সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মনে পড়ছে একটা দৃশ্যের কথা। গোপালপুরের সমুদ্র সৈকতে শ্যুটিং হয়েছিল। সেইদিন আমি শ্যুটিংয়ে গিয়েছিলাম। আর বাবা (সত্যজিত্ রায়) শ্যুটিংয়ের আউটডোরগুলি আমার স্কুল ছুটির সময়টাতেই রাখতেন। ফলে আমিও মাঝে মধ্যে শ্যুটিংয়ে যেতে পারতাম। গোপালপুরের দিনগুলি খুব আবছা মনে পড়ে। গোপালপুর ছিল বাবার খুবই প্রিয় জায়গা। বাবার লেখা বংশী চন্দ্রগুপ্তকে লেখা একটা চিঠি রয়েছে। সেখানে স্কেচ, কীভাবে সবটা হবে, সেগুলি লেখা ছিল। বংশীকাকাও অসাধারণ কাজ করেছিলেন। খুব আবছা স্মৃতির কথা মনে পড়ে।
আর একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়ছে—অমল আর চারুর একটা দৃশ্য ছিল বাগানের মধ্যে। সেটা বালির কাছে একটা বাড়ির বাগানে শ্যুটিং হয়েছিল। আমিও সেখানে ছিলাম। খুব আবছা এখনও চোখের সামনে ভাসে, ক্যামেরাটা নিয়ে দোলনার সঙ্গে বাঁধা হচ্ছিল। ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’ গানের সঙ্গে ক্যামেরা বাঁধা হচ্ছিল। তাছাড়া আমার শ্যুটিংয়ে যাওয়াটা যে খুব একটা নিয়মিত ছিল, এমনটা নয়। কারণ, তখন স্কুল-পড়াশুনার একটা চাপ ছিল। মাঝেমধ্যে মায়ের সঙ্গে গিয়েছি। তার ফাঁকে এনটি-১ স্টুডিওতেও গিয়েছি। সেখানে গোটা সেট তৈরি হয়েছিল। শ্যুটিং দেখার বাতিক খুব ছোটবেলা থেকেই হয়ে গিয়েছিল। এক্ষেত্রেও গোপালপুরের আউটডোরের সময় আমার স্কুলের কিছু একটা ছুটি ছিল। তাছাড়া ইউনিটের সদস্যরা সকলেই আমাদের পরিবার। শ্যুটিং মানে একটা পিকনিকের মতো মনে হতো। যদিও পরে বুঝতে পেরেছি, পিকনিকের সঙ্গেও একটা কাজ হতো। সবসময়ে শ্যুটিংয়ের কাজকর্ম খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্নভাবেই হতো। এখন ছবিগুলো দেখে পুরনো অনেক কথা মনে পড়ে।
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় : সত্যেন্দ্র পাত্র