Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

আগুন বাজার
বীরেশ্বর বেরা

‘এবার তো পটলের দাম ভালোই পাচ্ছেন?’
কিঞ্চিৎ হলদেটে সাদা স্যান্ডো, হাঁটু পর্যন্ত ভাঁজ করে পরা লুঙ্গির উপর গামছা কষে বেঁধে দাঁড়িয়েছিলেন সাদিফুল মোল্লা। বয়সে যুবক। সামনে এক মানুষ সমান উঁচু পটলের স্তূপ। প্রশ্ন শুনে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তিনি। তাতে কিঞ্চিত শ্লেষ মেশানো। ‘মশাইয়ের কি কলকাতা থেকে আসা হয়েছে?’ মাথা নেড়ে সম্মতি জানানোয় বললেন, ‘এরকম মনে হয়। বাস্তবটা জানেন না বলে এটা মনে হয়েছে।’ কথা বাড়াতে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কেন? আপনি যে পটল বেচছেন, এমন পটল তো আমরা ৩০-৩২ টাকায় কিনছি!’ গ্রাম্য যুবক তাঁর আপাত-কাঠিন্যের খোলস ছেড়ে সহজ হয়ে গেলেন হঠাৎ। তেলের টিনের উপর চটের বস্তা বেঁধে টুলের মতো বসার জায়গাটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বসুন তাহলে, বলি। যেটা আপনারা ৩০ টাকায় কিনছেন এক কেজি, সেটার জন্য আমাদের আট টাকা মতো থাকছে। কখনও কখনও আরও কম। সার, কীটনাশকের চড়া দাম, বৃষ্টির কেরামতি ঠেকিয়ে এই যে ফসল তুলে এনেছি, তাতে লাভ খুব সামান্যই।’ বিস্মিত হয়ে বললাম, ‘এতটা ফারাক হয়!’ সাদিফুল বললেন, ‘হয় তো। বড় পার্টি চাটাই পেতে মাল তুলে নিলে দাম বাড়বে। কিন্তু তাতে আমাদের কোনও লাভ হয় না। লাভের গুড় খায় পিঁপড়েতে।’
পটল এখানে একটি উদাহরণমাত্র! শহর, শহরতলি, এমনকী গ্রামাঞ্চলেরও নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত যে দামে সব্জি কিনছে, তার সামান্য অংশই গিয়ে ঢুকছে কৃষকের ভাঁড়ারে। তাই বাজারে দাম বেশি মানে চাষির ঘরেও লক্ষ্মী উপচে পড়ছে—এমন ভাবনা অলীক কল্পনার সামিল। ১০০ টাকার নোট পকেটে নিয়ে ব্যাগভর্তি করে বাজার আনা এখন মাঝারি উপার্জনের শহুরে মধ্যবিত্তের কাছে নস্টালজিয়ারই নামান্তর। এই ভরা বর্ষায়ও ইলিশমাছ আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া হেঁসেলে ঢোকে না! যে আলুপোস্ত এপার বাংলার বাসিন্দাদের কাছে অন্যতম প্রিয় একটি পদ, সেই পোস্তর দাম এমন চোখ রাঙাচ্ছে যে ধারেকাছে যাওয়াই মুশকিল। ভরা বর্ষায় মাছ, সব্জি একটু সস্তা হবে, নিখাদ বাঙালির ভুরিভোজে জমে উঠবে রোববারগুলো—এসব এখন সুখস্মৃতির চর্বিতচর্বণ! ১০০ টাকায় ব্যাগভর্তি তো দূরের কথা, যা কেনা যায়, তাতে এক-দু’বেলার খাওয়া কোনওরকমে সারাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। আদা, পেঁয়াজ, ডাল, সর্ষে তেলের ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী দর ভোজনরসিক বাঙালির রসনাতৃপ্তির সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফারাক বাড়াচ্ছে।
সাদিফুলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের হাটে। গোপালনগরের হাটের পরিচয়? শিয়ালদহের কোলে মার্কেট পরপর কয়েকটা জুড়ে দিলে গোপালনগরের হাট হয়! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ছ’-সাত কিলোমিটার দূরে বনগাঁ-চাকদহ রোডের পাশে প্রায় দু’কিলোমিটার জুড়ে এই পাইকারি সব্জি হাটের বিস্তার। যেখানে সব্জির আমদানি কোলে মার্কেটের ১০ গুণও হয়ে যায় কখনও কখনও। কোলে মার্কেটে সব্জির বড় অংশই আসে এই হাট থেকে। কোনও কোনও চাষি যেমন সরাসরি এই ভেন্ডর বা হকারের কাজ করেন, তেমন স্রেফ গোপালনগরের হাটে সব্জি কিনে কোলে মার্কেটে এনে বেচে দেওয়া ব্যবসায়ীরাও আছেন। আবার কোনও কৃষক নিজের ফলানো ফসলের সঙ্গেই আরও বেশ কিছুটা কিনে এনে একসঙ্গে বেচেন কোলে মার্কেট বা ব্রেসব্রিজ-তারাতলা বা ধুলাগড়ের সব্জি বাজারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশে সব্জির চাহিদা মেটায় এই তিনটি পাইকারি বাজার। আর এদের সব্জি সরবরাহ করে গোপালনগর, ক্যাওসা, বিথারি, হঠাৎগঞ্জ, করিমপুরের সব্জির হাটগুলি।
মাঠ থেকে কোন পথ ধরে পাড়ার দোকান বা স্থানীয় বাজারে আসে সব্জি? কথা হচ্ছিল শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের অন্যতম কর্মকর্তা তথা পশ্চিমবঙ্গ ভেন্ডর’স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমল দে’র সঙ্গে। প্রায় ৪৫ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সব্জি হাটগুলোতে যাওয়া-আসা তাঁর। ওঠা-বসা করেন ছোট-মাঝারি-বড় কৃষকের সঙ্গে। অভিজ্ঞতার সঞ্চয় থেকে তিনি জানান, ‘তিন ধরনের ভেন্ডর রয়েছে আমাদের সব্জির লাইনে। গোপালনগর, ক্যাওসা, বিথারি বা করিমপুরের মতো হাটগুলিতে প্রচুর পরিমাণ সব্জি নিয়ে আসেন চাষিরা। তবে সব চাষি তো আর হাটে আসেন না। যাঁরা হাটে বসেন, তাঁরা সব্জি সাত-আট টাকায় বিক্রি করে দেন। সেটাই ১০-১২ টাকা কেজি দরে কুইন্টাল বা টনে বিক্রি হয় গোপালনগরের মতো হাটে। নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশে আরেকদল ভেন্ডার আছেন, মাঠ থেকে ২-৫ টন ফসল তুলে ট্রেনে সোজা শিয়ালদহ বা তারাতলা-ব্রেসব্রিজের বাজারে চলে আসেন। তাঁরা একটু বেশি দাম পান। তবে এদের কেরামতিতে বাজারে দামের ওঠানামা নির্ভর করে না। আসল কারণটি ঘটে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিশাল পাইকারি সব্জি হাটগুলিতে। সেখানে এ রাজ্যের পাশাপাশি ভিনরাজ্যের ফড়েরা এক-একদিন কয়েকটন করে সব্জি তুলে নেন রপ্তানির জন্য।’ উচ্ছে, বেগুন, পটল, মূলো—সবই রয়েছে তাঁদের রপ্তানিকৃত সব্জির তালিকায়। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন কৃষকের সরাসরি ফোনে যোগাযোগ হয়। ধরা যাক, এক বড় ফড়ে ১০ টন ঝিঙে কিনবেন বলে কয়েকজন কৃষককে জানিয়ে দিলেন। তারা এসে ‘চাটাই’ পাতবে হাটে। যেখানে একসঙ্গে এত ঝিঙে কেনা হবে, সেই জায়গাটার নাম চাটাই। কৃষকদের ভাষায়, ‘আজ বিহারী পার্টি চাটাই পাতবে’। কৃষকদের মধ্যে কথাবার্তার এই আদানপ্রদানে তা গোটা এলাকার ঝিঙে উৎপাদনকারীরা জেনে যাবেন। সেদিন হাটে আমদানি হবে বিশাল পরিমাণ ঝিঙে। এতটা পরিমাণ ফসল এককালীন বেচে দিলে চাষির লাভ হল, এক থোকে অনেকটা টাকা হাতে পাওয়া যায়। মহাজনের কাছে ধারদেনা থাকলে শোধ করে দেওয়া যায়। পরবর্তী চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা যায়।
কিন্তু বাংলার কৃষকের এত সুখ আর কবে সয়েছে! এখানে ঢুকে পড়ে এক ধরনের কৌশল, যা জালিয়াতিও বলা চলে। কিন্তু তা ঠেকানোর বা নিয়ন্ত্রণের কৃৎকৌশল এখনও অজানা। কীরকম ‘জালিয়াতি’? ফোনে কাউকে বলে দিলে বা অন্য কোনওভাবে খবর দিলে দলে দলে কৃষক বড় ফড়ের কাছে এককালীন প্রচুর ফসল বেচে দেওয়ার জন্য তা মাঠ থেকে তুলে নিয়ে হাজির হয়। তারপর আচমকাই ফড়ের চ্যালারা ঘোষণা করে, আজ তারা মাল তুলবে না। লরি আসেনি, মালিক হাসপাতালে বা নানা অজুহাত দেখানো হয়। তখন কৃষকরা পড়ে মহা ফাঁপরে। একদিকে ফসল তুলে নিয়েছেন মাঠ থেকে, অন্যদিকে যার কেনার কথা, সে বেঁকে বসেছে। কমলবাবু বলছিলেন, ‘তখন ওই ফড়ের চ্যালাদের কাছে রীতিমতো কাকুতিমিনতি করতে হয় ফসল কিনে নেওয়ার জন্য। এই সুযোগটা ব্যবহার করে তারা। আট টাকা দরে যে পটল বিক্রি হতে পারত, তা নেমে আসে পাঁচ-ছ’টাকায়। নিরুপায় হয়ে সেই দামেই কোনওরকমে সব্জি বেচে দিয়ে লোকসানের ধাক্কা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় চাষিকে। এ এক অসহায় অবস্থা তাঁদের জন্য।’ এই সব্জি আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাইরের রাজ্যে চালান হয়। ফলে এককালীন এত সব্জি বাইরের রাজ্যে চলে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার বা কোলে মার্কেটের মতো সরাসরি এই হাটের উপর নির্ভরশীল বাজারগুলিতে একটা ‘ক্রাইসিস’ তৈরি হয়। দাম বাড়ে এখানেও। তার প্রভাব গিয়ে পড়ে খুচরো বাজারে। তবে কোলে মার্কেট বা তারাতলা বা ধূলাগড়ের বাজার থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া সব্জির সঙ্গে বহনের খরচ যোগ করার পর তিন-চার টাকা লাভে তা বিক্রি করাই যায়। কিন্তু এটাই আবার খুচরো বিক্রেতাদের কারণে এক-এক জায়গায় এক-একরকম হয়ে যায়। কলকাতায় জগুবাবুর বাজারে তাই এক দাম, মানিকতলা বাজারে আরেকরকম।
সব মিলিয়ে সব্জির দমের গুঁতোয় মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত বাঙালি হাঁসফাস করলেও, চাষির ঘরের অন্ধকার কাটে না। ক্ষমতাসীনদের আস্ফালন শোনা যায় মাঝে মাঝে—দেশ এগিয়ে যাচ্ছে! এত ঢক্কানিনাদের জন্য বিশ্বাস করতেও ইচ্ছে হয়, সত্যিই এগচ্ছে দেশ। কিন্তু দেশের মানুষ? ‘আমার যারা ফসল ফলাই, যে জেলে মাছ ধরে, তার জীবনে কি আরও একটু বেশি আলো আসবে? নাকি এমন অন্ধকারই রয়ে যাবে?’ প্রশ্ন রেখে যায় গোপালনগরের হাটের কৃষক। প্রশ্ন রেখে যায় সামান্য মাইনেতে সংসার টানতে জেরবার হয়ে যাওয়া গেরস্থও।
............................................
ছবি ও গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
08th  September, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
সুরেন্দ্রনাথের সাংবাদিক সত্ত্বা 
ডাঃ শঙ্করকুমার নাথ

১৮৮৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ‘The Bengalee’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুদ্রাকার-প্রকাশক রামকুমার দে’র নামে রুল জারি করার নির্দেশ দিল এবং পরের দিন তা কার্যে পরিণত হল। বলা হল— ‘আদালত অবমাননা করার অপরাধে কেন জেলে যাইবেন না, তাহার কারণ প্রদর্শন করুন।’ 
বিশদ

10th  November, 2019
আরাধনা ৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

 রবি শর্মার বাড়িতে গুরু দত্ত এসেছেন। প্রায় মধ্যরাত। এত রাতে কী ব্যাপার? রবি শর্মা চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি। গুরু দত্ত বললেন, ‘রবি আমি একটা গান চা‌ই। একটি মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত মুশায়রার আসর থেকে বাড়ি ফিরেছে। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রী। সেই মেয়েটি স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে করে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বামী ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখছেন স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
বিশদ

03rd  November, 2019
ডাকাত কালী
সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

 কয়েকশো বছর আগের কাহিনী। তখন এখানে চারপাশে ঘন জঙ্গল। বহু জায়গায় সূর্যালোক পর্যন্ত পৌঁছত না। ছিল একাধিক হিংস্র পশুও। পাশেই সরস্বতী নদীর অববাহিকা। সেখানে বহু ডাকাতের বসবাস ছিল। বাংলার বিখ্যাত রঘু ও গগন ডাকাতও এই পথ দিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন।
বিশদ

27th  October, 2019
মননে, শিক্ষায় পুরোপুরি বাঙালি

সুইডিশ অ্যাকাডেমি ঘোষণাটা করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগুনের মতো খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে... একজন বাঙালি, একজন ভারতীয় আরও একবার জগৎসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। বিশদ

20th  October, 2019
অর্থনীতিতে নীতি
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

 লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমার ছাত্রজীবনে রাশিবিজ্ঞানের ক্লাসে শোনা একটা গল্প দিয়ে। কোনও একসময় ইংল্যান্ডের স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছিল, স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে দেখবে তাদের স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও সুপ্রভাব পড়ে কি না। সেইমতো স্কুলগুলিতে কোনও একটি ক্লাসের অর্ধেক বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হয় এবং বাকিদের তা দেওয়া হয়নি। বিশদ

20th  October, 2019
বাহন কথা 
রজত চক্রবর্তী

আকাশে সোনার থালার মতো চাঁদ। বাড়িতে বাড়িতে দোরগোড়া থেকে লতানে ধানের শিষ। এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে... এমনকী সিঁড়ির পাশ দিয়েও উঠেছে দোতলায়। ধানের শিষের পাশে পাশে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর পায়ের ছাপ।  
বিশদ

13th  October, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
নির্মাণশিল্পী বিশ্বকর্মা
সন্দীপন বিশ্বাস

জরাসন্ধ তখন প্রবল প্রতাপান্বিত। বারবার মথুরা আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু সপ্তদশ প্রচেষ্টাতেও মথুরা জয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই ফের তিনি মথুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কৃষ্ণ অবশ্য জানতেন জরাসন্ধ কিছুতেই মথুরা জয় করতে পারবেন না।
বিশদ

15th  September, 2019
সমাপ্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

মহাত্মা গান্ধীর প্রকাশিত রচনাবলীর খণ্ড সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ পর্যন্ত জওহরলাল নেহরুর লেখা নিয়ে প্রকাশিত যত রচনা আছে, তা প্রায় ৫০ খণ্ড অতিক্রান্ত। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সারা জীবনের যাবতীয় রচনা সমন্বিত করে এখনও পর্যন্ত ১৬টি খণ্ডসংবলিত রচনাবলী প্রকাশ পেয়েছে। 
বিশদ

01st  September, 2019
রাজীব ৭৫
মণিশঙ্কর আইয়ার

 ছিয়াশি সালের ডিসেম্বর। অঝোরে তুষারপাত হচ্ছে। আমরা যাচ্ছি কাশ্মীর। কিন্তু একটা সময় আর্মি জানাল, আর যাওয়া সম্ভব নয়। এত তুষারপাতে হেলিকপ্টার ওড়ানো যাবে না। তাহলে? যাব কী করে? বাকিরাও বলল, দিল্লি ফিরে চলুন। কিন্তু প্রধাননমন্ত্রী বললেন, তা হয় না। যাব যখন বলেছি যেতে হবে। লোকেরা অপেক্ষা করে থাকবে যে!
বিশদ

25th  August, 2019
শতবর্ষে  সারাভাই
মৃন্ময় চন্দ

চন্দ্রযান-২’র সাফল্যে গর্বিত ভারত। অভিজাত মহাকাশ ক্লাবের সদস্যদেশগুলির সঙ্গে ভারত আজ এক পংক্তিতে। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ঈর্ষণীয় সাফল্যের রূপকার নিঃসন্দেহে ক্ষণজন্মা বিরল প্রতিভাধর মিতভাষী এক বিজ্ঞানী—বিক্রম সারাভাই। একার হাতে যিনি গড়ে দিয়ে গেছেন ভারতের বিপুলা মহাকাশ সাম্রাজ্য। ১২ই আগস্ট ছিল তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। বিশদ

18th  August, 2019
একনজরে
 বেঙ্গালুরু, ১৪ নভেম্বর (পিটিআই): যোগ দেওয়ার দিনই বরখাস্ত হওয়া ১৩ বিধায়ককে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল কর্ণাটক বিজেপি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ঘোষণা করে দিলেন, জয়ী হয়ে এলে এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য করা হবে। ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

বিএনএ, সিউড়ি: সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ভোটার তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় ৯৯ শতাংশ সাফল্য আসায় নজির গড়েছে বীরভূম। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ভোটার তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ ছিল। কিন্তু, বর্তমানে তা লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছে গিয়ে পৌঁছেছে।  ...

গাজা সিটি, ১৪ নভেম্বর (এপি): টানা বহু মাস ধরে গাজার ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি বাহিনী এবং ইজরায়েল সেনাবাহিনীর লাগাতার গোলাগুলির লড়াইয়ের পর অবশেষে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.২৯ টাকা ৭৩.০০ টাকা
পাউন্ড ৯১.০০ টাকা ৯৪.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৯২ টাকা ৮০.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৪/৪৩ রাত্রি ৭/৪৬। মৃগশিরা ৪৩/১৮ রাত্রি ১১/১২। সূ উ ৫/৫২/৪৬, অ ৪/৪৯/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩৭ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে।
২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৩/৪৬/২৯ রাত্রি ৭/২৪/৪৫। মৃগশিরা ৪৪/২৬/৪৪ রাত্রি ১১/৪০/৫১, সূ উ ৫/৫৪/৯, অ ৪/৫০/১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৪/১৯ গতে ৫/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৮/৭ গতে ১০/০/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/০/৬ গতে ১১/২২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৬/৩ গতে ৯/৪৪/৪ মধ্যে।
 ১৭ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। বৃষ: বন্ধুবান্ধব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৫৩৩: ইনকা সভ্যতার রাজধানী কুঝকোয় পদার্পণ করলেন ফ্রান্সিসকো পিজারিও১৬৩০: জার্মান ...বিশদ

07:03:20 PM

কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা অমিতাভ বচ্চনের 

05:20:00 PM

প্রথম টেস্ট: দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত ৪৯৩/৬ (৩৪৩ রানের লিড) 

05:05:49 PM

মালদহের সুজাপুরে ২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার 
২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার হল মালদহের কালিয়াচক এলাকার সুজাপুরে। ...বিশদ

03:53:52 PM

দ্বিশতরান মায়াঙ্ক আগরওয়ালের, ভারত ৩৬৫/৪

03:51:23 PM