সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এই যে ছবিতে আমার ‘লুক’ নিয়ে এখনও এত চর্চা হয়। শুনে তো খুবই ভালো লাগে। কিন্তু মজার কথা হল, সেই সময় ড্রেস ডিজাইনার ছিল না। ওটা মানিকবাবুই (সত্যজিত্ রায়) মেকআপ ম্যান অনন্তবাবুকে বলে দিতেন। অনন্তবাবু সেভাবেই কাজ করতেন। অসাধারণ কিছু চুল বাঁধা নয়। ওই একটা খোঁপা করে বেঁধে দেওয়া। আজকালকার মতো ‘লুক সেট’-এর মতো কিছু ছিল না। আগের থেকে বলা থাকত। শাড়িটাও সত্যজিতবাবুই কিনেছিলেন। সেকালের সমস্ত পরিচালকরাই এভাবে কাজ করতেন। এখনও অনেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘চারুলতা’র শ্যুটিং কোথায় হয়েছিল? এটা হয়েছিল এনটি ১ স্টুডিওতে। সেট তৈরি করেছিলেন বংশীচন্দ্র গুপ্ত। সত্যজিত্ রায়ই বলে দিতেন, কেমন হবে সিনেমার সেট। উনিও তো খুব ভালো ছবি আঁকতে পারতেন।
অনেকে জিজ্ঞেস করেন, শ্যুটিং কেমন হয়েছিল? আসলে শ্যুটিংয়ের সময় অন্য কোনও কথা ভাবতাম না। আমাদের সেট কিন্তু সেই সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছিল না। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফ্লোরও ছিল না। একটা বড় ফ্যান থাকত। সেখানেই সকলে মিলে দাঁড়াত। হাতপাখা দিয়ে হাওয়া খেতাম। শট হওয়ার সময় মুখে একটা বরফ লাগিয়ে দিত। এভাবেই শ্যুটিংয়ে কাজ করেছি।
এখনও যখন ‘চারুলতা’ দেখে দর্শক মুগ্ধ হন, খুবই ভালো লাগে। আসলে ছবি তো শুধু আমার একার নয়, সকলে মিলে কাজ করেছি। সকলের উপরে থাকেন সত্যজিত্ রায়। ওঁর ভাবনা থেকেই তো সবটা হয়েছে।