Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

আরাধনা ৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

সংলাপটি ছিল খুব সহজ। ‘জি হৌজুর, সাব ঘর পে হ্যায়।’ ব্যস! কিন্তু ওই একটি ডায়ালগ বলতেই চরম নার্ভাস যতীন্দর। নাটকের নাম ‘মেরে দেশ কে গাঁও’। একটি বাংলোর ডোরকিপারের রোল। একজন সেই বাংলোর মালিকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। তার প্রশ্নের উত্তরে খাকি পোশাক পরা যতীন্দরকে বলতে হবে, জি হৌজুর, সাব ঘর পে হ্যায়। নাটক হবে নাগপুরে। মুম্বই থেকে বাস ভাড়া করে যাওয়া হয়েছিল। ৩ মে, ১৯৬১। কিন্তু নাটকের দিন অডিটোরিয়ামে প্রচুর দর্শক দেখে এই ভিড়ের সামনে ঘাবড়ে গেল যতীন্দর। টেনশনে শেষ পর্যন্ত সে ভুল সংলাপ উচ্চারণ করল।–‘জি সাব, হৌজুর ঘর পে হ্যায়।’ নাটকে বিশেষ হেরফের হল না। কিন্তু প্রবল হাসিঠাট্টা হল যতীন্দরকে নিয়ে। যতীন্দর বাড়ি ফিরে নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিল। লজ্জা আর ক্ষোভে। সে আয়নার সামনে নিজেকে দেখে বারংবার বলছিল, ‘তুমি ফেল করেছো। তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না।’ আইএনটি ড্রামা কোম্পানির রিহার্সালেও সে আর যাবে না ঠিক করল। কী হবে গিয়ে? সে তো সামান্য এক ছোট রোলই করতে পারে না। কিন্তু বন্ধুমহলে যতীন্দর খুব প্রিয়। তাই তারা বাড়িতে এসে তাকে জোর করে আবার নাটকের গ্রুপে নিয়ে গেল। এবং, আশ্চর্যজনকভাবে তার সেই প্রাথমিক নার্ভাসনেস কেটে যেতে লাগল। পরপর দু’টি নাটক বেশ ভালো হল। প্রশংসাবাক্যও শোনা গেল। রেলের কন্ট্রাক্টর চুনীলাল খান্না ছেলেকে ডেকে বললেন, ‘তোমাকে আর ৬ মাস সময় দিলাম। এরপর তোমাকে আমার বিজনেসে আসতে হবে। এভাবে নাটক ফাটক করে বেড়ানো আমার পছন্দ নয়।’ যতীন্দরের সামনে আর মাত্র ৬ মাস। এর মধ্যেই কিছু একটা করে ফেলতে হবে।
তায়েব এসে একদিন বলল, ‘তোমাকে বি এস থাপা ডাকছেন। একটা নাটক নিয়ে। চার্চ গেটের গে লর্ড কফি শপে। যেতে পারো।’ যতীন্দর বেশ উৎফুল্ল। বি এস থাপা খুব গুণী মানুষ। থিয়েটার জগতে খ্যাতনামা। থাপা দেখলেন যতীন্দর ছেলেটির কথা বলার মধ্যে একটা বিশেষ সুর আছে। টেনে টেনে কথা বলে। আর সংলাপ ডেলিভারিটাও অন্যরকম। মাঝেমধ্যেই মাথা ঝুঁকিয়ে দেয়। সেটা কি ম্যানারিজম? যাই হোক। সুদর্শন একটা যুবক দরকার নাটকে। তাই যতীন্দরকেই সিলেক্ট করা হল। তাঁর বিপরীতে মেয়েটি খুব আড়ষ্ট। কিন্তু অত্যন্ত সুন্দরী। নাম অঞ্জু মহেন্দ্র। অঞ্জুর পরিচয় বেশ উচ্চমানের। সঙ্গীত পরিচালক মদনমোহন তাঁর মামা। আর ফিল্মিস্তান স্টুডিওর অন্যতম মালিক হলেন মেয়েটির দাদু। যতীন্দর আর অঞ্জু চার্চ গেটের গে লর্ড কাফে শপে দেখা হওয়ার দিন থেকেই একে অন্যকে পছন্দ করে ফেলল। সেই পছন্দ এগতে লাগল রিহার্সালের হাত ধরে এক অন্য পরিণতির দিকে। সেই কাহিনিতে আমরা ঢুকব না। আমরা বরং দেখি যতীন্দর ওই নাটকের মাধ্যমে কী পেল?
যতীন্দরের একটা শখ। সাজগোজ। সর্বদাই সে টিপটপ জামাকাপড়ে। এটা সে শিখেছে তার এক স্কুলের বন্ধুর থেকে। বন্ধুটির নাম রবি। রবি কাপুর। মুম্বইয়ের গিরাগাঁও এলাকায় সেন্ট সেবাস্টিয়ান গোয়ান স্কুলে ক্লাস টু থেকে একসঙ্গে পড়েছে রবি আর যতীন্দর। সেই রবি ওই ছোটবেলা থেকেই প্রচণ্ড স্মার্ট আর ঝকঝকে জামাকাপড় পরতে পছন্দ করত। রবিকে দেখেই যতীন্দরও সেরকম। বি এস থাপার নাটকের রিহার্সাল যেখানে হবে সেই বিল্ডিংয়ের তিনতলায় সারাক্ষণ বেশ ধোপদুরস্ত মানুষজনের যাতায়াত। অফিসটি গীতা বালির। তাঁর একটা ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি আছে। সেটারই অফিস। যতীন্দর নাটক করে কেন? কারণ, তার মনে একটি গোপন বাসনা হল একদিন সে সিনেমায় অ্যাক্টিং করবে। হিরো হবে। সেদিন সিঁড়ি দিয়ে রিহার্সাল রুমে ওঠার মুখেই আচমকা সামনে গীতা বালি। হেসে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়াই নিয়ম। কিন্তু গীতা বালি তীক্ষ্ণভাবে লক্ষ্য করছেন। নামজাদা অভিনেত্রী। বহু হিন্দি ছবির হিরোইন। সেই মহিলা এভাবে তাকিয়ে কেন? যতীন্দর একটু অস্বস্তিতে। গীতা বালি ভ্রু কুঁচকে জানতে চাইলেন, ‘তুমি কি অ্যাক্টর?’ যতীন্দর বলল, ‘হ্যাঁ, মানে একটা নাটকের গ্রুপে..।’ কথা শেষ করতে না দিয়েই গীতা বালি বলে ফেললেন, ‘শোনো আমরা একটা পাঞ্জাবি ফিল্ম করব। একটা নিউ ফেস চাই হিরোর রোলে। তোমার কিছু ছবি দিয়ে যেও তো আমার অফিসে। আমাদের প্রোডাকশনের পছন্দ হলে তোমাকে ডাকা হবে স্ক্রিন টেস্টে।’ যতীন্দরের পা যেন সিঁড়িতে আটকে গেল। এই অভাবনীয় সুযোগ এভাবে হেঁটে হেঁটে তার কাছে এল, এটা ভাবাই যায় না। তা হলে স্বপ্ন সত্যিই হতে চলেছে? পরদিন সকালে‌ই ঩নিজের সবথেকে ভালো ভালো ছবি নিয়ে সোজা গীতা বালির অফিসে গিয়ে দিয়ে এল যতীন্দর। দিন যায়। মাস যায়। যতীন্দর অপেক্ষা করে কবে ফোন আসবে। সে নিয়ম করে বি এস থাপার সেই নাটকের গ্রুপে রিহার্সাল করছে। কিন্তু ভাগ্যের এমন পরিহাস, আর একবারও দেখা হল না গীতা বালির সঙ্গে। অফিসে গিয়ে খোঁজ নেওয়াই যায় না। কারণ, উনিই বলেছেন খবর দেবেন। কিন্তু খবর এল না। উল্টে এল খবরের কাগজের একটি নিউজ। গীতা বালি একটি পাঞ্জাবি ফিল্ম করছেন। তার বিবরণ। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও সেখানে নিজের নাম পেল না যতীন্দর। বরং নায়কের ভূমিকায় অন্য একজনের নাম দেওয়া হয়েছে। সেই নামটিও পাঞ্জাবি। ধর্মেন্দ্র!
তাকে সিনেমায় নেওয়া হল না। অথচ একটা ইনভাইটেশন কার্ড পাঠানো হল। সেখানে বলা হয়েছে ‘সিনেমার মহরৎ পার্টি হবে। আপনি আমন্ত্রিত।’ যতীন্দর ভাবছে যাবে কি না। কী হবে গিয়ে? চান্সই দিল না। আর এখন পার্টিতে ডেকে ভালোমন্দ খাওয়াবে। কিন্তু তবু কিছু একটা মনের তাড়না যতীন্দরকে যেন বলল, যেতে। গীতা বালির বাড়িতেই পার্টি। বাড়ির নাম ব্লু হেভেন। সংকোচ নিয়ে হাতে ইনভাইটেশন কার্ড দেখিয়ে ঢোকা গেল। কিন্তু একি! এ তো স্টারের ছড়াছড়ি। শাম্মি কাপুর, সুনীল দত্ত, রাজ কাপুর, সায়রা বানু, দেব সাব, জে ওমপ্রকাশ, দাদা বর্মণ (শচীন দেব বর্মণ), গুরু দত্ত... কে নেই। এখানে যতীন্দর বড় বেমানান। কেউ চেনে না। কেউ তাকে স্বাগতও জানায়নি। একা একা ঢুকে একটা জুসের গ্লাস নিয়ে যতীন্দর নিঃশব্দে লনের এক প্রান্তে চলে এল। আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে আমি কেন এলাম! দ্রুত গ্লাস শেষ করে যতীন্দর চলে যাবে বলে সবেমাত্র পা বাড়িয়েছে। তখনই দেখল হাসিমুখে গীতা বালি এগিয়ে আসছেন। বললেন, ‘লোনলি লাগছে তো? বিরক্ত হয়েছ? আকাশ দেখতে পাচ্ছো। অনেক গ্রহ তারা নক্ষত্র। একদিন ওরকমই তারকাদের ভিড়ে তোমারও স্থান হবে। অপেক্ষা করো।’ যতীন্দরের চোখ জলে ভরে এল। গীতা বালি বললেন, ‘উঁহু, চোখের জল নয়। কান্না দিয়ে কিছু হয় না। স্ট্রাগল আসল কথা। কান্নাকে কাছে ঘেঁষতে দেবে না। মানুষের মনের জোরকে দুর্বল করে দেয় কান্না।’ যতীন্দর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সে কিংবা গীতা বালি তখনও জানেন না যে, ওই ছোট্ট বাক্যটি আগামীদিনের ভারতবর্ষকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে একদিন। যতীন্দরের হাত ধরে। রূপালি পর্দায় বাক্যটির নবজন্ম হয়ে কোটি কোটি মানুষের অন্তরের ধ্রুবপদ হবে ঠিক এ রকমই একটি ইমোশনাল স্টেটমেস্ট- ‘পুষ্পা..আই হেট টিয়ারস...!’
* * *
রবি শর্মার বাড়িতে গুরু দত্ত এসেছেন। প্রায় মধ্যরাত। এত রাতে কী ব্যাপার? রবি শর্মা চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি। গুরু দত্ত বললেন, ‘রবি আমি একটা গান চা‌ই। একটি মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত মুশায়রার আসর থেকে বাড়ি ফিরেছে। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রী। সেই মেয়েটি স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে করে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বামী ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখছেন স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পূর্ণচন্দ্রের আলো সোজা এসে পড়েছে মেয়েটির মুখের উপর। সেই মুখও যেন একটি চাঁদের মতোই উজ্জ্বল। এরকম সিচুয়েশনে গান তৈরি করো।’ রবি শর্মা বললেন, ‘তাহলে শাকিলজিকে ডেকে নেওয়া যাক। ওই রাতেই লোক পাঠিয়ে শাকিল বদায়ুনিকে ডাকা হল। তিনি লিখবেন গানের কথা।’ গুরু দত্ত বললেন, ‘ঠিক আছে আপনারা আলোচনা করে নিন। কাল কথা হবে।’ বেরিয়ে গেলেন তিনি। শাকিল বদায়ুনি এসেই সিচুয়েশন শুনেই পেন আর ডায়েরি নিয়ে চোখটা বন্ধ করলেন। কয়েকমিনিট। লিখে ফেললেন প্রথম লাইন। রবি শর্মা সঙ্গীত পরিচালক। তিনি দেখলেন, শাকিল ভাই অসম্ভব সুন্দর লাইন লিখেছেন। ‘চৌধবী কা চাঁদ হো, ইয়া আফতাব হো, যো ভি হো তুম খুদা কি কসম, লা জওয়াব হো...।’ রবি শর্মা এক মিনিটও দেরি করলেন না। তৎক্ষণাৎ হারমোনিয়াম বের করে সুর ভাঁজলেন। শাকিল বদায়ুনি লিখছেন। রবি শর্মা সুর করছেন। মাত্র আধ ঘণ্টা। ওই মধ্যরাতে গান রেডি। আর বিলম্ব সহ্য হল না। ওই রাতেই গুরু দত্তকে ফোন করলেন রবি শর্মা। বললেন, ‘গান রেডি।’ গুরু দত্ত বললেন, ‘এখনই আমার অফিসে চলে এসো।’ সেই রাতেই গুরু দত্তের অফিসে গিয়ে তাঁকে গান শোনানো হল। গুরু দত্ত কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রইলেন। তার পর বললেন, ‘রফি সাব কি ডেট লে লো!’ তখনও পর্যন্ত আলোচনা হয়নি যে এই ছবির গান কে গাইবেন। কিন্তু মহম্মদ রফির কণ্ঠমাধুর্য আর গ্রহণযোগ্যতা এমনই এক পর্যায়ে ছিল যে, কাউকে ভাবতে হতো না যে কে গাইবেন এ রকম গান। কিন্তু কে জানত পরবর্তী প্রজন্ম এক অন্য ঈশ্বরকে মনেপ্রাণে বন্দনার আসনে বসানোর জন্য অলক্ষ্যে যেন তৈরি হচ্ছিল। তার আভাস সঙ্গীত পরিচালক রবি শর্মা পেলেন ‘এক মহল হো সপনো কা’ ছবির গান রেকর্ডিংয়ের সময়ে। প্রযোজক দেবেন্দ্র গোয়েল রবি শর্মাকে বললেন, ‘রবিজি একটা প্রবলেম হয়েছে। আমার বাড়ির ছেলেমেয়েরা চাপ দিচ্ছে যে গানগুলো রফি সাবের বদলে কিশোর কুমারকে দিয়ে গাওয়াতে হবে। সবাই মিলে ধরেছে। কী করি বলুন তো?’ রবি শর্মা বললেন, ‘কিন্তু দেবেন্দ্রজি ধর্মেন্দ্রর লিপে রফি সাব যতটা মানায়, ততটা কি কিশোরকে ভালো লাগবে! আমার সন্দেহ আছে।’ দেবেন্দ্রজি বললেন, ‘বাচ্চারা সব চাপ দিচ্ছে। ফ্যামিলি প্রোডাকশন হাউস, বোঝোই তো।’ রবি শর্মা একটি গান কিশোর কুমারকে দিয়েই রেকর্ডিং করালেন। কিন্তু শুটিংয়ের এক মাস পর দেবেন্দ্রজি বললেন, ‘রবিজি আপনি ঠিক বলেছিলেন। ধর্মেন্দ্র আর শর্মিলা ঠাকুর কল্পনায় রোমান্স করছেন। কিন্তু এই গানে সেই মেজাজটা আসছে না।’ অতএব আবার সেই মহম্মদ রফিকে দিয়ে রেকর্ডিং করিয়ে সেই গানই রাখা হল সিনেমায়। গোটা ব্যাপারটা জানতে পেরেও চুপ রইলেন সেই প্রথম গায়ক। যাঁর গান বাদ গেল। তিনি এই কষ্টের কথাটা একজনকে বলেছিলেন শুধু। যে ভদ্রলোক বম্বে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে সব থেকে বেশি স্নেহ করেন। বর্মণ দাদা। শচীন দেব বর্মণ বলেছিলেন, ‘এ সব এই লাইনে হয়ই কিশোর। তুই তো জানিস। দুঃখ পাস না। এটা ফিল্ম জগতে হতেই পারে।’ ঩কিন্তু এরকম ঘটনা আগেও হয়েছে কিশোরের সঙ্গে। তাই তিনি ভাবছেন আমার কণ্ঠ কি এতটাই খারাপ যে কোনও ক্লাসিক্যাল বেসড গানে সিরিয়াস সঙ্গীত পরিচালক আমাকে চান্স দেয় না?
এ দিকে তখন সেই গিরগাঁও-এর যুবক যতীন্দর খান্না আকস্মিক বড়সড় ধাক্কার সামনে। সে যত ফিল্ম কোম্পানিতেই পাগলের মতো নিজের ফোটো দিয়ে আসছে, কেউই আর ডাকে না। কিন্তু ধাক্কাটা লাগল যখন একদিন সেই স্কুলের বন্ধু রবি কাপুর গে লর্ড কাফে শপে এসে আনন্দে জড়িয়ে ধরল যতীন্দরকে। কারণ কী? কারণ হল, রবি অবশেষে একটা খুব ভালো ব্যানারের সিনেমায় চান্স পেয়েছে। তাও আবার আজেবাজে সিনেমা নয়। ভি শান্তারামের পরিচালনা। ছবির নাম ‘গীত গায়া পত্থরো নে’। ১৯৬৪। সেই ছেলেবেলা থেকে দু’জনে একসঙ্গে স্বপ্ন দেখেছে। তাই যতীন্দরের তো খুশি হওয়ারই কথা। সে খুশিও হচ্ছে। আবার কষ্টও পাচ্ছে। কারণ রবি নিজের নাম পাল্টে যে নামটি সিনেমা জগতের জন্য নিয়ে ফেলেছে, সেই নামটি যতীন্দরের খুব পছন্দ ছিল। সিনেমায় চান্স পেলে তার নিজেরই নেওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। দু’জনে এটা নিয়ে বহু কথাও বলেছে। কিন্তু রবি আগে ভালো চান্স পেয়েছে। তাই সে নিতেই পারে সেই নাম। সেই নাম নিয়ে রবি কাপুর ওই সুপারহিট সিনেমার নায়ক হয়ে গেল। রবি কাপুরের নতুন নাম হল জিতেন্দ্র!
যে যুবককে বরাবরই নাটকের জগতে প্রচণ্ড প্রতিভাবান বলে মনে হয়েছে যতীন্দরের, সেই ছেলেটিও হঠাৎ খুব নাম করে ফেলছে। আইপিটিএ’তে যোগ দিয়েছিল। এই তো কয়েক বছর আগে একটা ছোট রোলে সিনেমাও করেছে। ছেলেটি দারুণ অভিনয় করে থিয়েটার জগতে। যতীন্দর শুনল সেই হরি জরিওয়ালাও নাকি একটা সিনেমায় নায়কের রোল পাচ্ছে। সই করা হয়ে গিয়েছে। ছবির নাম ‘নিশান’। হরি জরিওয়ালাও ব্রেক পেয়ে নিজের নাম চেঞ্জ করলেন। তাঁর নতুন নাম হল সঞ্জীব কুমার।
* * *
কিন্তু যতীন্দরকে কেউ চান্স দিচ্ছে না। এবার আর চুণীলাল কোনও কথাই শুনবেন না। যতীন্দরকে বিজনেসে ঢুকতেই হবে। যতীন্দরের সামনে শেষ সুযোগ। ফিল্মফেয়ার কোম্পানি একটি ট্যালেন্ট হান্ট আয়োজন করছে। সেখানে অংশ নিয়ে শেষ চেষ্টা করবে যতীন্দর। দেখা যাক কী হয়। এই ট্যালেন্ট হান্টের লক্ষ্য হল নতুন মুখের সন্ধান। ১০ হাজার প্রতিযোগী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আর ওই ট্যালেন্ট প্রতিযোগিতার রেজাল্ট যখন প্রকাশিত হল সেই মুহূর্তটাই ছিল ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নতুন ইতিহাস রচনার প্রথম পরিচ্ছদ। প্রথম স্থানাধিকারী যতীন্দর খান্না। চুক্তিই ছিল যে এই ফিল্মফেয়ার প্রতিযোগিতায় যে প্রথম হবে, তাকে একাধিক সিনেমায় স্বাক্ষর করানো হবে। সেই মতো শূন্য হাতের যতীন্দরের কাছে এক ধাক্কায় এসে গেল একের পর এক সিনেমায় স্বাক্ষর করার সুযোগ। ‘আখরি রাত’। ‘আওরত’। ‘ডোলি’। ‘ইত্তেফাক’। যতীন্দর খান্না নাম পাল্টে ফেললেন। একটি নতুন যুবক পা রাখলেন ফিল্ম জগতে। রাজেশ খান্না।
শক্তি সামন্তকে চিত্রনাট্যকার শচীন ভৌমিক একটি কাহিনী শোনালেন। এক নারীর সংগ্রাম। বন্দনা নামক নারীটি ভালোবেসেছে এয়ারফোর্স অফিসার অরুণ ভার্মাকে। গোপনে বিয়েও করলেন তাঁরা। কিন্তু সামাজিক ভাবে বিবাহ হওয়ার আগেই লেফটেন্যান্ট কমান্ডার অরুণ ভার্মার মৃত্যু হল প্লেন দুর্ঘটনায়। বন্দনাকে সমাজ, পরিবার গ্রহণ করল না। সেই শুরু তাঁর লড়াইয়ের। কাহিনী নতুন নয়। ১৯৪৬ সালের ইংরাজি ফিল্ম ‘টু ইচ হিজ ওন’ অবলম্বনে চিত্রনাট্য। শক্তি সামন্তের ভালোই লাগল। শুরু হল প্রস্তুতি। আচমকা প্রযোজক সুরিন্দর কাপুর বললেন, ‘আমার এক শ্রীমান এক শ্রীমতি সিনেমার সমাপ্তিটাও এরকমই।’ শুনে চমকে গেলেন শক্তি সামন্ত। বললেন, ‘তা হলে আমি সিনেমাটাই করব না।’ ঠিক এই সময় লেখক গুলশন নন্দা বললেন, ‘আমরা তো সেকেন্ড হাফটা চেঞ্জ করে দিতে পারি। এয়ারফোর্স অফিসারের ছেলেকে নিয়ে এসে ডাবল রোল করে দিই।’ প্রস্তাব পছন্দ হল। দেব আনন্দকে বলা যাক? কিন্তু শক্তি সামন্ত চাইলেন নতুন কোনও মুখ। সিনেমাটা শর্মিলা ঠাকুরকে কেন্দ্র করে। দেব সাব রাজি নাও হতে পারেন। নারীকেন্দ্রিক ছবি। তা হলে? রাজেশ খান্নাকে নেওয়া হোক। শচীন দেব বর্মণ প্রথমেই দু’টি গানের রেকর্ডিং করে নিলেন। ‘বাগো মে বাহার হ্যায়।’ লতা মঙ্গেশকর এবং মহম্মদ রফি। দ্বিতীয় গান আশা ভোঁসলের সঙ্গে। ‘গুন গুনা রহে হ্যায় ভমর’। সব ঠিকভাবেই এগোচ্ছে। কিন্তু আচমকা দুঃসংবাদ। শচীন দেব বর্মণ অসুস্থ। এমনকী হাসপাতালে ভর্তি করতে হল। তিনি শক্তি সামন্তকে বললেন, ‘আমি পঞ্চমকে বুঝিয়ে দিয়েছি। বাকি গানগুলো ও রেকর্ডিং করে নেবে।’ পঞ্চম বাকি গানগুলির রেকর্ডিং করালেন। সিনেমা যখন রিলিজ হল দেখা গেল মহম্মদ রফির গাওয়া ওই দুটি গানকে অনেক পিছনে ফেলে গোটা দেশকে আলোড়িত করে ফেলেছে অন্য গায়কের গানগুলি। কিশোর কুমার। ‘রূপ তেরা মস্তানা’, ‘কোরা কাগজ থা ইয়ে মন মেরা’ এবং ‘মেরে সপনো কি রানি কব আয়েগি তু’। ভারত বস্তুত ভেসে গেল দু’টি দখিনা বাতাসের জুটিতে। কিশোর কুমার এবং রাজেশ খান্না। তবে চরম জল্পনা, মতান্তর এবং পারস্পরিক দোষারোপের পর্বও শুরু হল। একটি মহল থেকে বলা হল রফি সাবকে দিয়েই সব গান গাওয়ানোর কথা ছিল শচীন দেব বর্মণের। তিনি রফিকে ডেকে মহড়াও করিয়েছেন। পঞ্চম অর্থাৎ রাহুল দেব বর্মণই এসে প্ল্যান পাল্টে বাকি গানগুলি কিশোর কুমারকে দিয়ে গাওয়ালেন। আবার অন্য মহলের বক্তব্য, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল। দুটি গান রেকর্ডিং করার পর শচীন দেব বর্মণ অসুস্থ হয়ে পড়ায় রফি সাব বিদেশে কনসার্ট করতে চলে যান। সেই সময়ই কিশোর কুমারকে দিয়ে বাকি গানগুলো রেকর্ড করান রাহুল। সেটা রফিকে জানিয়েই হয়েছিল। কোন তত্ত্ব স঩ত্যি সেটা আজও রহস্যময়।
এসব তো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের গসিপ। আমজনতার তাতে কী এসে যায়? আট থেকে আশি গোটা ভারতবর্ষ ভেসে গেল অ্যালিস্টেয়ার ম্যাকলিনের পেপারব্যাক ‘হোয়েন এইট বেলস টোল’ পড়তে পড়তে যাওয়া দার্জিলিঙের টয় ট্রেনের জানালায় শর্মিলা ঠাকুরের গালের টোলে। জনতা আপ্লুত হল, সেই জানালার বাইরে এক চিরবসন্তের রোমান্সের আবেশ ‘মেরে সপনো কি রানি কব আয়েগি তু’র সুরে। ভারতীয় নারীদের স্বপ্নে হাজির হতে শুরু করল এক ভুবন ভোলানো হাসির রোমান্টিক যুবক। ভারতের ঘরে ঘরে, রাস্তায় রাস্তায়, বিবিধ ভারতী আর বিনাকা গীতমালারা ছড়িয়ে দিল এক উদাত্ত পুরুষ কণ্ঠে ‘কোরা কাগজ থা ইয়ে মন মেরা’র আগের অত্যাশ্চার্য এক প্রিল্যুড-হে হে.....। ভারত শিহরিত হল সাড়ে তিন মিনিটে একটা টেকেই শুট করা ‘রূপ তেরা মস্তানা’র অলৌকিক এক যৌন আবেদনে। ‘আরাধনা’ সুপারহিট হল!
১৯৬৯। প্রথম চাঁদে গিয়েছিল মানুষ। ভারতের বিনোদন মহাকাশেও আবির্ভাব হয়েছিল দুই মহাতারকার। সেই প্রথম জন্ম হয়েছিল একটি নতুন শব্দের। সুপারস্টার। দুই আইকনের আত্মপ্রকাশ। রাজেশ খান্না ও কিশোর কুমার।
...........................................
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  স্বাগত মুখোপাধ্যায়
03rd  November, 2019
আ ম্মা হী ন তামিল রাজনীতি
রূপাঞ্জনা দত্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি। তামিলনাড়ুর কাছে এটা একটা বিশেষ দিন। মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়ত ভিড়। সবার একটাই প্রার্থনা, ‘আম্মা নাল্লামাগা ইরঙ্গ’। ‘আপনি ভালো থাকুন’। ওইদিন তিনিও যেতেন মন্দিরে। নিজের জন্মদিনে ভক্তদের ভালোবাসা বিলোতে। সেটাকে অবশ্য ‘পুরাচি থালাইভি’র আশীর্বাদ বলেই গণ্য করত সবাই।   বিশদ

01st  December, 2019
অর্ধশতবর্ষে শ্বেত বিপ্লব 
কল্যাণ বসু

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...’
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনীর কালজয়ী বর প্রার্থনা ছিল এটাই। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’র এই অবিস্মরণীয় পংক্তিতে সন্তানের মঙ্গলচিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সন্তানের মঙ্গলার্যে বিরাট কোনও লোভ না দেখিয়ে শুধুমাত্র দুধ-ভাতের আজীবন জোগান প্রার্থনা করা। সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ভাতের সঙ্গে দুধের অপরিহার্যতার কথাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রার্থনায়।  
বিশদ

24th  November, 2019
অচেনা অযোধ্যা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সরযূ নদীর নয়াঘাটে মাঝেমধ্যেই দেখা যাবে এক টানাপোড়েনের দৃশ্য। গোন্দা জেলার মানকপুর গ্রামের রমাদেবী নিজের মেয়ের সামনে হাতজোড় করে বলছেন, ‘আমাকে ছেড়ে দে রে..আমি কয়েকদিন পর আবার চলে যাব..সত্যি বলছি যাব।’ মেয়ে জানে মায়ের কথার ঠিক নেই। আজ বিশ্বাস করে ছেড়ে দিলে, সত্যিই কবে যাবে, কোনও ঠিক নেই।
বিশদ

17th  November, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
সুরেন্দ্রনাথের সাংবাদিক সত্ত্বা 
ডাঃ শঙ্করকুমার নাথ

১৮৮৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ‘The Bengalee’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুদ্রাকার-প্রকাশক রামকুমার দে’র নামে রুল জারি করার নির্দেশ দিল এবং পরের দিন তা কার্যে পরিণত হল। বলা হল— ‘আদালত অবমাননা করার অপরাধে কেন জেলে যাইবেন না, তাহার কারণ প্রদর্শন করুন।’ 
বিশদ

10th  November, 2019
ডাকাত কালী
সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

 কয়েকশো বছর আগের কাহিনী। তখন এখানে চারপাশে ঘন জঙ্গল। বহু জায়গায় সূর্যালোক পর্যন্ত পৌঁছত না। ছিল একাধিক হিংস্র পশুও। পাশেই সরস্বতী নদীর অববাহিকা। সেখানে বহু ডাকাতের বসবাস ছিল। বাংলার বিখ্যাত রঘু ও গগন ডাকাতও এই পথ দিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন।
বিশদ

27th  October, 2019
মননে, শিক্ষায় পুরোপুরি বাঙালি

সুইডিশ অ্যাকাডেমি ঘোষণাটা করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগুনের মতো খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে... একজন বাঙালি, একজন ভারতীয় আরও একবার জগৎসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। বিশদ

20th  October, 2019
অর্থনীতিতে নীতি
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

 লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমার ছাত্রজীবনে রাশিবিজ্ঞানের ক্লাসে শোনা একটা গল্প দিয়ে। কোনও একসময় ইংল্যান্ডের স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছিল, স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে দেখবে তাদের স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও সুপ্রভাব পড়ে কি না। সেইমতো স্কুলগুলিতে কোনও একটি ক্লাসের অর্ধেক বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হয় এবং বাকিদের তা দেওয়া হয়নি। বিশদ

20th  October, 2019
বাহন কথা 
রজত চক্রবর্তী

আকাশে সোনার থালার মতো চাঁদ। বাড়িতে বাড়িতে দোরগোড়া থেকে লতানে ধানের শিষ। এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে... এমনকী সিঁড়ির পাশ দিয়েও উঠেছে দোতলায়। ধানের শিষের পাশে পাশে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর পায়ের ছাপ।  
বিশদ

13th  October, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
নির্মাণশিল্পী বিশ্বকর্মা
সন্দীপন বিশ্বাস

জরাসন্ধ তখন প্রবল প্রতাপান্বিত। বারবার মথুরা আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু সপ্তদশ প্রচেষ্টাতেও মথুরা জয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই ফের তিনি মথুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কৃষ্ণ অবশ্য জানতেন জরাসন্ধ কিছুতেই মথুরা জয় করতে পারবেন না।
বিশদ

15th  September, 2019
আগুন বাজার
বীরেশ্বর বেরা

 ‘কেন? আপনি যে পটল বেচছেন, এমন পটল তো আমরা ৩০-৩২ টাকায় কিনছি!’ গ্রাম্য যুবক তাঁর আপাত-কাঠিন্যের খোলস ছেড়ে সহজ হয়ে গেলেন হঠাৎ। তেলের টিনের উপর চটের বস্তা বেঁধে টুলের মতো বসার জায়গাটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বসুন তাহলে, বলি। বিশদ

08th  September, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাইনি হুন্ডাইয়ের উদ্যোগে ২৯তম ফ্রি কার কেয়ার ক্লিনিকের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে সেই ক্লিনিক শুরু হয়েছে। তা চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ...

বিএনএ, মেদিনীপুর: খড়্গপুরে এসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উন্নয়নে ৩৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ২৯টি নয়া প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল সাফল্যে খড়্গপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে ৯ ডিসেম্বর আসছেন মুখ্যমন্ত্রী।  ...

বিএনএ, মালদহ: উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে মাদক ট্যাবলেট। আর সেই পাচারের রুট হিসেবে এখন দুষ্কৃতীদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে মালদহ সহ উত্তরবঙ্গের ...

হায়দরাবাদ, ৬ ডিসেম্বর (পিটিআই): হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুক্রবার চার অভিযুক্তের মৃত্যু হল পুলিসি এনকাউন্টারে। যবনিকা পতন ঘটল এক বর্বরোচিত অপরাধের। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, গত দশ দিনে কোন পথে এগিয়েছিল ঘটনাক্রম।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭২: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল ন্যাশনাল থিয়েটার
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ
১৯৮৪: বরুণ সেনগুপ্তের সম্পাদনায় আত্মপ্রকাশ করল ‘বর্তমান’  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, দশমী ১/৭ দিবা ৬/৩৪। রেবতী ৪৭/৫০ রাত্রি ১/২৮। সূ উ ৬/৭/৩৪, অ ৪/৪৮/২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ৯/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৮ গতে ২/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে উদয়াবধি। 
২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, একাদশী ৬০/০/০ অহোরাত্র। রেবতী ৪৭/৫০/২৭ রাত্রি ১/১৭/৯, সূ উ ৬/৮/৫৮, অ ৪/৪৮/৩৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ৭/৪৩ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫২ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/২৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮/৩৮ গতে ৪/৪৮/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮/৩৯ মধ্যে ও ৪/২৮/৫৬ গতে ৬/৯/৩৭ মধ্যে। 
৯ রবিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মিথুন: উপার্জন ভাগ্য ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৭২: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল ন্যাশনাল থিয়েটার১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবারে ...বিশদ

07:03:20 PM

আলিপুরে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান বাড়ির একাংশ 
আলিপুর রোডে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ...বিশদ

05:05:00 PM

মালদহে মহিলার রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির 

03:51:00 PM

মালদা, বালুরঘাট, কোচবিহার বিমানবন্দর নবীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী 
মালদা, বালুরঘাট, কোচবিহারের মতো অব্যবহৃত বিমানবন্দর ও বিমান স্ট্রিপগুলির নবীকরণের ...বিশদ

03:34:00 PM

একনজরে গতকালের ম্যাচের রেকর্ডগুলি 
গতকাল হায়দরাবাদে প্রথম টি-২০ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দারুণ জয় ...বিশদ

02:35:02 PM