশের বাড়ি বেথুয়াডহরি বাবা-মায়ের সঙ্গে যাব। সেখানে আমার ঠাম্মি, দাদু থাকেন। ওখানে আবার আমার দিদা মুর্শিদাবাদ থেকে আসবেন। আমি দাদু, ঠাম্মি, দিদা আর বাবা-মা’র সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাব। মোটরবাইক চড়ে একদিন বাবা-মা’র সঙ্গে দূরে ঠাকুর দেখার ইচ্ছে আছে। ওখানে আমার অনেক বন্ধু আছে। ওদের সঙ্গে আমি লোকজনকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য আচমকা তাঁদের পায়ের কাছে ক্যাপ ফাটাব। দারুণ মজা হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর ফুচকা, চিপস, পপকর্ন, ঘুগনি, স্যুপ, চিকেন রোল, কোল্ড ড্রিংকস খাব। আর বাড়ি ফিরে পোলাও, লুচি, পাঁঠার মাংস খাব। বিসর্জনে না গেলেও মায়ের হাতের ত্রিশূল, খাঁড়া বা যে অস্ত্র পাব সেটা ঘরে এনে রেখে দেবো। ও বলতে ভুলে গিয়েছি প্রতি বছরের মতো এবারেও আমার অনেক নতুন জামা, জুতো, বাবা-মা কিনে দিয়েছেন। সেগুলো অবশ্যই পরব।
ধুতি পাঞ্জাবি পরে অষ্টমীর অঞ্জলি দেব
কেশব ধারাবাহিকের অভিনেতা
অভিরূপ কর্মকার
পুজোতে শ্যুটিং থাকবে কিনা আমি এখনও জানি না। তবে আমি কলকাতায় থাকব। পুজোতে আমার নাচের স্টেজ পারফরমেন্স আছে। আমি ২০১৮ ডান্স বাংলা ডান্স-এ অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু তার আগে থেকেই বিকাশ ও শ্যামল স্যারের কাছে ক্লাসিক্যাল ও ওয়েস্টার্ন ডান্স শিখি। তাই টিভিতে আসার আগেই আমি পুজোয় স্টেজে নাচি। পুজোয় এখনও জামাকাপড় কেনা হয়নি। আমি শার্ট, টি শার্ট, জিনস কিনব। আর ধুতি, পাঞ্জাবি, নাগরাই কিনব। সেটা পরে অষ্টমীর অঞ্জলি দেব। বাবা-মা’র সঙ্গে সব প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখব। নাকতলা উদয়ন সংঘ ক্লাবের ঠাকুর দেখতে যাব। সেই সঙ্গে ডিম আর চিকেন দেওয়া বিরিয়ানি, স্যালাড, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস, চকোলেট খাব। আমি এখন সীতানাথ শিশু শিক্ষামন্দিরে ক্লাস টু-তে পড়ি। পুজোর সময় স্কুল বন্ধ থাকবে। আমাদের বাড়িতে পুজোতে মাসতুতো ছোটভাই আসবে তার সঙ্গে খুব মজা করব।
বাড়িতে মায়ের হাতের রান্না খাব
নেতাজি ধারাবাহিকের অভিনেতা অঙ্কিত মজুমদার
দুর্গাপুজো নিয়ে এই মুহূর্তে আমার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে বাবা-মা’র সঙ্গে অবশ্যই ঠাকুর দেখতে যাব। পুজোয় নতুন জামা পরা, রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করা এসব কিছু আমাকে আকর্ষণ করে না। প্রতিবার পুজোয় আমার বারোটা জামা হয়। এ বছরেও মা আমার জন্য জিনস, টিশার্ট, জ্যাকেট দেওয়া জামা কিনেছেন। এছাড়াও প্রতি বছর মামা, মাসি, কাকা, প্রতিবেশীরা আমাকে জামা উপহার দেন। কিন্তু জামার বদলে কেউ যদি গল্পের বই, ড্রয়িং খাতা দেন তাতে আমি বেশি আনন্দ পাই। পুজোয় স্কুল ছুটি থাকবে, শ্যুটিং থাকবে না তখন পুরনো গল্পের বই বের করে পড়ব। ছবি আঁকব। বেশ কয়েকটি গল্প লিখব। আমি অনেক ছোট বয়স থেকে গল্প লিখি। আর আমার প্রিয় খাবার আলুভাজা, আলু-পোস্ত, ডাল। বাড়িতে মায়ের হাতের রান্না খাব। আমি মাছ, মাংস, খাই না। ডিম খাই। আমি কৃষ্ণ ঠাকুরের ভক্ত। আমি ন্যাশানাল জেমস এইচএস স্কুলে ক্লাস ফাইভে পড়ি।
অনুলিখন: চৈতালি দত্ত