Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

মন্দিরে মন্দিরে
দুর্গাপুজো

ভারতের নানা রাজ্যে রয়েছে দেবী দুর্গার মন্দির। কোথাও দেবী নিত্য পুজো পান, কোথাও বা মহা ধুমধাম সহকারে পালিত হয় নবরাত্রি ও দশেরা। মন্দিরের পৌরাণিক গল্প ও পুজোর বিবরণ বর্ণনায় কমলিনী চক্রবর্তী।
 
দুর্গা দুর্গতিনাশিনী রূপে মর্ত্যলোকে আগত প্রায়। অসুর বিনাশিনী তিনি। অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির সঞ্চার হয় তাঁরই পূজার মাধ্যমে। বঙ্গ সমাজেই শুধু নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মায়ের পুজোর মাধ্যমে শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটে। দেবী দুর্গার অসুর বিনাস অনুষ্ঠিত হয় পুজোপাঠের মধ্যে দিয়ে। শক্তির প্রতীক রূপে মায়ের মন্দির ছড়িয়ে আছে দেশের নানা রাজ্যে। সেখানে দেবী দুর্গা নিত্য পুজো পান। ভক্ত সমাগম হয় দশমী, নবরাত্রি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে। তবে এই সব দুর্গা মন্দির নির্মাণের পিছনে রয়েছে নানা ঘটনা, বিভিন্ন কাহিনি। 

নাটোরের রানির হাতে তৈরি  বেনারসের দুর্গা মন্দির
নাটোরের মহারানি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ তৈরি করেছিলেন বেনারসের দুর্গা মন্দির। তখন বেনারসে বাঙালির সংখ্যা ছিল প্রচুর। তাই দুর্গা মন্দিরটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল খুবই তাড়াতাড়ি। মন্দিরের দেওয়ালের কারুকাজ থেকে দেবী মূর্তি, সবই বেনারসের বাঙালিদের মনে ধরেছিল ভীষণ। আর শুধু বাঙালিই বা বলি কেন? অবাঙালি সমাজেও দুর্গা ভক্তের অভাব নেই। ফলে তাদের মধ্যেও এই দুর্গা মন্দিরটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অচিরেই। গোটা বছর ধরেই এখানে মা দুর্গা পুজো পান। মন্দিরের মাঝখানে একটা বিশাল কুণ্ড রয়েছে। সেই কুণ্ডের উপরেই দেবী মূর্তির অধিষ্ঠান। ভক্তমহলে বিশ্বাস, এখানে মূর্তি নাকি কোনওকালে গড়া হয়নি। বরং কুণ্ড থেকেই মায়ের মূর্তিটি উঠে এসেছিল ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। নাটোরের মহারানি ভাবানী দেবী সেই দুর্গা মূর্তিটি দেখতে পান, এবং তা ঘিরেই গড়ে তোলেন বেনারসের দুর্গা মন্দির। শহরের দক্ষিণ প্রান্তে দুর্গা মন্দিরের অবস্থান। লোকের বিশ্বাস মা দুর্গাই নাকি ওই অঞ্চল তথা গোটা বেনারসের রক্ষক। তাঁর আশীর্বাদেই বেনারস শহরের যাবতীয় বাড়বাড়ন্ত। 
দেবী পুরাণেও এই মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই গল্পটি অবশ্য একটু ভিন্ন। তাতে বর্ণিত আছে, বেনারসের তৎকালীন রাজা তাঁর রাজকন্যা শশীকলার জন্য স্বয়ম্বর সভার আয়োজন করেছিলেন। তিনি জানতেনই না তাঁর কন্যাটি ইতিমধ্যেই এক রাজপুত্রকে মন দিয়েছেন। কথাটা জানাজানি হওয়ার পর রাজা তো কন্যার ইচ্ছে অনুযায়ী তার প্রাণপুরুষ, রাজপুত্র সুদর্শনের সঙ্গে কন্যার বিয়ে দিলেন। কিন্তু বিয়েটা দিলেন গোপনে। তবু রাজকন্যার বিয়ের খবর তো আর চাপা থাকে না। তা রটে যেতে অন্য রাজপুত্র ও রাজারা গেলেন চটে। একজোট হয়ে তাঁরা বেনারসের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। তখন শ্বশুরকে বাঁচানোর জন্য মা দুর্গার আরাধনায় বসলেন সুদর্শন। ভক্তের প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে সিংহবাহিনী মা দুর্গা এলেন তাঁকে রক্ষা করতে। এবং অন্য রাজাদের সঙ্গে লড়াই করে তাঁদের পরাজিত করলেন। সেই থেকেই বেনারসের রাজা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দেবী কুণ্ডের ওপর মায়ের মূর্তি নির্মাণ করেন এবং সেখানে দুর্গা মন্দির তৈরি হয়। মন্দিরের কারুকাজ ও মায়ের বিগ্রহ সবই লাল রঙের। মন্দিরের দেওয়ালে পাথরে খোদাই করা কারুকাজ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের নকশার সঙ্গে বেনারসের এই দুর্গা মন্দিরের প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

খরা থেকে মুক্তি পেতে তৈরি হল শ্রীদুর্গা পরমেশ্বরী মন্দির
সে বহু যুগ আগের কথা, কর্নাটকের কাতিল অঞ্চলে একবার প্রচণ্ড খরা হয়েছিল। বহু বছর বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। শুকিয়ে কাঠ গাছপালা, মাটি সব। তৃণভোজের উপায় নেই। ব্রাহ্মণেরাও আমিষ খেতে বাধ্য। এমন সময় সেখানে এক ঋষি তাঁর জ্ঞানচক্ষু প্রদান করে দেখলেন দেবী দুর্গার কৃপা দৃষ্টি ছাড়া ওই অঞ্চলে বৃষ্টি অসম্ভব। তখন তিনি একটি যজ্ঞের আয়োজন করলেন। সেই যজ্ঞে দেবীর আরাধনা করে ঋষি মাকে মর্তে আহ্বান করলেন। চার দিন টানা পুজোর পর দেবী দুর্গা প্রকট হলেন এবং তাঁর কৃপা দৃষ্টি বর্ষণ করলেন। সেই কৃপায় কর্নাটকের কাতিল জেলায় বৃষ্টি নামল। এবং সেখানকার মানুষ দুর্দশা মুক্ত হল। এরপর ভক্তিভরে সেই অঞ্চলে শুরু হল দেবীর পুজো। কর্নাটকের কাতিল জেলায় রয়েছে এক বিশাল হ্রদ। আর তারই মাঝে মা দুর্গার বড় একটি মন্দির। ভারি সুন্দর নিস্বর্গে ঘেরা এই মন্দির। মন্দিরের সবচেয়ে বড় দ্রষ্টব্য এক বিরাট গেট বা গোপুরম। ১০৮ ফুট উঁচু এই গোপুরমটি দেখতেই সারা ভারত থেকে লোকে জড়ো হয় এই মন্দিরে। মন্দিরে দেবী দুর্গা নবরূপে পূজিতা। তাঁর বিভিন্ন রূপের মূর্তি মন্দিরের বিভিন্ন স্থানে অধিষ্ঠিত। প্রতি বছর তাই এই মন্দিরে ধুমধাম সহ নবরাত্রি পালিত হয়। তাছাড়াও দেবী দুর্গা নিত্য পুজো পান। আর ভক্তরা পায় রোজকার প্রসাদ। সন্ধ্যাবেলা আরতির পর ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয় ভক্তজনের মাঝে। জনশ্রুতি অনুযায়ী এই মন্দিরের দেবী দুর্গা নাকি নাচ গানের ভক্ত। সেই কারণে এখানে প্রতি সন্ধ্যায় নৃত্য ও সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পূজারীরা। নবরাত্রি জুড়ে চলে বিভিন্ন পৌরাণিক পালা গানের অনুষ্ঠান। মন্দিরের সম্মুখে বড় চাতালে এই ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। ভক্তরাও সেই অনুষ্ঠান দেখতে পান। বিশেষ বিশেষ দিনে এই মন্দিরে বেদের কিছু অংশ পাঠ করা হয়। এছাড়াও নানাবিধ দানমূলক অনুষ্ঠানেও এই মন্দির কমিটি যুক্ত থেকে অঞ্চল ও সমাজসেবার কাজ করে।

পাহাড় চূড়ায় কনকদুর্গা মন্দিরে দেবীর অধিষ্ঠান
এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠার পিছনে দু’-দু’খানা গল্প রয়েছে। মহাভারতের যুদ্ধ যখন মধ্যগগনে তখন অর্জুন এসেছিলেন ইন্দ্রকীলাদ্রি পর্বতে। পাহাড় চূড়ায় বসে তিনি দেবী দুর্গা ও শিবের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যুদ্ধ জেতার বর চেয়ে। শেষে বরপ্রাপ্ত হয়ে অর্জুন যখন আবারও কুরুক্ষেত্রে ফিরলেন তখন যুদ্ধ প্রায় শেষ পর্যায়। বহু বীরের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। অর্জুন তখন প্রশান্ত মনে আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরেন এবং কৌরবদের হারিয়ে হস্তিনাপুর জয় করেন। পঞ্চপাণ্ডবের জয়ের কেতন উড়েছিল বলে সেই অঞ্চলের নামকরণ হয় বিজয়ওয়াড়া। এবং শিব ও দুর্গার বরে অর্জুনের জয় হয়েছিল বলে এখানে কনকদুর্গার মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। আর তার পাশেই এক পাথরে শিবের অবস্থান বলে মনে করা হয়। 
এই গল্পটি ছাড়াও রয়েছে আরও একটি গল্প। পৌরাণিক সেই গল্প অনুযায়ী মর্তে তখন অসুরদের বড্ড বাড়াবাড়ি চলছে। এমন সময় দেবী পার্বতী বিভিন্ন রূপ ধারণ করে মর্তে আসেন অসুর বধ করার উদ্দেশ্যে। কখনও তিনি কৌশিকী রূপ ধারণ করে শুম্ভ নিশুম্ভকে বধ করেন, কখনও বা মহিষাসুরমর্দিনী রূপে মহিষাসুরকে বধ করতে উদ্যত হন। আবার কখনও দেবী দুর্গা রূপে দুর্গমাসুরকে বধ করেন। মায়ের এইসব রূপের কাছে স্বর্গের সব দেবতাই শ্রদ্ধায় মাথা নত করেন। ব্রহ্মা দেবী দুর্গাকে জিজ্ঞেস করেন কীভাবে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করলে তিনি খুশি হবেন? তখন দেবী বলেন তাঁর নামে একটি পাহাড়ের গায়ে একটা মন্দির তৈরি করতে হবে। আর সেই পাহাড়েই তাঁর পাশে মহাদেবেরও আসন পাতা থাকবে। ভক্তদের বিশ্বাস সেই থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় ইন্দ্রকীলাদ্রি পাহাড়ের চূড়ায় কনকদুর্গার মন্দির গড়ে ওঠে। ভক্তদের অনেকেই বিশ্বাস করেন অর্জুন শিবের কাছে যুদ্ধ জেতার বর পেয়ে এই মন্দির নির্মাণ করেন। কৃষ্ণা নদীর তীরে ইন্দ্রকীলাদ্রি পাহাড়। আর সেই পাহাড়ের চূড়ায় মন্দিরের অবস্থান। মন্দিরে মায়ের মূর্তিটি ৪ ফুট উঁচু। তিনি বিভিন্ন ধরনের গয়নায় সুসজ্জিতা। তাঁর উল্লেখ কালিকা পুরাণে পাওয়া যায়। সেখানে তিনি স্বয়ম্ভু রূপে বর্ণিত। এই মন্দিরে প্রতিবছর দশমীর দিন বিরাট পুজোর আয়োজন করা হয়। অশুভ শক্তির পরাজয় এবং শুভ শক্তির জয়ের বর্ণনায় এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দশমীর সকাল থেকে ভক্ত সমাগম হয় মন্দির চত্বরে। 
দুর্গা পুজোয় প্রতি বছরের মতোই এবছরও সেজে উঠবে ভারতের বিভিন্ন মন্দির। ভক্ত মনে ভক্তিরসের সঞ্চার ঘটিয়ে মা দুর্গার মর্তে আগমন ঘটবে। মঙ্গল হবে  জগৎ সংসারে।           
02nd  October, 2021
গিন্নি হলেন কর্তা

মেয়েরা আজ বহুক্ষেত্রে একাই সংসারী। সংসার সামলাতে তাঁদের তাই পুরুষের সাহচর্য লাগে না সবসময়। এহেন গিন্নিরা আদতে সংসারের কর্তাই বটে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার মাঝেমধ্যেই সমাজের অনভ্যস্ত সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। কিছু ক্ষেত্রে এই কটাক্ষ বিড়ম্বনা স্বরূপ, কিছু ক্ষেত্রে আবার হাস্যকর। এই নিয়ে রসরচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

23rd  October, 2021
আইনজীবী হতে চান
প্রতিবন্ধী কন্যা কঙ্কাবতী

প্রতিভা মানুষকে পরিচিতি দেয়। আর সেই পরিচয় নিয়ে আমরা সমাজকে ফুলে-ফলে বিকশিত করে তুলি। সমৃদ্ধ হয় দেশ। নিকষ কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে উজ্জ্বল আলোর বাতাবরণ তৈরি হয় সেই প্রতিভারই মাধ্যমে।  বিশদ

23rd  October, 2021
শ্বেতার অভিনব ইনস্টা সিরিজ

শ্বেতা রামরাজ ওরফে ক্যালাইডোলাইট। মহিলাদের অগ্রগতি নিয়েই তাঁর কাজ। পেশায় তিনি শিল্পী। সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি সিরিজ বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেটি মহিলাদের স্কেচ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট যাঁরা, সেইসব মহিলার মুখচ্ছবি এঁকেছেন শ্বেতা। বিশদ

23rd  October, 2021
নারীশক্তি এবং দেবী দুর্গা

দেবী দুর্গাই নারীশক্তির প্রতিক। দেবীর শক্তির বিভিন্ন রূপ যুগ যুগ ধরে নারীর মধ্যে সঞ্চারিত। নারী কখনও বীরাঙ্গনা, কখনও বা স্নেহময়ী। বিভিন্ন সময়, নানাভাবে নারীশক্তির এই স্তরবিন্যাস বিশ্লেষণ করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

09th  October, 2021
এখন মেয়েরা

রাজস্থানের এক গ্রামের মেয়ে সোনাল শর্মা। বাবা দুধ বিক্রি করেন। কিন্তু মেয়ে একেবারেই ভিন্ন পথে হাঁটলেন। পড়াশোনা শেষ করে আইনের পরীক্ষায় বসলেন সোনাল। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উকিল হওয়ার মুখে তিনি। তাই বলে যে সারা দিন শুধুই পড়াশোনা করে কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন এমনটা ভাববেন না। বিশদ

09th  October, 2021
এখন মেয়েরা
পাহাড় চূড়ায় মেয়েরা

গত ১ আগস্ট শুরু হয়েছিল তাঁদের অভিযান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন মহিলা ঠিক করলেন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিজেদের পারদর্শিতা তাঁরা সর্বসমক্ষে তুলে ধরবেন। পাহাড় ভালোবাসেন তাঁরা সকলেই। আর অ্যাডভেঞ্চারের নেশাও তাঁদের প্রবল। বিশদ

02nd  October, 2021
সারদা মিশনে 
মাতৃপুজো

শ্রীশ্রীমা সারদার পুজো বিষয়ে আলোচনায় প্রব্রাজিকা আপ্তকামপ্রাণা।  বিশদ

25th  September, 2021
এখন মেয়েরা

এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির শীর্ষে রয়েছেন তিনি। অঙ্কে তাঁর ভীষণ দখল। আবার মহিলাকেন্দ্রিক বিষয় নিয়েও তাঁর চিন্তার অন্ত নেই। তিনি নমিতা থাপার। এমকিউর ফার্মার তিনি এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর। হেল্থ কেয়ারে কাজ করার সুবাদে নমিতা মহিলাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অভাব খুব কাছ থেকে দেখেছেন। বিশদ

25th  September, 2021
দুর্গাপুজোর  মহোৎসবে 
মেয়েরা

প্রায় দু’শো বছর ছুঁই ছুঁই লাহাবাড়ির দুর্গা পুজো। মহাপুজোর প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে বাড়ির মেয়ে বউরা। পুজোর পুরনো ও নতুন গল্প নিয়ে কলম ধরলেন লাহাবাড়ির কন্যা সুস্মেলী দত্ত।
বিশদ

18th  September, 2021
এখন মেয়েরা

জন্ম থেকেই কানে শুনতে পান না জোহানা লুৎজ। জার্মানির এই কন্যাটি তাই স্বপ্নেও কখনও ভাবেননি তিনি নাসা-র বিজ্ঞানী হয়ে উঠবেন। অথচ লুৎজ হয়ে উঠলেন নাসার প্রথম এবং একমাত্র বধির বিজ্ঞানী। কিন্তু কেমন করে ঘটল এই অভাবনীয় ঘটনা? বিশদ

18th  September, 2021
গানে গানে 
নারী শক্তি

৩০ বছর ধরে বাউল গানের সাধনা করছেন রিনা দাস বাউল। মহিলাদের নিয়ে গান লেখেন তিনি। সমাজে নারী শক্তির প্রচার ও প্রসারই তাঁর লক্ষ্য। বাউল সঙ্গীত, বিদেশে বাউল গানের অনুষ্ঠান ও নিজের গানের ভাষা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

11th  September, 2021
এখন মেয়েরা

আনা এলিজাবেথ জর্জ হলেন কেরলের এক হোম বেকার। ওনাম উৎসবে এক অভিনব কাজ করে বসলেন তিনি। গোটা একটা শাড়ির ডিজাইনে বানিয়ে ফেললেন ধোসা! অবশ্য এই খাবারকে ধোসা না বলে বরং এডিবল শাড়ি নামেই বিক্রি করেছেন। বিশদ

11th  September, 2021
‘আমি একরোখা একগুঁয়ে,
শেষ দেখে তবে ছাড়ব’

ভারতীয় প্রাণিবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ (জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, জেডএসআই)-এর শীর্ষ পদে প্রথম মহিলা মুখ তিনি। বাধার অদৃশ্য সেই ‘কাচের দেওয়াল’ ভাঙতে মহিলারা লড়াই করেন প্রতিনিয়ত। তিনি অনায়াসে সেটা ভেঙে দিতে পেরেছেন। কিন্তু চলার পথটা কেমন ছিল? জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত। বিশদ

04th  September, 2021
নির্যাতনের বিরুদ্ধে 
মেঘার লড়াই

মিমির বয়স তখন তেরো। বাবা, মা, কাকা কাকিমা ও খুড়তুতো দাদা মিলে তাদের বড় সংসার। কাকাকে ভীষণ ভয় পেত মিমি। অথচ কাকা তো ভীষণ ভালোবাসেন তাকে। দেখতে পেলেই জড়িয়ে ধরেন। চুমু খান। তবু মিনি ধারে পাশে ঘেঁষতে চায় না। মা এই নিয়ে বকাবকি করলে একদিন মায়ের কাছে সব কথা খুলে বলেছিল সে। বিশদ

04th  September, 2021
একনজরে
তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল বসিরহাটে। মাটিয়া থানার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিদাস হালদার (২৬) বসিরহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ...

বীরভূমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে দু’-একদিনের মধ্যে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস। বিশেষ তল্লাশি চালানো হবে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায়ও। ...

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...

ফের মালদহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার হল। বুধবার রাতে ইংলিশবাজার থানার মহদিপুর স্থলবন্দরের বড় পার্কিং এলাকা থেকে ১০টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইংলিশবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM