Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মা দুর্গার নৈবেদ্য
লোকনাথ চক্রবর্তী

 

আমরা যা খাই বা গ্রহণ করি, তা যখন দেবতাকে দিই, তখন তাকে বলে নৈবেদ্য। বাড়িতে কেউ এলে তাকে যেমন আমরা হাত-পা ধোয়ার জল দিই, আসন দিই, কিছু খেতেও দিই। সেইরকম পুজোর সময় যে দেবতাকে আমাদের ভদ্রাসনে ডেকে আনি তাঁকেও নানা আচারে-উপচারে সম্মানিত করতে চাই। নৈবেদ্য সেই অনেক উপচারের একটি। দুর্গাপুজোতে নৈবেদ্যর বহর অনেকখানি, তাতে আবার তিথিভেদে বৈচিত্র্যও আছে। ‘কালিকাপুরাণ’ মতে, প্রশস্ত ও পবিত্র নিবেদনীয় বস্তু দেবীকে সমর্পণ করতে হবে। তার মধ্যে ভক্ষ্য, ভোজ্য, লেহ্য, পেয় ও চোষ্য থাকতে হবে। ‘শাক্তানন্দতরঙ্গিণী’তে দেবীকে কী ভোগ দিতে হবে বলা হয়েছে। তার মধ্যে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী— সব পুজোতেই যা দেওয়া ভালো তা হল, চিঁড়ে, খই, চালভাজা, ঘি দিয়ে পাক করা হয়েছে এমন খাবার এবং ঘি দেওয়া পায়েস। আর যা দিলে মন সন্তুষ্ট হয় তেমন কিছু নৈবেদ্য। দেবপুজোয় যা বাঞ্ছিত তাই দেওয়া উচিত। ছোট ছেলেরা যা ভালোবাসে সেরকম খাদ্য মাকে দিতে হয়। যে বস্তুটি নিজের অপ্রিয় সেটি মাকে দিতে নেই। যা স্ত্রীদের প্রীতিকারক তা দিতে হয়। আর মাকে পান নিবেদন করলে মা খুবই খুশি হন। 
ষষ্ঠী
ষষ্ঠীপুজোর সময়ই মা আমাদের আঙিনায় আসেন। আমন্ত্রণ, অধিবাস ও বোধন পর্বের সূত্রেই মহাপূজার সূচনা হয়। তখন থেকেই দেবী দুর্গা ও অন্যান্য আবাহিত দেবতাদের কিছু ভোগ নিবেদন করতে হয়। দুর্গাপুজোর প্রতিদিনই মূল পুজো শুরু হয় অবশ্য ভূত, প্রেত, পিশাচদের পুজো করে! তারপর একটি বেলপাতায় মাষকলাই, দই, হলুদ, ঘি ওই ভূতপ্রেতের উদ্দেশে নিবেদন করে অনুষ্ঠিত হয় ভূতাপসারণ। এরপর আরম্ভ হয় মূল পুজো। ষষ্ঠীতে পঞ্চদেবতা ও দেবী দুর্গাকে নিবেদন করা হয় বিভিন্ন ফল, মিষ্টি ও আতপ চাল। 
সপ্তমী
সপ্তমীতে কোনও জলাশয়ে বা নদীতে নবপত্রিকা স্নান করিয়ে নিয়ে আসার পর পুজোমণ্ডপেও একটি সংক্ষিপ্ত স্নান হয়। স্নানের জন্য নানা উপকরণ লাগে। সেগুলিও প্রকৃতপক্ষে দেবীর উদ্দেশে নিবেদিত হয়। ‘কালিকাপুরাণে’ দেবীকে যা নিবেদন করতে হয় সেই তালিকায় মুখ   ধোয়ার দাঁতন, সুগন্ধী তেল, পঞ্চকষায়, ধূপ, দীপ, অলঙ্কার, মালা, সিঁদুর এমনকী কাজলেরও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই কাজল কীভাবে তৈরি করতে হবে, কে করবেন সব বলে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মাটির পাত্রে চোখের কাজলের যেন কোনও যোগ না হয়। কোনও কারণে হলে পুজোর ফলটাই পাওয়া যাবে না! ধূপ দিলে মা চতুর্বর্গ দেন আর কাজল দিলে ভক্ত যা চায়, মা তাই দেন। 
এরপর মাকে নানারকম ভোগ দিতে হয়। যথাবিধি না দিলে মা নেন না! অবশ্য রাগানুরাগে ভক্তিতে মাকে অন্তর থেকে নিবেদন করলে মা পরমকরুণায় নিবেদিত ভোগ গ্রহণ করেন। সেই ভোগের মধ্যে যা থাকবে তা হল— কমলালেবু, কয়েতবেল, আঙুর, সুপারি, ডালিম, কুল, চালকুমড়ো, কাঁঠাল, বকুল, যষ্টিমধু, আমসত্ত্ব, কেশর, আখরোট, পিণ্ড খেজুর, বেল, ডুমুর, শ্বেতপদ্ম, কাঁকুড়, জাম, বাতাবি লেবু, হরীতকী, আমলকী, ছ’রকম পিপুল, মৌরি, মটর, পটল, শসা, কলা ইত্যাদি। দুর্গাপুজোয় মায়ের নৈবেদ্যরূপে যে ফল-মূলের তালিকা শাস্ত্রে আছে, তার সব কিছুই কিন্তু শরৎকালে পাওয়া যায় না। কারণ বাসন্তী দুর্গাপুজোকে ধরে নিয়েই যে, এই তালিকা শাস্ত্রকার দিয়েছেন, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। 
সপ্তমীতে সকালে সাতটি বড় পাত্রে সাতটি আমান্ন দিতে হয়। সেই আমান্নে থাকে সাত সের আতপ চাল, নানারকম গোটা ফল, মিষ্টি, নাড়ু। এছাড়া সবরকম ফল কেটে মিষ্টির সঙ্গে সাজিয়ে মাকে দিতে হয়। এছাড়া শ্রীগুরুদেব এবং নারায়ণের ও নবপত্রিকার জন্যও আমান্ন নিবেদন করতে হয়। এই দিন দুপুরে হবে অন্নভোগ। সাড়ে চার সের আতপ চালের অন্ন সাতটি থালায় মাকে দেওয়া হয়। সঙ্গে গুরুদেবের, নারায়ণের, শিবের ও অন্যান্য গৃহদেবতাকেও আলাদা আলাদা থালায় ভোগ দিতে হয়। সপ্তমীতে মাকে আলু, পটল, বেগুন, কুমড়ো, কচুভাজা দেওয়া হয়। বেগুন, মুলো, পালংশাক, ফুলকপি, কচু ও পাঁচমিশালি মোট তিনটি তরকারি, পেঁপের টক ও অন্তত দশ সের দুধের পায়েস নিবেদন করা হয়।   সঙ্গে থাকে মোট ন’খিলি পান। ‘অগস্ত্য সংহিতা’য় বলা হয়েছে, পানে চুনের ফোঁটা দিয়ে তাতে সুপারি, কর্পূর দিয়ে মাকে দিতে হয়। 
আর ‘শিবার্চন চন্দ্রিকা’ ও ‘মৎস্যসূক্তে’ বলা হয়েছে যে, পানে শঙ্খ, শামুকের গুঁড়ো দিয়ে পাঁপড়, খয়ের, এলাচ, দারুচিনি, জায়ফল, কর্পূর, ধনে, মৃগনাভী ও অন্যান্য সদ্‌গন্ধ দিয়ে মাকে নিবেদন করতে হয়। এরপর রাতে ঘিয়ের লুচি ও মিষ্টি ভোগ দিয়ে দেবীকে শয্যা নিবেদন করতে হয়। ষষ্ঠী থেকে বিজয়াদশমীতে ভোগ নিবেদনের সময় প্রতিবারই শীতল, স্বচ্ছ, শুদ্ধ জলও নিবেদন করতে হয়।
অষ্টমী
অষ্টমীর সকালেও দাঁতন, মুখ ধোয়ার জল, স্নানের জল, সিঁদুর, কাজল— সব দেওয়ার পর সপ্তমীর মতোই সব ফল দেবীকে দিতে হয়। সঙ্গে আরও দেওয়া হবে আস্ত ধান, শালুক, ডাঁটা, পেঁপে, কলা, গাবফল, কুসুম, হলুদ, উচ্ছে, কাঠবাদাম, আখরোট, ক্ষীর, খোবানি, শালুক ও পঙ্কজের নানারকম ফল। তবে যত ফল বলা হয় তার মধ্যে বহড়া বৃক্ষ, তেলাকচু, শিলাজিৎ ও বৈষ্ণব ফল (কলা, শসা, আঙুর, লেবু, হরিতকী, আমলকী, আম, কাঁঠাল) দেবীর প্রিয়। ‘কালিকাপুরাণ’ বলেছেন— হে ভৈরব! মোসাম্বি লেবু, বাতাবি লেবু, করমচা, আম দেবীকে দিলে দেবী ভক্তের সমস্ত কামনা পূরণ করেন। মাকে পায়েস, পিঠে, যব, খিচুড়ি, মিষ্টি, চিঁড়ে ও নাড়ু ভোগ দেবে। ঘি ও চিনি মিশিয়ে শালিধানের ভালো অন্ন, এছাড়াও সবরকমের অন্ন, গোরু, মোষ, ছাগল, মৃগ— এদের দুধের ক্ষীর ভোগ দেবে। সবরকম মধু, গুড়ের মুড়কি, চিনি এবং মাংস দেবীকে দান করবে। ছানা, চিনি দেওয়া দই, ঘি দুর্গাকে ভোগ দিলে অশ্বমেধের ফল লাভ হয়। চিনেবাদাম, চিলগোজা (পাহাড়ি ফল), আমলকী, করমচা দিলে সৌভাগ্য লাভ হয়। আর মাষকলাই, মুগ, মসুর, তিল, ভাং ও যবও দিতে হয়। মাকে যে কোনও ভোগই বেশ বারাদি দ্বারা সংস্কার করে দিতে হয়। যে বস্তুকে যেভাবে সংস্কার করা উচিত, সেইভাবে সংস্কার করে তারপর মায়ের ভোগে কোনও বস্তু নিবেদন করতে হয়।  যাতে পূতিগন্ধ আছে, যা পুড়ে গেছে, যা খাওয়া যায় না, এরকম ভোগ মাকে দিতে নেই। কর্পূর ইত্যাদি দিয়ে সুগন্ধি পান চুনের ফোঁটা সহযোগে ভোগ দিতে হয়। 
অষ্টমীতে আট সের আতপ চাল দিয়ে আটটি আমান্ন এবং গুরুদেব ও নারায়ণের জন্য আরও দু’টি আমান্ন সকালে নিবেদন করা হয়। এরপর দুপুরবেলায় অন্নের থালা হবে আটটি এবং অন্যদের জন্য আরও দু’টি। সঙ্গে থাকবে লুচি, ছোলার ডাল, বাঁধাকপি ও কচুর দু’টি তরকারি, পাঁচরকম ভাজা, টম্যাটোর চাটনি, পায়েস ও পান। 
সন্ধিপূজা
সন্ধিপূজাতেও আটটি আমান্ন মায়ের ও অন্য দেবতার জন্য আরও দু’টি আমান্ন, সঙ্গে সপ্তমী, অষ্টমীতে যতরকম ফল দেওয়া হয়— সবই দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে মিষ্টি ও পিঠে। যেখানে বলিদানের প্রথা আছে, সেখানে পশু, পক্ষী যা বলিদান দেওয়া হবে তার মাংস, মাছ দেবীকে ভোগ দেওয়া হবে। শাস্ত্র মতে, গণ্ডার, ঘোড়া, ছাগল ও মাছ— এদের মাংস একসঙ্গে পাক করে দেবীকে দিলে তিনি প্রসন্না হন। ভক্তের রাজ্যলাভ হয়। মুলো দিয়ে হরিণের মাংস লোহার পাত্রে রান্না করে দেবীকে দেওয়া যায়। আর যাঁদের পূজায় বলিদান নেই তাঁরা খেজুর ও ঘি দিয়ে যবের গুঁড়ো দেবী বৈষ্ণবীকে নিবেদন করলে রাজসূয় ফল পান। মাকে খিচুড়ি দিলে অতুল সৌভাগ্য লাভ হয়। নারকেলের জল দিলে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল লাভ হয়। বাতাবি লেবু, জায়ফল, আমলকী ও বেল মাকে দিলে তিনি প্রসন্না হন। আঙুর, চিনি এবং কমলালেবু মাকে নিবেদন করলে লক্ষ্মীলাভ হয় এবং রূপবান হয়। থানকুনি এবং চিঁড়ে দিলেও হয় লক্ষ্মীলাভ। 
সন্ধিপূজায় যে বলিদানের ব্যবস্থা আছে, তাতে পশুবধ যেখানে হয় না, সেখানে চালকুমড়ো, আখ প্রভৃতি বলি দেওয়ার প্রথা আছে। আবার বিশেষ ক্ষেত্রে একটি বৃহদাকার মিষ্টি সন্ধিসময়ে বলির বিকল্প হিসেবে নিবেদিত হয়। সঙ্গে পায়েস ও লুচি ভোগ দেওয়া হয়। এরপর রাতে সপ্তমীর মতোই ঘিয়ের লুচি ও মিষ্টি নিবেদন করা হয়। 
নবমী
নবমীর সকালে ন’টি আমান্ন মায়ের এবং অন্যদের আরও দু’টি দেওয়া হয়। তাছাড়া সপ্তমী থেকে দশমী প্রতিদিনই পঞ্চামৃতও দিতে হয়। এই দিন দুপুরে মায়ের ন’টি থালায় অন্ন ও অন্যদের আরও দু’টি থালায় অন্ন, সঙ্গে ঘি, লেবু, পাঁচরকম ভাজা, মুগ ও মটরের দু’রকম ডাল, কলাই ডাল, কচু, পুনকো শাকের তরকারি, করলা ও কাঁচকলা ছাড়া শুক্তো, ফুলকপির তরকারি, পেঁপে ও চালতার দু’রকম টক, পায়েস ও পান মাকে দেওয়া হয়। রাতে ঘিয়ের লুচি ও মিষ্টি নিবেদনের পর পূজার প্রতিদিনের মতো শয্যা নিবেদন করা হয়। 
কালিকাপুরাণ মতে, গোটা আখ, মুগডালের মণ্ড এবং মাখন মাকে ভোগ দিলে অতুল সৌভাগ্য লাভ হয়। মাখনের সঙ্গে একটু তিল দিলে খুবই ভালো। রত্নধোয়া জলের সঙ্গে নারকেলের জল তাতে ক্ষীর, ঘি, মধু মিশিয়ে কিছুটা চিনি ও দই দিয়ে পান করা যাবে, এইরকম বস্তু তৈরি করে তৈজস পাত্রে দেবীকে দিলে ঋদ্ধি-সিদ্ধি দু’টিই লাভ হয়। 
মাকে যদি মরিচ, পিপ্পলী, মোচা, কাঁকুড়, পদ্মের নাল সংস্কার করে তাতে খণ্ডযুক্ত তেঁতুল দেওয়া হয়, তাতেও ভক্তের অভ্যুদয় হয়। রাজমা, মসুর, পালংশাক, পাটশাক, কচুশাক, মাষকলাই, ব্রাহ্মীশাক, মুলো, বেতুয়াশাক, কলমী শাক, অঙ্কুরিত শস্য দানা, হেলেঞ্চাশাক, টগরফুল, গাছের কচি পাতা ভোগ দিলে অতুল লক্ষ্মী ও দুর্গালোক লাভ হয়। 
ভোগ নিবেদনের ব্যাপারে শাস্ত্র আমাদের সচেতন করে বলেছেন যে, শ্রদ্ধা, পরিষ্ঠি, সংস্কার, ভক্তি, দ্রব্য, অভিমন্ত্রণ এবং অনুরাগ যুক্ত হয়ে ভোগ নিবেদন করতে হয়। মন্ত্রবিরুদ্ধ এবং কালবিরুদ্ধ এবং গুরুভার সমন্বিত নৈবেদ্য মাকে দিতে নেই। রুপা, সোনা, তামার পাত্র বা পাথরের পাত্রে ভোগ নিবেদন করতে হয়। তৈজস পাত্রের মধ্যে সৌবর্ণ বা তামার পাত্রে ভোজন ও অর্ঘ্য দিতে হয়। যদি তা না থাকে তাহলে যজ্ঞকাঠের পাত্রে ভোগ দেওয়া যায়। তবে তা মধ্যম ব্যবস্থা। আর যখন তাও থাকবে না, তখন নিজে হাতে তৈরি করে মাটির পাত্রে ভোগ দেওয়া যাবে। 
পুরাণকার বলেছেন, মাকে ভোগ নিবেদন করলে ভক্তের মনোবাসনা পূরণ হয়। সব কাজ সিদ্ধ হয়। অমৃত লাভ হয়। ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ— মায়ের নৈবেদ্যে সর্বদা প্রতিষ্ঠিত থাকে। নৈবেদ্য হল সর্ব যজ্ঞময়, সকলের তুষ্টিপ্রদ। মায়ের প্রসাদ আমাদের জ্ঞান ও কাম প্রদান করে। ভোগপ্রসাদ সব সময় অতি পবিত্র। 
‘শাক্তানন্দতরঙ্গিণী’তে বলা হয়েছে, ভোগ নিবেদনের সময় যদি কোনও বস্তুর অভাব থাকে। মানে আমরা যত উপচার উপকরণের কথা জানলাম, তা যদি জোগাড় করা না যায়, তাহলে মনে মনে সেই বস্তু ভাবনা করে মানস নিবেদন করা  যেতে পারে। তাতেও পুজোর ফল একই হয়। দেবী প্রসন্ন মনে এই মানস নৈবেদ্য গ্রহণ করেন। ‘কালিকাপুরাণ’ও একই কথা বলেছেন। পূজার শ্রেষ্ঠ নৈবেদ্য  চোখের জল। তারপর বন্দনা। বন্দনায় প্রাণ ও বুদ্ধি মাতৃচরণে সমর্পিত হয়। প্রণামও চোখের জলের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রণাম হল  আত্মযজ্ঞ। নিজের ‘আমি’টাকেই অর্ঘ্যরূপে মায়ের চরণে নিবেদন করে দেওয়া! 
দশমী
দশমীর সকালে দশ সের আতপ চালের দশটি আমান্ন, সবরকম গোটা ফল, মিষ্টি, নাড়ু ইত্যাদি দিতে হয়। সপ্তমী থেকে দশমী প্রতিদিন বেলগাছের ছোট শাখা ও পঞ্চামৃত, কাজল, সিঁদুর ইত্যাদি মাকে নিবেদন করা হয়। এছাড়া ষোড়শ উপচারের দ্রব্যগুলি তো নিবেদিত হয়ই। দশমীর দিন পূজার পরে যে ভোগ নিবেদন হয়, তাতে নানারকম কাটা ফল,   মিষ্টি এবং দশটি বড় থালায় চিঁড়ে,  দই, মিষ্টি, গুড় ইত্যাদি ভোগ দেওয়া হয়। আর শিবের জন্য বিশেষ করে সিদ্ধি বেটে তাতে কলা, দুধ, মিষ্টি মিশিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। দশমীতে অন্নভোগ হয় না। রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে সকলে অন্নপ্রসাদ গ্রহণ করেন। এই ভোগটি মায়ের চিত্রপটে এবং শ্রীগুরুদেবের কাছে নিবেদন করা হয়। 
দুর্গাপূজা হল মহাপূজা— কলির অশ্বমেধ যজ্ঞ! তাই এই পুজোয় উপচারের বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য আছে। সব জায়গায় যে একইরকম নৈবেদ্য বা ভোগ নিবেদনের বিধি-রীতি আছে— এমনটা কখনও নয়। পারিবারিক ঐতিহ্য ও আঞ্চলিক রীতি অনুসারেও ভোগের দ্রব্য ও নিবেদন পদ্ধতি আলাদা হয়ে থাকে। আমরা শুধু দৃষ্টান্তরূপে শাস্ত্রীয় পদ্ধতির সঙ্গে কিছু পারিবারিক পূজায় যেমনটা হয় তা ছোট করে বলার চেষ্টা করলাম। এখানে বিশেষত রানিগঞ্জে শ্রীভূমানন্দদেব প্রবর্তিত গৌরী আশ্রমের প্রাচীন দুর্গাপুজোয় ও আরও কয়েকটি স্থানে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাকে দৃষ্টান্তরূপে গ্রহণ করা হয়েছে। 
জগতের সঙ্গে যোগাযোগ হলে আমাদের চেতনায় নানা তরঙ্গ ওঠে। তারপর আমরা ইন্দ্রিয় ও মনের নির্দেশ মেনে ছোটাছুটি করি, প্রথমে খুব আরাম হয়, ভালো লাগে ক্ষণিকের জন্য। তারপরই অনুভব করি আর ভালো লাগছে না! —এই হল আমাদের ভোগ, যা আসলে দুর্ভোগ ছাড়া অন্য কিছু নয়। মাকে আমরা যখন ভোগ নিবেদন করি, তখন মা প্রসন্ন হয়ে আমাদের নিবেদিত নৈবেদ্যের সূক্ষ্ম অংশ গ্রহণ করেন। সাদা চোখে মনে হয় যা দিয়েছিলাম সবই তো এখানেই রইল! তাহলে মা যে গ্রহণ করলেন সেটা বুঝব কেমন করে? উত্তর হল— চন্দন, লবঙ্গের মূল নির্যাস বের করে নেওয়ার পরেও যেমন বাইরে থেকে বস্তুটিকে যথাযথ অবস্থিত বলেই বোধ হয়, তেমনই বাইরে নৈবেদ্য যা আমার স্থূল নাগালে এল, তা তখন কিন্তু মায়ের প্রসন্নতায় প্রসাদের মর্যাদায় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। আমার মতোই অন্ন, ব্যঞ্জন, ফল, মিষ্টান্ন, ধূপ, দীপ, বলি— সবাই নিজেকে মাতৃচরণে নিবেদন করে কৃতার্থ হয়ে গিয়েছে। নিবেদিত সত্তায় তখন সত্ত্বগুণের প্রাচুর্য, যা আমাকে আনন্দ রাজ্যে আলোর রাজ্যে পৌঁছে দেবে। এখানেই মাতৃপূজার পূর্ণতা।
ছবি : সোমনাথ পাল ও তাপস কঁাড়ার
প্রথম ফোনটা এল
ভোর চারটে পাঁচে
সায়ম ভদ্র
(বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের নাতি)

প্রথম ফোনটা এল ভোর চারটে পাঁচে। সালটা ১৯৭৬। তার পাঁচ মিনিট আগেই শুরু হয়েছে মহালয়া উপলক্ষে বেতারের প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘দুর্গা-দুর্গতিহারিণীম‌’। যেটি উত্তমকুমারের মহালয়া বলে পরিচিত। আমরা সকলে বাড়ির রেডিওটি চালিয়ে শুনতে বসেছি। সকলে বলতে দিদা, বড় পিসি, মা আর আমি। দাদু আছেন পাশের ঘরে। বিশদ

25th  September, 2022
 মহালয়ার শঙ্খধ্বনি

এক হাতে তুলে বাজাতে বেশ বেগ পেতে হয়, এত ভারী! বয়স দুশো কিংবা তারও বেশি। নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর প্রত্যক্ষ বংশধরদের যে ধারাটি কলকাতার সিমলে অঞ্চলে রয়েছে, তাঁদের মন্দিরে রাখা রয়েছে শঙ্খটি। এই শাঁখটাই বাজানো হয়েছিল আকাশবাণীর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’তে। বিশদ

25th  September, 2022
জাগো দুর্গা... জাগো
দশপ্রহরণধারিণী
কলহার মুখোপাধ্যায়

প্রচুর আলো। গঙ্গার জলে রোদ্দুর পড়লে চোখ ঝলসে যায়। তবে তা সত্ত্বেও আর্চের নীচে এ দিকটায় রোদ তেমন আসতে পারে না। একটু ছায়া ছায়া। ঝুপসি অন্ধকার। ‘মালিশ পার্টি’ না থাকলে কালো কাঠের পাটা পেতে এখানেই শুয়ে থাকে লখেশ্বর। বিশদ

25th  September, 2022
বিদায় এলিজাবেথ
শাসন-হীন এক শাসকের গল্প

বিষণ্ণ বৃষ্টিটা বন্ধ হয়েছিল শেষপর্যন্ত। জলে ধোয়া পরিষ্কার আকাশ। জোড়া রামধনুর দেখা পেতে বেশিক্ষণ লাগেনি। মনে হচ্ছিল ও দুটো বোধহয় বাকিংহাম প্যালেসেরই তোরণ।
বিশদ

18th  September, 2022
কলকাতা সফরে রানির
বাহন আজও সচল

কলকাতায় আসছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ঝড়ের গতিতে খবরটা চাউর হয়ে গেল শোভাবাজার থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত। যেন ধুম জ্বরে কাঁপছে আস্ত শহরটা।
বিশদ

18th  September, 2022
সেনাবাহিনীর ট্রাক ড্রাইভার!

১৯৩৯ সাল। শুরু হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সেই আঁচ পৌঁছেছিল ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরমহলেও। যুবরানি এলিজাবেথ তখন ১৩ বছরের কিশোরী।
বিশদ

18th  September, 2022
/ ১১

আজ ১১ সেপ্টেম্বর। একুশ বছর আগে এদিনই আক্রান্ত হয়েছিল নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার। যার জেরে শুরু হয়েছিল আফগানিস্তান যুদ্ধ। দীর্ঘ দু’দশকের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ফিরে দেখলেন মৃণালকান্তি দাস। বিশদ

11th  September, 2022
অন্য আশা

আশা ভোঁসলের গান নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে। কিন্তু গায়িকা ছাড়াও তাঁর একাধিক সত্তা রয়েছে। তিনি একাধারে মা, বাড়ির গৃহিণী, আবার ঠাকুরমাও। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর নব্বইয়ে পা দিচ্ছেন আশা। তাঁর জীবনের অন্যদিকগুলির উপর আলো ফেললেন স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী। বিশদ

04th  September, 2022
জয় হে…

কাল, সোমবার জাতীয় ক্রীড়া দিবস। ‘হকির জাদুকর’ ধ্যান চাঁদের জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হয় ন্যাশনাল স্পোর্টস ডে। ক্রিকেট, ফুটবলের চরম উন্মাদনার মধ্যেও অন্যান্য ক্রীড়া ক্ষেত্রে দেশের মাথা উঁচু করেছেন বহু খেলোয়াড়। তেমনই কয়েকজনের কৃতিত্বকে ফিরে দেখলেন অভিজিৎ সরকার।
বিশদ

28th  August, 2022
সত্যজিৎময় মসুয়া
সুখেন বিশ্বাস

বাংলাদেশে গেলেও তিনি কখনও পা রাখেননি পৈতৃক ভিটেতে। তবুও মসুয়ার রায়চৌধুরী বাড়ির পরিচয় ‘সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি’ নামেই। এই বাড়িতেই জন্ম হয়েছিল সত্যজিতের ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর। ১৯৫৫ সালের ২৬ আগস্ট মুক্তি পায় ‘পথের পাঁচালি’। সেই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছরই এখানে প্রদর্শিত হয় এই আইকনিক ছবি। বিশদ

21st  August, 2022
সাদাকালোর ম্যাজিকেই আন্তর্জাতিক তিনি

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘পথের পাঁচালি’ সম্মানিত হওয়ার পরপরই সারা পৃথিবীতে সত্যজিতের নাম ছড়িয়ে পড়ে। এই পর্যন্ত ১২টি পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি। নিউ ইয়র্ক, বার্লিন, ডেনমার্ক, ম্যানিলা, ভ্যানকুভার, এডিনবার্গসহ বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব থেকে আসে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বিশদ

21st  August, 2022
স্বাধীনতার  ৭৫
সমৃদ্ধ দত্ত

ইন্ডিয়ান লিডারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক। একবার মিস্টার জিন্না বলছেন, তিনি ক্যালকাটাকে ছেড়ে দিতে রাজি নন। এমনকী বেঙ্গলের পার্টিশনও যেন না হয়। আবার পণ্ডিত নেহরু বলছেন, তাঁদের আপত্তি আছে ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাসে। তাছাড়া কমনওয়েলথে থাকার ব্যাপারটা যেন কোনও জোরজবরদস্তি না হয়। বিশদ

14th  August, 2022
ফ্রেন্ডশিপ ডে

১৯৫৫ সাল। শশব্যস্ত টেকনিশিয়ান স্টুডিও। শ্যুটিং চলছে। আচমকাই সব বন্ধ। সভা ডেকেছেন জহর রায়। শুরু হল বক্তৃতা! জহর বলছেন, ‘ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় আজ একটি রেকর্ড করেছে।  কমেডি করে গাড়ি কিনেছে। বাংলা সিনেমায় কমেডিয়ানের প্রথম গাড়ি। বিশদ

07th  August, 2022
ম্যাটিনি আইডল

আজ আরও একটা ২৪ জুলাই। বিয়াল্লিশ বছর আগে এদিনেই লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন উত্তমকুমার। মৃত্যুর এত বছর পরও বাঙালির মনে তাঁর সিংহাসন অটুট। তিনি যেন চির প্রেমিক। মৃত্যুবার্ষিকীতে মহানায়ককে স্মরণ করলেন টলিউডে তাঁর দুই সহশিল্পী। বিশদ

24th  July, 2022
একনজরে
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন নিয়ে তীব্র আলোড়ন চলছে কংগ্রেসের অন্দরে। সেই আবহে শনিবার দলের যুব সংগঠনের রাজ্যওয়াড়ি শীর্ষ পদাধিকারী নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হল। ...

শুক্রবার আইএসএল অভিযান শুরু করছে ইস্ট বেঙ্গল। প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স। বুধবার কোচি পৌঁছনোর কথা ইভান গঞ্জালেস-শৌভিক চক্রবর্তীদের। ইস্ট বেঙ্গলের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। শনিবার কোচ ...

থিমের পুজো এবার নজর কাড়ছে গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দাদের। শহরে বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তারা থিম পুজোর উপর ভর করে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে। শিল্পীদের ভাবনায় তৈরি হয়েছে এসব থিম। গঙ্গারামপুর জ্বলন্ত অগ্নি সঙ্ঘ ক্লাবের এবারের ৪৭তম বর্ষের পুজোর থিম নারী। ...

লখিমপুর খেরি কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। সেই চিঠির অন্যতম প্রধান দাবিই হল, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস
ভারতে গান্ধী জয়ন্তী
পথশিশু দিবস 
১৭৯০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আদমশুমারি শুরু হয়
১৮১৪: সমাজ সংস্কারক দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৬৬: হিন্দু সন্ন্যাসী ও রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী অভেদানন্দর জন্ম
১৮৬৮: কলকাতায় জেনারেল পোস্ট অফিস উদ্বোধন হয়
১৮৬৯: মহাত্মা গান্ধীর জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর জন্ম
১৯০৪: দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম
১৯০৬: শিল্পী রাজা রবি বর্মার মৃত্যু
১৯১৭: কবি অক্ষয়চন্দ্র সরকারের মৃত্যু
১৯২৪: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিংহের জন্ম
১৯৫০ - কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিকের জন্ম
১৯৬২: ‘টারজান’ খ্যাত হলিউড তারকা জো লারার জন্ম
১৯৭২: মুম্বই তথা তৎকালিন বোম্বেতে ভারতের প্রথম টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হয়
১৯৯৬ : মাদার তেরেসা আমেরিকার সম্মানিক নাগরিকত্ব লাভ করেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮০.৭৮ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৫৪ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
ইউরো ৭৮.৫৬ টাকা ৮১.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২।  সপ্তমী ৩৩/১০ রাত্রি ৬/৪৮। মূলা নক্ষত্র ৫০/৫১ রাত্রি ১/৫৩। সূর্যোদয় ৫/৩১/৫২, সূর্যাস্ত ৫/২০/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৩/১৯ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ১/২৮ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৪৬ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৫ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২। সপ্তমী রাত্রি ৬/২২। মূলা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৬ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/১৮ গতে ৫/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩১ গতে ৪/১৬ মধ্যে। 
৫ রবিউল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি
দেবীর আবাহনে গোটা বাংলা মেতেছে উৎসবের আনন্দে। শারদোৎসব উপলক্ষে ‘বর্তমান’-এর সকল ...বিশদ

04:00:00 AM

সাংসদ পদ ছাড়লেন খাড়্গে
কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেস নেতা ...বিশদ

01-10-2022 - 02:42:50 PM

দিল্লিতে পিইউসি ছাড়া মিলবে না তেল
২৫ অক্টোবরের পর থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ছাড়পত্র  ছাড়া দিল্লিতে পাওয়া ...বিশদ

01-10-2022 - 02:32:37 PM

চিকিৎসক নীলরতন সরকার ও সঙ্গিতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মন্ত্রী অরূপ রায়

01-10-2022 - 01:21:00 PM

ভারতে বন্ধ করা হল পাকিস্তানি সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট

01-10-2022 - 12:54:30 PM

ভারতীয় সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল আমেরিকা
ইরান থেকে তেল কেনার জন্য একটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ...বিশদ

01-10-2022 - 12:42:02 PM